Saturday, December 23, 2017

১০টি আনকমন ওয়েব ব্রাউজার যেগুলোর অস্তিত্ত্ব আছে বলে আপনি হয়ত জানেনই না

ওয়েব ব্রাউজারের কথা যখন আসে তখন মূলত গুগল ক্রোম আর মজিলা ফায়ারফক্সের কথাই চলে আসে বেশির ভাগ সময়। পিসিতে এই দুটি ব্রাউজার আর এন্ড্রয়েডে ইউসি ব্রাউজার আমরা বেশি ব্যবহার করে থাকি। এছাড়াও মাইক্রোসফট এডজ কিংবা ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার ব্যবহারকারীদেরও মাঝে মাঝে দেখা যায়। কিন্তু দুনিয়াতে এই কটি ব্রাউজার ছাড়াও আরো বেশ কয়েকটি চমৎকার এবং সুন্দর ব্রাউজার রয়েছে। হয়তো সেগুলো আমরা কিংবা আমাদের আশেপাশের কেউ ব্যবহার করে না বিধায় তাদের সম্পর্কে আমরা জানিও না!
টেকটিউনসে আমি এখন প্রায় সব বিষয় নিয়েই টিউন করার চেষ্টা করি। তাই ভাবলাম এই ব্রাউজার সেক্টরটি নিয়েও একটি টিউন লেখা যায়! তাই যে ভাবা সেই কাজ! আজকের টিউনে আমি এমন ১০টি বিকল্প ওয়েব ব্রাউজারের খোঁজ নিয়ে এসেছি যেগুলো আপনি হয়তো আগে কখনো ব্যবহার করেননি কিন্তু ব্রাউজারগুলো আসলেই ব্যবহারযোগ্য এবং চমৎকার। তো চলুন আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি টিউনে চলে যাই!

১) ওপেরা নিয়ন!

ওপেরা ওয়েব ব্রাউজার অনেক আগে আমি নিজেই ব্যবহার করতাম, কিন্তু বিশেষ করে ফায়ারফক্স আর ক্রোমের এই যুগে ওপেরা ব্রাউজার আর ব্যবহার করা হয়ে উঠে না। কিন্তু ২০১৭ সালের শুরু দিতে ওপেরা ব্রাউজারের নতুন সংস্করণ Opere Neon বাজারে ছাড়ে ওপেরা কোম্পানি। ওপেরা কোম্পানি ব্রাউজার জগতে নিজেকে আবারো প্রতিষ্ঠিত অবস্থায় দেখার জন্য তাদের এই নতুন সংষ্করণটি বাজারে ছেড়েছে।
এই ব্রাউজারে ব্যবহার করা হয়েছে Blink Rendering Engine যেটি দিয়ে অফিসিয়াল অপেরাও বানানো হয়ে থাকে। ব্রাউজারটিতে বেশ কিছু ইউনিক নতুন ফিচার আনা হয়েছে ব্যবহারকারীদেরকে আকর্ষণ করার জন্য। যারা আগে ওপেরা ব্যবহার করতেন বা যারা এখনো ওপেরা ব্যবহার করেননি তাদের সবাইকেই অপেরার এই নতুন সংস্করণের ব্রাউজারটি একবার পরখ করে দেখতে পারেন।
➡ ব্রাউজারটি ডাউনলোড করে নিন এখান থেকে।

২) ভিভাল্ডি!

Vivaldi ব্রাউজার হচ্ছে একটি নতুন ব্রাউজার যেটিতে Chromium প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। মানে এতে আপনি ক্রোমের মতোই মজা পাবেন কিন্তু ব্রাউজারটি ক্রোমের থেকেও বেশ কটি ইউনিক ফিচার দিচ্ছে এদের ব্যবহারকারীদের। যেমন এই ব্রাউজারটিতে আপনি প্রায় সবকিছুই নিজের মতো করে কাস্টমাইজ করে নিতে পারবেন। এই ব্রাউজারটি নিয়ে গতকালই একটি ডেটিকেটেড টিউন করেছিলাম আমি।
➡ ব্রাউজারটির সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে  এই টিউনে চলে যান

