Showing posts with label ব্লগার​​ টিউন. Show all posts
Showing posts with label ব্লগার​​ টিউন. Show all posts

Tuesday, December 12, 2017

ব্লগারের জন্য আকর্ষণীয় Customize EU Cookies Notification Bar

সম্প্রতি সব ধরনের Blogspot এর ব্লগ ব্যবহারকারীরা তাদের ব্লগের ড্যাশবোর্ডে এ রকম একটি নোটিফিকেশন পেয়েছেন যে, European Union (EU) এর আইন অনুযায়ী সব ধরনের ব্লগে ভিজিটরদের ব্লগের Cookies সম্পর্কে Information দিতে হবে। এই জন্য Blogger Team সব ধরনের ব্লগের জন্য একটি নোটিফিকেশন যুক্ত করেছে, যাতে করে European Union (EU) এর আওতাধীন সকল দেশের ভিজিটররা ব্লগের Cookies সম্পর্কে Information দেখতে পায়। আসলে এটি European Union (EU) এর একটি নতুন আইন। কাজেই এটি সকল Blogspot ব্যবহারকরীকে মানতে হবে।
Customize-EU-Cookies-Notification-Bar
প্রকৃতপক্ষে এই আইনের মাধ্যমে European Union (EU) বিভিন্ন ওয়েব ডেভেলপারদের দায়িত্বশীলতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তারা ভাবছে এর ফলে সকল ধরনের ভিজিটররা যে কোন ওয়েবসাইট সম্পর্কে সহজে অনেক ধারনা নিতে পারবে। ব্লগার ড্যাশবোর্ডের নোটিফিকেশনটি দেখুন -
Customize-EU-Cookies-Notification-Bar
নোটিফিকেশনটি কোথায় শো করবেঃ এই নোটিফিকেশনটি European Union (EU) এর আওতাধীন সকল দেশে শো করবে। যেমন- Italy, France, UK, Denmark, Sweden, Greece, Germany ইত্যাদি। European Union (EU) আওতাধীন নয় এমন দেশে এই নোটিফিকেশনটি শো করবে না।

কিভাবে নোটিফিকেশনটি দেখবেনঃ আপনি European Union (EU) আওতাধীন নয় এমন দেশে অবস্থান করেন তাহলে এই নোটিফিকেশনটি দেখার জন্য আপনি আপনার ব্লগের এড্রেস এর পরে এই .prx.gb.teleport.to লাইনটি যুক্ত করে দেখতে পারেন। যেমন আমার ব্লগটি দেখতে চাইলে -
http://www.prozokti.com.prx.gb.teleport.to
এই নোটিফিকেশনটি কি বন্ধ করা যাবেঃ এক কথায় বলা যায় হ্যা, পারবেন। আপনি যদি আগে কখনো ব্লগে কাষ্টম নোটিফিকেশন যুক্ত করে রাখেন তাহলে এটি আপনার স্টাইল অনুযায়ী ব্লগের Cookies সম্পর্কে Notification দেবে। আর আপনি যদি না করে থাকেন তাহলে ব্লগার তার ডিফল্ট Cookies Notification ভিজিটরদের দেখাবে। সুতরা আপনি চাইবেন না যে, আপনার ব্লগের Cookies সম্পর্কে জানা থেকে কেউই বিরত থাকুক। তারপরও যদি আপনি এটিকে Disable করে রাখেন তাহলে আপনার ব্লগটি ব্যান হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

আপনি যদি ব্লগের Cookies Notification বন্ধ করতে চান তাহলে নিচের কোডগুলি ব্লগার টেমপ্লেটের </head> ট্যাগের উপরে যুক্ত করুন। এই অংটি কেবলমাত্র শেখার জন্য শেয়ার করছি।
<script type="text/javascript">
   cookieChoices = {};
</script>

 এটি কোথায় শো করবেঃ

  • আপনার ব্লগের Navbar টি যদি Hide করা না থাকে তাহলে এরকম দেখতে পাবেন।
Customize-EU-Cookies-Notification-Bar
  • Navbar টি Hide করা থাকলে এরকম দেখতে পাবেন।
Customize-EU-Cookies-Notification-Bar