৩) ম্যাক্সথন

ম্যাক্সথন ব্রাউজারটি তার ইউনিক ফিচার ক্লাউড বেইসড একাউন্ট নিয়ে বেশ প্রচারণা চালাচ্ছে। তাদের এই ক্লাউড বেইসড একাউন্ট দিয়ে আপনি আপনার সকল ডিভাইসের ডাটা একসাথে সিঙ্ক করে নিতে পারবেন। এছাড়াও তাদের এই ক্লাউড সার্ভিসের রয়েছে একটি ফিচার যার নাম ক্লাউড পুশ যেটার মাধ্যমে আপনি যেকোনো কনটেন্ট আপনার বন্ধুদের সাথে ইমেইল বা টেক্স মেসেজের সাহায্যে শেয়ার করতে পারবেন।
ম্যাক্সথন ব্রাউজারে রয়েছে বিল্ট ইন RSS reader, নোটপ্যাড, পাসওর্য়াড ম্যানেজার, ভাচুর্য়াল মেইনবক্স এবং একটি এডব্লক প্লাস। এছাড়াও ব্রাউজারে রয়েছে একটি Reader Mode যেটার মাধ্যমে যেকোনো আর্টিকেল বা পেপাল আপনি সাচ্ছন্দ্যে পড়তে পারবেন। ম্যাক্সথন ব্রাউজারে একই সাথে দুটি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে একটি হচ্ছে Trident এবং আরেকটি হচ্ছে WebKit, যেগুলো ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এবং সাফারি ব্রাউজারে সাধারণত ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
➡ ব্রাউজারটি ডাউনলোড করে নিন এই লিংক থেকে।

৪) টর্চ!

Torch হচ্ছে আরেকটি Chromium ভিক্তিক ব্রাউজার সেটি বিশেষ ভাবে মিউসিক এবং গেমিংয়ের জন্য নির্মিত হয়েছে। ব্রাউজারে রয়েছে একটি বিল্ট ইনট ইউটিউব বেইসড স্ট্রিমিং সার্ভিস যার নাম Torch Music. এছাড়াও Torch Games সার্ভিসটি আপনাকে বিভিন্ন ওয়েব ভিক্তিক গেমসে আপনাকে এক ক্লিকে একসেস দিবে। এছাড়াও ব্রাউজারটিতে রয়েছে সহজলভ্য ড্রাগ এন্ড ড্রপ ফিচার। ব্রাউজারটি আশা করবো একটু ব্যতিক্রমী ধর্মী ব্যবহারকারীদের কাছে ভালোই লাগবে! এছাড়াও ব্রাউজারটিতে রয়েছে বিল্ট ইন্ট টরেন্ট ডাউনলোডার!
➡ ব্রাউজারটি ডাউনলোড করে নিন এই লিংক থেকে।

৫) এপিক প্রাইভেসি ব্রাউজার!

আপনি যদি গুগল ক্রোমকে লাইক করেন কিন্তু গুগলের যাবতীয় এডভারটাইজাদের জ্বালাতনে ভুগছেন তারা এই Epic Privacy Browser টি ব্যবহার রে দেখতে পারেন। এটির সাথে গুগল ক্রোমের আপনি তেমন কোনো পার্থক্য খুঁজে পাবেন না তবে এটির নামের মতোই ব্রাউজারটিতে প্রাইভেসি রক্ষায় বিশেষ কিছু ফিচার রয়েছে যেমন বিল্ট ইন প্রক্সি, অলওয়েজ অন প্রাইভেট ব্রাউজিং, বিল্ট ইন ব্লকারস এবং বিল্ট ইন ভিডিও ডাউনলোডিং টুল যেটায় আপনি ভিডিও ডাউনলোড করতে পারবেন অতিরিক্ত কোনো সফটওয়্যার ছাড়াই! তো যারা প্রাইভেসি নিয়ে বেশিই সেন্সিটিভ তারা এই ব্রাউজারটি পরখ করতে দেখতে পারেন।
➡ ব্রাউজারটি ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।

৬) পেল মুন!

ফায়ারফক্সের একদম পুরাতন সংষ্করণটি আপনার ভালো লাগতো? কিংভা পুরাতন সংস্করণটি মিস করেন এখনো? পুরাতন ফায়ারফক্স এর লুক কিন্তু নতুনের মতো সব ফিচার নিয়ে Pale Moon ব্রাউজারটি এখন বাজারে রয়েছে। ব্রাউজারটি আগে Fork ব্রাউজার নামে বাজারে ছিলো।
নামে ভিন্ন হলেও কাজে একই এই ব্রাউজারটির ইঞ্জিন হলো Goanna যেটি ফায়ারফক্স লেগেসিতে ব্যবহৃত হতো। পুরাতন ইঞ্জিন আর পুরাতন ফায়ারফক্স মানে কাজেও সেরকম। এই ব্রাউজারে আপনি old-school add-ons গুলো এখনো ব্যবহৃত করতে পারবেন!
➡ ব্রাউজারটি ডাউনলোড করে নিন এখান থেকে।

৭) কমন্ডো আইস ড্রাগন!

বেশ নামও বটে! কমোন্ডো হচ্ছে একটি সিকুরিটি ফার্ম আর তাদের আইস ড্রাগন হচ্ছে তাদের একটি ব্রাউজার সেখানে সিকুরিটিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। যারা ব্রাউজারের সিকুরিটি নিয়ে বেশ চিন্তায় থাকেন তারা নিশ্চিন্তে এই সিকিউর ব্রাউজারটি ব্যবহৃত করতে পারেন।
ব্রাউজারটিতে বিল্ট ইন ওয়েবপেজ স্ক্যানার রয়েছে, রয়েছে কমোন্ডোর সিকুউর ডিএনএস সার্ভিস এবং ফিশিং এভং স্প্যাইওয়্যার সাইট থেকে অটো ব্লকিং তো রয়েছেই! ফায়ারফক্সের উপর নির্মিত এই ব্রাউজারটিতে ফায়ারফক্স এর মতোই আপনি সকল সুবিধা পাবেন।
➡ ব্রাউজারটি ডাউনলোড করে নিন এই লিংক থেকে।

৮) গোষ্ট ব্রাউজার!

গোষ্ট ব্রাউজার! ক্রোমিয়াম ইঞ্জিনের তৈরি আরো একটি ব্রাউজার এটি। তবে এই ব্রাউজারের মূল আকর্ষণ হচ্ছে এর প্রোডাক্টিভিটি এবং এই ব্রাউজারটিতে একই উইন্ডোতে আপনি একের অধিক ব্রাউজার সেশন চালু করতে পারবেন এবং রান করতে পারবেন।! এবং প্রতিটি সেশনের জন্য রয়েছৈ আলাদা Cookie jar মানে আপনি একই উইন্ডোতে একাধিক সোশাল নেটওর্য়াকে লগ ইন অবস্থায় থাকতে পারবেন।
আর প্রতিটি সেশনের ট্যাবের কালার নিজে নিজেই আলাদা হয়ে থাকবে! ব্রাউজারটি মূলত ফ্রি হলেও ফ্রি সংস্করণে এর ফিচারগুলোও লিমিটেড অবস্থায় থাকবে। ফুল সংষ্করণের জন্য আপনাকে মাজে ১০ থেকে ১৫ মার্কিন ডলার খরচ করতে হবে ব্রাউজারের পেছনে। আর ক্রোমিয়াম ইঞ্জিনের তৈরি বিধায় এতে আপনি ক্রোম ওয়েব স্টোরও ব্যবহার করতে পারবেন।
➡ গোষ্ট ব্রাউজারটি ডাউনলোড করে নিন এই লিংক থেকে।

৯) মিডোরি!