 কিভাবে Customize EU Cookies Notification Bar যুক্ত করবেনঃ

  • প্রথমে আপনার ব্লগে লগইন করুন।
  • এরপর Template > Edit Html এ ক্লিক করুন।
  • তারপর কিবোর্ড হতে Ctrl+F চেপে ]]></b:skin>অংশটি সার্চ করুন।
  • এখন নিচের কোডগুলি কপি করে ]]></b:skin> ট্যাগের ঠিক নিচে পেষ্ট করুন।
<!--Custom EU Cookies Notifications-->
<script type="text/javascript">
  cookieOptions = {
  msg: 'This site uses cookies to help deliver services. By using this site, you agree to the use of cookies.',
  link: 'https://www.blogger.com/go/blogspot-cookies',
  close: 'Got it!',
  learn: 'Learn More' };
</script>
<style>
.cookie-choices-info {
    z-index:999999!important;
    background-color:#333333;
    color:#ffffff!important;
}
.cookie-choices-info .cookie-choices-button {
    background-color: #6FC415;
    border-radius: 2px!important;
    box-shadow: 2px 3px 2px #000;
    text-decoration:none;
}
</style>
  • সবশেষে Save Template এ ক্লিক করে Template টি Save করুন। Customize EU Cookies Notification Bar টি নিচের চিত্রেরমত দেখতে পাবেন।
Customize-EU-Cookies-Notification-Bar

 কাষ্টোমাইজেশনঃ

  • নোটিফিকেশন বারটির Background কালার পরিবর্তন করতে চাইলে উপরের লাল চিহ্নিত #333333 অংশটি পরিবর্তন করুন।
  • নোটিফিকেশন বারটির Button কালার পরিবর্তন করতে চাইলে উপরের Pink কালারের #6FC415 অংশটি পরিবর্তন করুন।

কিভাবে Blogspot ব্লগের Privacy Policy পেজ তৈরি করবেন?

একটি ব্লগকে পূর্ণাঙ্গ প্রফেশনাল রূপ দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় বিষয়ের বাহিরেও কিছু জিনিস করতে হয়। গুগল ব্লগারের ক্ষেত্রে Privacy Policy টা হচ্ছে সে রকম একটি বিষয়। ব্লগস্পট ব্লগের ক্ষেত্রে প্রাইভেসি পলিসি খুব বেশী প্রয়োজনীয় বা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে যারা গুগল এ্যাডসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করতে চাইছেন তারা অবশ্যই এ্যাডসেন্সের আবেদন করার পূর্বে ব্লগের জন্য একটি সুন্দর ও গঠনমূলক প্রাইভেসি পলিসি পেজ তৈরি করে নিবেন। কারণ এ্যাডসেন্স অনুমোদন করার সময় গুগল এ্যাডসেন্স টিম ব্লগের প্রাইভেসি পলিসি পেজ ঠিক আছে কি না তা যাচাই করার পর এ্যাডসেন্স অনুমোদন দেয়।
কিভাবে Blogspot ব্লগের Privacy Policy পেজ তৈরি করবেন?
প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের একটি সুনির্দিষ্ঠ প্রাইভেসি পলিসি থাকে। এই পলিসি অনুসারে কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা হয়ে থাকে। সুনির্দিষ্ট পলিসি ছাড়া কোন কোম্পানি গ্রাহকের কাছে গ্রহনযোগ্যতা পায় না। ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইটের বিষয়টা সে রকম না হলেও মোটামোটি কাছাকাছি। আপনার ব্লগটি হয়ত আজ সবার কাছে পরিচিত নয় বিধায় প্রাইভেসি পলিসির প্রয়োজন হচ্ছে না, কিন্তু যখন সবার কাছে পরিচিত হবে তখন অবশ্যই একটি সুন্দর প্রাইভেসি পলিসি এর প্রয়োজন হবে। কারণ পলিসি ছাড়া কারো সাইট সর্বমহলে বিশ্বস্ততা ও গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করতে পারবে না। তাছাড়া যত বড় বড় ওয়েবসাইট রয়েছে তাদের প্রত্যেকেরই সুনির্দিষ্ট পলিসি রয়েছে।

 প্রাইভেসি পলিসি কি?

প্রাইভেসি পলিসি এর বাংলা অর্থ হচ্ছে গোপনীয়তা নীতি। সাধারণ অর্থে কোন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কোম্পানি পরিচালনার সামগ্রীর নীতিকে বুঝানো হয়ে থাকে। ওয়েবসাইট বা ব্লগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নিয়ম ব্যতীত আরো কিছু বিষয় থাকে। আপনার ব্লগের পাঠকের তথ্য কিভাবে সংগ্রহ করছেন, কিভাবে সংগ্রহিত তথ্য ব্যবহার করছেন, সংগ্রহিত তথ্য কার কাছে দিচ্ছেন, পাঠকদের সাথে কিভাবে যোগাযোগ করছেন ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়কে বুঝানো হয়। প্রাইভেসি পলিসি পেজের মাধ্যমে আপনার পাঠকদের নিম্নবর্ণিত বিষয় সম্পর্কে অবগত করতে পারেন।
  • আপনার ব্লগের ভিজিটরদের কি কি তথ্য সংগ্রহ করছেন?
  • কিভাবে পাঠকদের তথ্য সংগ্রহ করছেন?
  • কেন ভিজিটরদের তথ্য সংগ্রহ করা প্রয়োজন?
  • আপনি অন্যদের ব্লগের পন্য প্রমোট করেন কি না?
  • সর্বোপরি আপনার ব্লগের কি ধরনের আদর্শ রয়েছে?

 প্রাইভেসি পলিসি পেজে কি কি থাকবে?

  • কি ধরনের তথ্য সংগ্রহ করছেনঃ এখানে আপনি পাঠকদের সামনে তুলে ধরবেন যে, যখন কেউ আপনার ব্লগে ভিজিট করে তখন আপনি কি তথ্য সংগ্রহ করে রাখছেন। এতেকরে পাঠক আপনার ব্লগের তথ্য সংগ্রহ করার পদ্ধতী জেনে সে পুনরায় ব্লগে ভিজিট করবে কি না সেটা নিশ্চিত হতে পারবে।
  • Log Data: বর্তমানে ইন্টারনেট ব্রাউজারগুলির মাধ্যমে ওয়েবসাইট ভিজিট করার পর ভিজিটরের আইপি এড্রেস এবং কোন ধরনের ব্রাউজার থেকে ভিজিট করছে ইত্যাদি বিষয়ে তথ্য মজুদ করে রাখে। আপনি এ ধরনের সংগ্রহিত তথ্য মজুদ রাখছেন কি না সে বিষয়ে পাঠকদের জানাতে পারেন।
  • Cookies: Cookies হচ্ছে ছোট ছোট ফাইল, যা ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে ভিজিটরদের কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভে সাইট বা পরিষেবা প্রদানকারীরা স্থানান্তর করে। European Union (EU) এর নিয়মানুসারে প্রত্যেকটি ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে ভিজিটকৃত ওয়েবসাইট সম্পর্কে ধারনা দেওয়ার জন্য Cookies ব্যবহার করতে হয়। এ ক্ষেত্রে আপনার ব্লগে Cookies ব্যবহার করছেন কি না সেটা পাঠকদের জানাতে পারেন।
  • সংগ্রহিত তথ্য নিরাপদ রাখেন কি নাঃ আপনি পাঠকদের যে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করছেন সেটা কোন ব্যক্তি বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পাঠকের অনুমতি ছাড়া হস্থান্তর করছেন কি না সে বিষয়ে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করতে পারেন।
  • তৃতীয় পক্ষের লিংক শেয়ারঃ আপনার ব্লগের ব্যক্তিগত স্বার্থে বা ব্যবসায়ের প্রয়োজনে অন্য কোন ওয়েবাসইটের লিংক আপনার ব্লগে শেয়ার করছেন কি না? যদি শেয়ার করে থাকেন তাহলে কেন বা কি উদ্দেশ্যে শেয়ার করছেন সে সম্পর্কে পাঠকদের অবহিত করতে পারেন।
  • সংগ্রহিত তথ্য রিসার্চ করেন কি নাঃ আপনার ব্লগ থেকে পাঠকদের যে তথ্যগুলি সংগ্রহ করছেন সেটা আপনি যাচাই বাছাই করে পাঠকদের মূল্যায়ন, সহায়তা, পরামর্শ প্রদান বা আপনার ব্লগের কোন সংশোধন, পরিবর্তন, সংযোজন ও পরিবর্ধন করেন কি না তাও পাঠকদের জানাতে পারেন।
  • শিশু সুরক্ষাঃ অনলাইনে শিশু সুরক্ষার ক্ষেত্রে খুবই কঠোর প্রন্থা অবলম্বন করে। আপনি যে ধরনের আর্টিকেল শেয়ার করে থাকেন, সেটি শিশুদের উপযোগী কি না সেটা পরিষ্কারভাবে পলিসিতে উল্লেখ করে রাখবেন। কারণ শিশুদের মানুষিক বিকাশে বাধাগ্রস্ত হবে এমন কিছু শেয়ার করে থাকলে আপনার ব্লগে সেটা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করে রাখবেন। সে ক্ষেত্রে আপনি আগেই লিখে রাখবেন যে, আপনার ব্লগে শিশুদের উপস্থিতি সম্পূর্ণ নিষেধ। তা না হলে আপনি যে কোন ধরনের আইনি জঠিলতায় পড়তে পারেন।
  • বিবিধ বিষয়ঃ এ ছাড়া আপনার ব্লগের যদি ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক কোন গোপনীয়তা থেকে থাকে সেগুলি সম্পর্কে পাঠকদের সংক্ষেপে ধারনা দিতে পারেন।