Midori মূলত একটি লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমের জন্য তৈরি একটি হালকা ধাঁচের ব্রাউজার তবে ব্রাউজারটির উইন্ডোজ সংষ্করণও রয়েছে যেটি আপনি  চাইলেই ট্রাই করে দেখতে পারেন। এই ব্রাউজারটি মূলত একটি সিম্পল ধাঁচের ব্রাউজার যেটির সাইজও অনেক কম মানে এটি হচ্ছে lightweight ব্রাউজার। কারণ লিনাক্স সিস্টেমের জন্য তৈরি তো তাই কম সাইজের মধ্যেই একে নিমার্ণ করা হয়েছে।
ব্রাউজারটির ইন্টারফেস অনেকটা উইন্ডোজ এক্সপির মতো। যারা সিধে সাধা ব্রাউজার চান তাদের জন্যই এই মিডোরি ব্রাউজারটি নির্মিত হয়েছে।
➡ ব্রাউজারটি ডাউনলোড করে নিন এই লিংক থেকে।

১০) এভান্ট ব্রাউজার।

এভান্ট ব্রাউজার হচ্ছে একটি কমপ্লেক্স ব্রাউজার! তাই এটি আজকের আমাদের লিস্টের একদম শেষে রয়েছে। কারণ এভান্ট ব্রাউজারটিতে রয়েছে Tri-Core Rendering Engine. কারণ ব্রাউজারটিতে ব্যবহার করা হয়েছে একই সাথে তিনটি ইঞ্জিন। এটি ফায়ারফক্স, ইন্টারনেট এক্সপ্লোরার এবং সাফারি ব্রাউজারের ইঞ্জিনগুলো একত্রে ব্যবহার করে নির্মিত করা হয়েছে। এভান্ট ব্রাউজারটিকে আপনি ব্রাউজারের লাক্সারি মডেল বলতে পারেন।
কারন কি নেই এতে? রয়েছে ভিডিও স্নিফার, অলওয়েজ অন টপ বিল্ট ইন ফিচার, বিল্ট ইন টাক্স ম্যানেজার, বিল্ট ইন প্রক্সি সার্পোট, বিল্ট ইন ওয়েব স্ক্যানার, বিল্ট ইন ফাইল ম্যানেজার ইত্যাদি। তবে এভান্ট ব্রাউজারটির ইন্টারফেস একদমই উইন্ডোজ এক্সপির মতো। এই ক্ষেত্রে এটাকে আপনি আধুনিক বলতে পারেন না বটে!
➡ ব্রাউজারটি ডাউনলোড করে নিন এই লিংক থেকে।
তো এটা দিয়ে আজকের টিউনটি শেষ করছি। অবশ্যই এই ১০টি ব্রাউজার ছাড়াও আরো অনেক ব্রাউজার বাজারে ছড়িয়ে রয়েছে যেগুলো আমরা ব্যবহার করি না। আপনি যদি এদের ছাড়াও অন্য কোনো ব্রাউজার ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সেটা আমাদের টিউমেন্টে জানাতে ভূলবেন না যেন