 ব্লগস্পট ব্লগের প্রাইভেসি পলিসিঃ

যারা গুগল ব্লগার ব্লগ ব্যবহার করছেন তাদের ক্ষেত্রে প্রাইভেসি পলিসিটা খুব বেশী গুরুত্বপূর্ণ নয়। কারণ যারা গুগল ব্লগার দিয়ে ব্লগিং করেন তারা গুগল এর প্রাইভেসি পলিসি ও Service Agreement মেনে ব্লগিং করেন। এ ক্ষেত্রে আপনি কোন ধরনের পর্ণগ্রাফি, হ্যাকিং, ক্রাকিং অর্থাৎ এক কথায় নিয়ম বহির্ভূত কোন কিছুই করতে পারেন না। কারণ গুগল এর নিয়ম না মেনে ব্লগিং করলে গুগল আপনার ব্লগ যে কোন সময় ডিলিট করে দেওয়ার অধিকার রাখে। তারপরও যারা ব্লগকে ভালভাবে ফুঠিয়ে তুলতে চান তারা অবশ্যই একটি পলিসি পেজ সুন্দরভাবে তৈরি করে নিবেন। এটা পাঠকদের কাছে আপনার ব্লগের গ্রহনযোগ্যতা বৃদ্ধি করবে।

 গুগল এ্যাডসেন্স পলিসিঃ

আপনি যদি গুগল এ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করেন তাহলে এ্যাডসেন্সের পলিসিগুলি মেনেই করতে হবে। যখন আপনি প্রথম এ্যাডসেন্স একাউন্টে লগইন করবেন তখন আপনাকে বলবে আপনি এই নিয়মগুলি মেনে আবেদন করছেন। এ ক্ষেত্রে আপনি নিয়মগুলি না মেনে এ্যাডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন না। আপনার ব্লগে গুগল এ্যাডসেন্স ব্যবহার করে থাকলে এ্যাডসেন্স বিজ্ঞাপন ব্যবহারের পলিসি সম্পর্কে আপনার ব্লগের প্রাইভেসি পলিসি পেজের মাধ্যমে ভিজিটরদের জানাতে পারেন। এ ছাড়াও আপনি অন্য কোন ধরনের বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে থাকলে সেটি সম্পর্কে পলিসি পেজে তুলে ধরতে পারেন।

 Email Subscription পলিসিঃ

ব্লগার ব্লগের ক্ষেত্রে ডিফল্টভাবে Email Subscription এর একটি উইজেট রয়েছে। আপনি যদি এই উইজেটটি ব্যবহার করে আপনার ব্লগটি সাবস্ক্রাইব করার অপশন রেখে থাকেন, সে ক্ষেত্রে সাবস্ক্রাইবারদের ইমেইল এড্রেস ও তথ্য কিভাবে সংগ্রহ করে ব্যবহার করছেন সেটি সম্পর্কে পাঠকদের পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেবেন। তাহলে যে কেউ আপনার ব্লগের পলিসি জেনে সাবস্ক্রাইব করবে কি না নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।

 কিভাবে ব্লগার ব্লগে Privacy Policy পেজ তৈরি করবেন?

  • প্রথমে আপনার কাঙ্খিত ব্লগে লগইন করতে হবে।
  • তারপর ব্লগার ড্যাশবোর্ড হতে Pages এ ক্লিক করে একটি পেজ তৈরি করে নিতে পারেন।
  • তারপর পেজের নাম Privacy Policy দিয়ে পেজের ভীতরে বিস্তারিত লিখবেন।
  • পেজের কমেন্ট করার অপশন অবশ্যই বন্ধ করে রাখবেন।
  • প্রফেশনাল Look দেওয়ার জন্য ব্লগের সাইডবার হাইড করে রাখতে পারেন।
সর্বশেষ পরামর্শঃ আপনি যদি বাংলায় আর্টিকেল পাবলিশ করে থাকেন তাহলে প্রাইভেসি পলিসি পেজটা অবশ্যই বাংলা তৈরি করবেন। অধিকাংশ বাংলা ব্লগে দেখা যায় যে, তাদের ব্লগের সকল কনটেন্ট বাংলা অথচ শুধুমাত্র প্রাইভেসি পলিসি পেজটা Auto Generate  করে ইংরেজীতে করে রেখেছে। বাংলা প্রাইভেসি পলিসি পজ তৈরি করার ক্ষেত্রে আমাদের ব্লগের প্রাইভেসি পলিসি পেজটি অনুসরণ করতে পারেন। তবে আপনি ইংলিশে ব্লগিং করে থাকলে ভালমানের ব্লগগুলিকে অনুসরণ করতঃ আমাদের আজকের পোষ্টটি মেনে তৈরি করতে পারেন। যদি নিজে প্রাইভেসি পলিসি লিখতে সক্ষম না হন, সেক্ষেত্রে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে এই লিংক থেকে আপনার ব্লগের সকল তথ্য পুরন করে একটি পলিসি পেজ তৈরি করে নিতে পারেন।

Sunday, December 3, 2017

কিভাবে ব্লগ Bing এবং Yahoo সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে হয়?

কিছু দিন আগে Blogger Sitemap তৈরী এবং Google Search Engine এ সাবমিট করার পদ্ধতি সংক্রান্ত একটি পোষ্ট শেয়ার করেছিলাম। সেখানে আপনাদের দেখিয়েছিলাম কিভাবে শুধুমাত্র Google Search Engine এ কোন ব্লগ/ওয়েবসাইট সাবমিট করতে হয়। তারই ধরাবাহিকতায় আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো, কিভাবে যে কোন ব্লগ/ওয়েবসাইট Bing এবং Yahoo সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে হয়।

-
বন্ধুরা, ঈদ-ঊল-আযহার মাত্র ০৩ তিন বাকী আছে। সবাই নিশ্চয় ঈদের আনন্দ উপভোগ করার জন্য যার যার সামর্থ অনুসারে প্রস্তুতি শেষ করে নিয়েছেন। ঈদের অনাবিল আনন্দ সকল স্তরের মানুষ সমানভাবে উপভোগ করতে পারে সেই কামনাই করি। সবাইকে “প্রযুক্তি ডট কম” এর পক্ষ্য থেকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক।
কিভাবে ওয়েবসাইট Bing এবং Yahoo সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে হয়
বর্তমান সময়ে সার্চ ইঞ্জিনের ৮০% কাজ সবাই গুগল সার্চ ইঞ্জিন হতে সেরে নেয় এবং বাকী ২০% Bing ও Yahoo সার্চ ইঞ্জিন হতে সম্পন্ন করে। এই জন্য সবাই গুগল সার্চ ইঞ্জিনকে টার্গেট করে। তবে বাকী ২০% পেতে চাইলে আপনার ওয়েবসাইটটি অবশ্যই Bing ও Yahoo সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে হবে।