৬ ধরণের আন্ডারগ্রাউন্ড সার্চ ইঞ্জিন যেগুলো জীবনে আগে কখনো চোখে দেখেনি

সার্চ ইঞ্জিন নামটা শুণতেই আমাদের চোখের সামনে প্রথমেই ভেসে উঠে গুগলের হোম পেজটি! কারণ বিশ্বে সার্চ ইঞ্জিনগুলোর মধ্যে সবথেকে বেশি ব্যবহৃত হয়ে থাকে এই গুগল সার্চ ইঞ্জিনটি। এছাড়াও মাইক্রোসফটের Bing এবং অন্যদিকে Yahoo সার্চ ইঞ্জিনও এখনো বেঁচে আছে প্রতিযোগীতায়। তবে এই সব সার্চ ইঞ্জিনের একটি কমন দিক হলো এরা সবাই আপনাকে প্রায় একই ধরণের সার্চ রেজাল্ট এনে দিবে। তবে আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো বিষয়ে সার্চ দিতে চান বা গবেষণার কাছে সার্চ দিতে চান তাহলে আপনার এই গুগল ইয়াহু বিং এর সার্চ রেজাল্ট দিয়ে কাজ হবে না। আপনার চাই আরো এডভান্স এবং আরো আন্ডারগ্রাউন্ডের সার্চ ইঞ্জিন!
এ সকল আন্ডারগ্রাউন্ড সার্চ ইঞ্জিন হয়তো তেমন জনপ্রিয় নয় কারণ এগুলো ব্যবহারও করে কম সংখ্যক মানুষ। কারণ এই সকল আন্ডারগ্রাউন্ডের সার্চ ইঞ্জিনগুলো নিজেরা এক একটি বিশেষ নির্দিষ্ট বিষয়ের জন্য তৈরি করা হয়েছে আর তারা সাধারণ সার্চ ইঞ্জিনের থেকে এই সকল ক্ষেত্রে আপনাকে আরো বেশি তথ্যবহুল রেজাল্ট এনে দিতে সক্ষম!
আন্ডারগ্রাউন্ড সার্চ ইঞ্জিন বলতে আবার ডার্ক ওয়েবকে বুঝে ভূল করবেন না যেন। আমি এখানে ডার্ক ওয়েবের কথা বলছি না। অথবা পর্ণগ্রাফি কিংবা বেআইনি কাজের জন্যেও এই সার্চ ইঞ্জিনগুলো ব্যবহৃত হয় না কিন্তু তারপরেও এগুলো পাবলিক্যালি উন্মুক্ত নয় এবং এরা কখনোই তাদের সাইটের বিজ্ঞাপন প্রচার করেনি। কিন্তু কেন তাদেরকে আন্ডারগ্রাউন্ড সার্চ ইঞ্জিন বলা হয়?
প্রথমত, এই সকল সার্চ ইঞ্জিন তাদের নিদির্ষ্ট বিষয়ের চরম কাজের জিনিস হলেও এরা সাধারণ ইন্টারনেট ইউজারদের কাছ থেকে শুরু থেকেই নিজেদেরকে গোপনীয় ভাবে রেখেছে। এবং আমি আগেই বলেছি এরা তাদের সাইটের কখনোই কোনো প্রকার বিজ্ঞাপন প্রচার করেনি।
দ্বিতীয়ত, এই সকল সার্চ ইঞ্ণিগুলো নিদির্ষ্ট বিষয়ের উপর ভিক্তি করে বানানো হয়েছে এবং এগুলো বিশেষ কিছু ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরাই ব্যবহার করে থাকে, তাই বলা চলে এদের ব্যবহারকারীও সীমিত। তো আজ টেকটিউনসে আমি এরকম ৬ প্রকারের আন্ডারগ্রাউন্ড সার্চ ইঞ্জিন আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করবো। তো ভূমিকায় আর কথা না বাড়িয়ে চলুন মূল টিউনে চলে যাই:

১) বেষ্ট টরেন্ট সার্চ ইঞ্জিন!

আপনি যদি আপনার যাবতীয় ডাউনলোডের ক্ষুদা টরেন্টের মাধ্যমে নিবারণ করে থাকেন তাহলে নিশ্চয় জেনে থাকবেন যে আপনার পছন্দের টরেন্ট খুঁজে পাওয়া কতটা কষ্টসাধ্য একটি ব্যাপার। কিন্তু আপনি এই কস্টসাধ্য কাজ সহজেই করে নিতে পারবেন AIO Search দিয়ে!
AIO Search হচ্ছে মোস্ট ইম্প্রেসিভ টরেন্ট মেটা সার্চ ইঞ্জিন যেটা আপনাকে প্রায় ১৭০টির বেশি টরেন্ট সাইট থেকে সার্চ করে রেজাল্ট আপনার সামনে এনে হাজির করবে!
এই সার্চ ইঞ্জিনের প্লাগ ইনকৃত সাইটের সংখ্যা আসলেই ইম্প্রেসিভ এবং এদের সার্চ রেজাল্ট তার থেকেও অনেক বেশি ইম্প্রেসিভ! কোনো কিছু লিখে সার্চ দিলে সেটা আপনাকে একটি ডেডিকেটেড ট্যাবে নিয়ে যাবে এবং রেজাল্প আপনার সামনে উপস্থাপন করবে! এবং রেজাল্টগুলোর থেকে আপনি সরাসরি আপনার টরেন্ট ফাইলটি নামিয়ে নিতে পারবেন! আর শুধুমাত্র টরেন্ট নয়, ইমেইজ, ভিডিও, অডিও, ফাইলস যেকোনো কিছু্‌ই আপনি এই AIO Search দিয়ে সহজেই খুজেঁ নিতে পারবেন!