Blogger Sitemap কিঃ সাইটম্যাপ হচ্ছে আপনার ব্লগের সার সংক্ষেপ। কোন একটি দেশের কিংবা স্থানের Map যদি আপনার হাতে থাকে তাহলে সহজে আপনি যে কোন জায়গা নির্ধারন করতে পারবেন। যেমন-সিলেট শহরের ম্যাপটা যদি আপনার হাতে থাকে তাহলে আপনি সম্পূর্ণ সিলেট শহর সম্পর্কে সু-স্পষ্ট ধারনা নেওয়ার পাশাপাশি সিলেট শহরের কোথায় কি আছে তাও জানতে পারবেন। তেমনি আপনি যদি আপনার ব্লগটি Search Engine এ সাবমিট করে রাখেন তাহলে Search Engine গুলি আপনার ব্লগ এর কোথায় কি আছে তা জেনে নিতে পারবে। এতেকরে Search রোবট আপনার পোষ্টগুলি Crawl এবং Index করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনে সাবার সামনে নিয়ে যাবে। আর সার্চ ইঞ্জিনে নিয়ে যাওয়া মানেই হচ্ছে আপনার ব্লগের ভিজিটর বেড়ে যাওয়া। মূলত Blogger Sitemap সাবমিট করার উদ্দেশ্য হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন হতে আপনার ব্লগে ভিজিটর নিয়ে আসা।

 কিভাবে Bing এ সাইটম্যাপ সবমিট করবেনঃ

  • প্রথমেই আপনার একটি Microsoft ID অর্থাৎ Hotmail ID থাকতে হবে।
  • তারপর ঐ আইডি দিয়ে Bing Webmaster Tools এ লগইন করুন।
  • লগইন করার পর নিচের চিত্রটি দেখতে পাবেন।
কিভাবে ওয়েবসাইট Bing এবং Yahoo সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে হয়
  • উপরের চিত্রে আপনার ব্লগের Url টি দিয়ে Add বাটনে ক্লিক করলেই নিচের চিত্রটি দেখতে পাবেন।
কিভাবে ওয়েবসাইট Bing এবং Yahoo সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে হয়
  • এখানে Url এর জায়গায় আপনার ব্লগের এড্রেসি দেন।
  • তারপর Add a Sitemap এর জায়গায় নিচের লাইনটি যুক্ত করুন। নিচের prozokti এর স্থলে আপনার ব্লগের এড্রেস দেবেন।
http://www.prozokti.com/atom.xml?redirect=false&start-index=1&max-results=150
  • এরপর নিচের দিকের সব তথ্যগুলি দিয়ে Save বাটনে ক্লিক করলেই নিচের চিত্রটি শো করবে।
কিভাবে ওয়েবসাইট Bing এবং Yahoo সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে হয়
  • এখন উপরের চিত্রের Meta Tag টি কপি করে আপনার ব্লগের <head> ট্যাগের নিচে পেষ্ট করে Template Save করুন।
  • তারপর নিচের দিকে একটি Verify বাটন দেখতে পাবেন। নিচের চিত্রে দেখুন-
কিভাবে ওয়েবসাইট Bing এবং Yahoo সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে হয়
  • উপরের চিত্রের লাল চিহ্নিত Verify বাটনে ক্লিক করলেই কাজ শেষ।
কিভাবে Yahoo এ সাইটম্যাপ সবমিট করবেনঃ Bing Search Engine এ সাইট সাবমিট করার পর Yahoo সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইট সাবমিট করার কোন প্রয়োজন হয় না। কারণ Bing এ সাইট সাবমিট করার পর Yahoo সার্চ ইঞ্জিনে অটোমেটিক আপনার ব্লগ/ওয়েবসাইট সাবমিট হয়ে যাবে। এ নিয়ে আমি পরবর্তী কোন পোষ্টে বিস্তারিত আলোচনা করবো, ইনশাআল্লাহ্।

 আপডেটঃ

ব্লগের Atom Feed এর এক পাতায় পূর্বে 500 টি পোষ্ট শো করত কিন্তু সম্প্রতি ব্লগার টিম এটিকে 500 পোষ্ট এর পরিবর্তে ১৫০ টি পোষ্ট করে। সেই জন্য এখন XML এ 500 এর পরিবর্তে 150 ব্যবহার করতে হবে। যারা এখনো পূর্বের নিয়মানুসারে 500 টি ব্যবহার করছেন তাদের ব্লগের 150 টি পোষ্টের বেশী সার্চ ইঞ্জিনে Index হবে না। সেই জন্য পূর্বের XML Sitemap টি ডিলিট করে নতুন সাইটম্যাপ ওয়েবমাষ্টার টুলসে সাবমিট করতে হবে। আপনার ব্লগে যদি 150 টির বেশী পোষ্ট থাকে তাহলে বিষয়টির সত্যতা ওয়েবমাষ্টার টুলস হতে যাচাই করতে পারবেন। নিচে দেখুন কিভাবে পুরাতন XML Sitemap এর পরিবর্তে নতুন XML Sitemap ব্যবহার করতে হবে। (নোটঃ আপনার যদি পূর্বে কোন Sitemap সাবমিট করা না থাকে তাহলে আপডেট অংশটি ফলো করার প্রয়োজন নেই)।
  • প্রথমে Bing Webmaster Tools এ লগইন করুন।
  • তারপর ওয়েবমাষ্টার টুলস এ নিচের চিত্রটি দেখতে পাবেন।
কিভাবে ব্লগ Bing এবং Yahoo সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে হয়?
  • এখন উপরের চিত্র হতে Configure My Site হতে Sitemaps এ ক্লিক করলে নিচের চিত্রেরমত আপনার পুরনো সাইটম্যাপ দেখতে পাবেন।
কিভাবে ব্লগ Bing এবং Yahoo সার্চ ইঞ্জিনে সাবমিট করতে হয়?
  • উপরের চিত্রেরমত আপনার পূরনো সাইটম্যাপগুলি ডিলিট করুন।
  • এখন আগের নিয়মে নিচের XML সাইটম্যাপটি সাবমিট করুন।
http://www.prozokti.com/atom.xml?redirect=false&start-index=1&max-results=150
  • আপনার ব্লগে যদি 150 টির বেশী পোষ্ট থাকে তাহলে নিচের লাইন দুটি আলাদাভাবে দুই বারে সাবমিট করুন।
http://www.prozokti.com/atom.xml?redirect=false&start-index=1&max-results=150
http://www.prozokti.com/atom.xml?redirect=false&start-index=151&max-results=150
  • উপরের Feed দুটি মোট 300 টি পোষ্ট Index হবে। আপনার ব্লগে যদি তার চাইতেও বেশী পোষ্ট থাকে, তাহলে 151 এর পরিবর্তে 301 দিয়ে পুনরায় আরেকটি Feed সাবমিট করবেন। এভাবে আপনার ব্লগে যত পোষ্ট থাকবে সংখ্যাটি পরিবর্তন করে নতুন ফীড সাবমিট করতে হবে।

কেন আপনার ওয়েবসাইট Google Search Result Page এ Show হচ্ছে না?

সাধারণত সার্চ ইঞ্জিনে কোন কিছু খোঁজার ক্ষেত্রে কেউ যদি তার কাঙ্খিত Keyword এর বিষয়বস্তু প্রথম পেজে না পায়, তাহলে সে দ্বিতীয় পেজে না খোঁজে নতুন কোন Keyword ব্যবহার করে পুনরায় সার্চ করে। এ ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের কোন একটি পোষ্ট যদি সার্চকারীর Keyword অনুসারে সার্চ রেজাল্টের প্রথম পাতায় চলে আসে, তাহলে অনায়াসে সে আপনার পোষ্টটি ভিজিট করবে। এ ভাবে আপনার ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি পোষ্ট সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় নিয়ে আসতে পারলে আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক নিয়ে কোন চিন্তা করতে হবে না।
কেন আপনার ওয়েবসাইট Google Search Result Page এ Show হচ্ছে না?
আজকের পোষ্টটি শুধুমাত্র Google Search Engine কে কেন্দ্র করে। কারণ শুধুমাত্র গুগল সার্চ ইঞ্জিনকে টার্গেট করে ব্লগ পোষ্টগুলি সার্চ রেজাল্টের প্রথম পাতায় অবস্থান করাতে পারলে সফলতা অনায়াসে হাতে ধরা দেবে। তাছাড়া বর্তমানে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের জনপ্রিয়তা সবার শীর্ষে থাকার কারনে অন্য সার্চ ইঞ্জিনগুলি টার্গেট না করলে পর্যাপ্ত ভিজিটর পাওয়ার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হবে না।

 কেন ব্লগ পোষ্ট সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শন হচ্ছে না?