২) ফ্রিবিস সার্চ ইঞ্জিন!

Prospector হচ্ছে একটি চরম আন্ডারগ্রাউন্ড সার্চ ইঞ্জিন যেখানে আপনি প্রায় ৩৩০০ ক্যাটাগরির ফ্রি Bargains & Deals সার্চ দিতে পারবেন। এই সার্চ ইঞ্জিনটি Czech Republic বেইসড একটি সার্চ ইঞ্জিন তবে সার্চ রেজার্ল্ট গুলো আপনি বিশ্বব্যাপীভাবে দেখতে পারবেন। ফ্রিবিস এর জন্য আপনি নিচের তিনটি বিকল্প সার্চ ইঞ্জিনগুলোকেও ট্রাই করে দেখতে পারেন:

৩) হাউস সেলের জন্য সার্চ ইঞ্জিন!

যারা হাউস কেনাবেচা করেন কিংবা Sales Foreclosures যাদের পেশা তারা তাদের কর্মক্ষেত্রের জন্য সাধারণ কোনে সার্চ ইঞ্জিনে গিয়ে তাদের রেজার্ল্ট ভালোভাবে পেতে পারবেন না। কিন্তু Foreclosure Free Search সাইটের মাধ্যমে আপনি এই কাজটি খুবই সহজে এবং ইফেক্টিভ ভাবে করতে পারবেন।
Foreclosure Free Search একটি আমেরিকান ভিক্তিক Foreclosure সার্চ ইঞ্জিন যেটি আমেরিকার বিভিন্ন শহরের প্রায় সব Foreclosure এর লিষ্ট রয়েছে এবং এখানে আপনি বেস্ট রেজাল্ট পেতে পারেন। অনান্য পেইড সাইটের মতোই আপনি এখানে রেজালেট প্রাইস, এড্রেস এবং বিভিন্ন ডিটেইলস তথ্য পেয়ে যাবেন।
এছাড়াও এই বিষয়ের জন্য আরেকটি সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে যার নাম Trulia । ট্রুলিয়ার সাহায্যেও আপনি রিয়েল স্টেট এর যাবতীয় তথ্য সার্চ রেজাল্টে পেয়ে যাবেন। এবং এটিও একটি ফ্রি সার্চ ইঞ্জিন যেখানে আপনি বাসাগুলোর দাম, এড্রেস, বাসাগুলোর স্কোয়ার ফিটের রেকর্ড ইত্যাদি সব কিছুই দেখতে পারবেন! এছাড়াও বাসাগুলোর আপনি রিসেন্ট সেল প্রাইজও দেখতে পাবেন যেটি চরম কাজের জিনিস।

৪) পাবলিক রেকর্ড সার্চ ইঞ্জিন:

পাবলিক রেকর্ড হচ্ছে এমন একটি সেন্সিটিভ জিনিস যেটার সার্চ ইঞ্জিনও রয়েছে এটা খুবই একটি আশ্চর্যমূলক ব্যাপার! সাধারণত পাবলিক রেকর্ড সার্চ ইঞ্জিনগুলো কোনো নিদির্ষ্ট কোম্পানির হয়ে থাকে যেখানে উক্ত কোম্পানিরই সার্চ রেজাল্ট আপনাকে দেখাবে এবং এটা একটি বিরক্তিকর ব্যাপার।
কিন্তু পাবলিক রেকর্ড সেন্টার সার্চ ইঞ্জিনটি এমন নয়! এটি সার্চ ইঞ্জিনের চেয়ে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড পোর্টাল বলা শ্রেয় কারণ এখানে এসে আপনি বিভিন্ন প্রকারে পাবলিক রেকর্ড মূলক বিষয়ের সার্চ দিলে ভালোই রেজাল্ট পাবেন।

৫) বৈধ সার্চ ইঞ্জিন!

কখনো এমন সার্চ ইঞ্জিনের কথা শুনেছেন যেটা আপনাকে নেট থেকে Legal Information ঘেঁটে এনে দিবে? আমিও শুনিনি এমন কোনো সার্চ ইঞ্জিনের কথা তবে আজ আমি Legal Information Institute নামের একটি সার্চ ইঞ্জিনের কথা বলবো যেটা আপনাকে এই নেটের সাহায্যে বৈধ্য তথ্য খুঁজে এনে দিবে। মানে হলো Law সম্পর্কিত যাবতীয় সার্চ আপনি এই সাইটের মাধ্যমে করে নিতে পারেন।

৬) প্যারানরমাল সার্চ ইঞ্জিন!

হাহাহা! আপনি যদি আসলেই আন্ডারগ্রাউন্ডের সার্চ ইঞ্জিনের স্বাদ নিতে চান তাহলে এই UFO Seek সার্চ ইঞ্জিনটি পরখ করে দেখতে পারেন। এর থেকে ভালো আর কোনো আন্ডারগ্রাউন্ড প্যারানরমাল সার্চ ইঞ্জিন আপনি খুঁজে পাবেন না! তবে নাম দেখে বোকা ভাববেন না এরা শুধুমাত্র UFO বা Aliens নিয়েই গবেষণা করে না বরং পুরো প্যারানরমাল বিশ্ব নিয়ে এরা গবেষনা করে থাকে।
তো কেমন লাগলো আজকের ব্যতিক্রমধর্মী এই কটি সার্চ ইঞ্জিন? আপনার মতামত নিচের টিউমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন।

এক্সেল সীটে IF Function ব্যবহার করে রেজাল্ট সীট তৈরার পদ্ধতী

আজ আমরা শিখবো কিভাবে IF Function ব্যবহার করতে হয়। IF Function বহুল ব্যবহৃত একটি এক্সেল Function। এর অনেকগুলো ফর্মুলা আছে কিন্তু আজ আমরা এর দুইটি ব্যবহার দেখব। যার মধ্যে একটি ব্যবহার করে আমার যে কোন পরিক্ষার রেজাল্ট বের করা যাবে। আজকের টিউটোরিয়াল টি একটু বড় করেছি যাতে সহজে বুঝেতে পারা যায়। তাই ধৈর্য ধরে দেখুন এবং সাথে সাথে অনুশীলন করুন। আশা করি সবাই করতে পারবো।
খুব তারাতারি আবার নতুন টিউটোরিয়া নিয়ে হাজির হবো।

Google বলে যে ত্রুটি থাকবে না এমনটি নয়

ত্রুটি সবার মাঝেই থাকে।তাই নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবানোর জন্য $2,00,000 ডলার পে করার বাজী ধরার কোনো মানেই হয় না!

মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট

সহযোগিতায়: T+T/TS+TS/

বিস্তারিত

ব্যাপারটা অবাক করার মতো হলেও এই রিসোর্টটি মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট নামে খুব একটা পরিচিত না হলেও মন্টু মিয়ার বাগান বাড়ি নামেই সর্বাধিক পরিচিত। সুন্দরবন থেকে মাত্র দুই ঘণ্টার দূরত্বে সাতক্ষীরা শহরের প্রানকেন্দ্রে অবস্থিত এই রিসোর্টটি প্রায় ১০০ একর জমির উপর স্থাপিত।
রিসোর্টটি বেশ খোলামেলা এবং বহু জাতের গাছপালায় পরিপূর্ণ হওয়ায় এখানে আগত অতিথিরা একদিকে যেমন প্রকৃতির সবুজের কাছাকাছি আসতে পারছেন আবার অন্যদিকে বিশুদ্ধ বাতাসে  শ্বাস নেওয়ারও সুযোগ পাচ্ছেন। অতিথিদের থাকার জন্য এখানে চারটি ভবন রয়েছে যেগুলোর একটি লেকের উপরে অবস্থিত। এই রিসোর্টে ন্যায্য ভাড়ায় মোট ৩০টি কক্ষ রয়েছে। চমৎকার কারুকাজ সম্পন্ন এসব কক্ষে আধুনিক সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে যেমনঃ শীতাতপ নিয়ন্ত্রক, টেলিভিশন, ইন্টারকম, গিজার ইত্যাদি। এই রিসোর্টের অভিজ্ঞ বাবুর্চিদের প্রস্তুতকৃত দেশী এবং চাইনিজ খাবার খেতে পারবেন।
মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্টের সবুজ ভুমিতে যেমন হাঁটা ও বসার ব্যবস্থা আছে তেমনি এখানকার পুকুরে সাঁতার কাটতে পারবেন। এছাড়া এখানকার লেকে প্যাডেল বোটে করে ঘুরতে পারবেন এবং মাছ ধরে সময় কাটাতে পারবেন। এখানে আগত অল্প বয়সী অতিথিদের জন্য এখানে রয়েছে খেলার মাঠ, ত্রিমাত্রিক চিড়িয়াখানা এবং বিভিন্ন আকর্ষণীয় ভাস্কর্য। এছাড়া রিসোর্টের অতিথিদের জন্য ব্যাডমিণ্টন এবং টেবিল টেনিস খেলার ব্যবস্থা রয়েছে। মহিলা ও পুরুষদের জন্য পৃথক মসজিদ রয়েছে এই রিসোর্টে।
রিসোর্টে অবস্থিত চিড়িয়াখানাটিকে বলা যায় এখানকার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। দেশের সর্ববৃহৎ এই বেসরকারি চিড়িয়াখানায় রয়েছে নানা প্রজাতির প্রাণী ও পাখি যেগুলো দেখতে পারাটা এখানে আগতদের জন্য একটি অন্যতম বিনোদনের মাধ্যম।

কিভাবে যাবেন

মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্ট সাতক্ষীরা শহর থেকে মাত্র ৪.৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সাতক্ষীরা শহর থেকে বাস অথবা সিএনজি অটোরিকশায় করে রিসোর্টে পৌছাতে পারবেন। সাতক্ষীরা থেকে মোজাফফর গার্ডেন এন্ড রিসোর্টে যাওয়ার দিক নির্দেশনা পেতে এখানে ক্লিক করুন

কিভাবে পৌঁছাবেন: সাতক্ষীরা জেলা

ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় শুধুমাত্র সড়কপথে যাওয়া যায়।
আপনি ফেরিতে করে নদী অতিক্রম করে বাসে করে সাতক্ষীরায় যেতে পারবেন। ঢাকা থেকে সাতক্ষীরায় চলাচলকারী বাসগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
১। ঈগল পরিবহন
গাবতলি কাউণ্টার, ফোনঃ ৮০১৭৬৯৮, ৮০১৭৩২০
২। হানিফ এন্টারপ্রাইজ
গাবতলি কাউণ্টার, ফোনঃ ৮০১১৭৫৯
৩। এ কে ট্র্যাভেলস
গাবতলি কাউণ্টার, ফোনঃ ০২-৮০৩২৯১৬, ০১১৯১৬২০৬২১
ভাড়াঃ ৫৫০/- টাকা (নন-এসি), ১০০০/- টাকা (শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত)

কি করবেন

১। রিসোর্টের প্রধান আকর্ষণ চিড়িয়াখানার বিভিন্ন প্রাণীদের দেখে সময়টা উপভোগ করতে পারেন এবং এসব প্রাণীদের ছবি তুলতে পারেন।
২। লেকে নৌকা ভ্রমন করতে পারেন।
৩। বারবিকিউ পার্টি করতে পারেন।
৪। শিশুরা সঙ্গে থাকলে তারা চিলড্রেন পার্ক উপভোগ করতে পারে।
৫। পুকুরে মাছ ধরতে পারেন।
৬। এখানে বাংলাদেশের বৃহত্তম মাছের অ্যাকিউরিয়াম দেখতে পারবেন।

খাবার সুবিধা

রিসোর্টের অভ্যন্তরে অবস্থিত রেস্টুরেন্টে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

মানচিত্র

Use two fingers to move the map
Mozaffer Garden Mosque
Mozaffer Garden Rd
Bangladesh
Map data ©2017 Google
Map
Satellite

আরো একই রকম স্থান