নিম্নলিখিত কারনে আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের পোষ্ট সার্চ রেজাল্টে আসবে না। এই সবগুলি বিষয় নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব। তবে তার আগে সংক্ষেপে টপিকগুলি দেখে নেই।
  • গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ব্লগ Index হয়নি।
  • আপনার ব্লগে No Index ট্যাগ যুক্ত করা।
  • আপনার ব্লগটি সার্চ ইঞ্জিন Crawler এর জন্য উপযোগী নয়।
  • ব্লগের আর্টিকেল এর Competitor বেশী।
  • গুগল সার্চ ইঞ্জিন আপনার ব্লগটি Removed করে দিয়েছে।

 গুগল সার্চ ইঞ্জিনে ব্লগ Index হয়নিঃ

সাধারণত আপনার ব্লগটি বা ব্লগ পোষ্টগুলি নতুন হয়ে থাকলে সার্চ ইঞ্জিনে Index হতে সময় নেওয়ার কারণ গুগল সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শণ হতে কিছুটা সময় নেবে। যেকোন নতুন কোম্পানি শুরু করার পর যেমনি মানুষের কাছে পরিচিত হতে সময় লাগে তেমনি নতুন ব্লগ হলে সার্চ ইঞ্জিনে Index হতে সময় লাগে। আপনার ব্লগটি একদম নতুন হয়ে থাকলে সাধারণ নিয়মে পোষ্ট সার্চ রেজাল্টে আসতে ৪-৫ সপ্তাহ সময় নেবে।

-
সার্চ ইঞ্জিনে পোষ্ট দ্রুত Index করানোর জন্য আপনার ব্লগটি Google Webmaster Tools এ সাবমিট করতে পারেন। গুগল ওয়েবমাষ্টার টুলস এ সাবমিট করলে গুগল আপনার ব্লগের সকল পোষ্টগুলি অটোমেটিক্যালি দ্রুত ইনডেক্স করে সার্চ রেজাল্টে নিয়ে আসবে। তবে আপনি যদি Google Webmaster Tools এ সাইট সাবমিট করতে না চান, সেক্ষেত্রে এই লিংক থেকে আপনার সকলে পোষ্টগুলি একটি একটি করে সাবমিট করতে পারেন। এ উপায়ে কোন ধরনের একাউন্ট করার প্রয়োজন হবে না। তবে এ কাজটি ম্যানুয়ালি না করে Webmaster Tools এ একটি একাউন্ট করে সাইট সাবমিট করার পক্ষে আমি আপনাকে পরামর্শ দেব।

 ব্লগে No Index ট্যাগ যুক্ত করাঃ

No Index ট্যাগের মাধ্যমে একটি ব্লগের বিভিন্ন পোষ্ট এমনকি সম্পূর্ণ ব্লগ সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টে প্রদর্শন না করানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা যায়। এই ক্ষেত্রে আপনার ব্লগটির ডিজাইনার যদি ভূলবশত ব্লগের ভীতরে No Index ট্যাগ যুক্ত করে রাখেন, সেক্ষেত্রে হাজার চেষ্টা করেও পোষ্ট সার্চ ইঞ্জিনে Index করতে পারবেন না। সব চেষ্টা করার পরও আপনার ব্লগটি Index না হলে ব্লগে No Index ট্যাগটি আছে কি না ভালভাবে যাচাই করে নিবেন। গুগল ব্লগের Themes এর ভীতরে এই ট্যাগটি যুক্ত না করে সরাসরি ড্যাশবোর্ড হতে যুক্ত করে নেওয়া যায়। এ ব্যাপারে আমাদের ব্লগে বিস্তারিত পোষ্ট রয়েছে। আপনি ইচ্ছে করলে পোষ্টটি দেখে নিতে পারেন।

 ব্লগ সার্চ ইঞ্জিন Crawler এর জন্য উপযোগী নয়ঃ

কেউ যখন তার ব্লগের নতুন কোন পোষ্ট পাবলিশ করে তখন সার্চ ইঞ্জিনের স্পাইডার কনটেন্ট ক্রল করার জন্য পোষ্টের প্রত্যেকটি আর্টিকেল ভিজিট করে। গুগল ক্রলার এর মাধ্যমে ব্লগের কনটেন্ট সম্পর্কে ধারনা নেয়, কিন্তু এ ধারনা মানুষ যেভাবে নেয় সেই তুলনায় একটু ভিন্ন ধরনের হয়। সাধারণত সার্চ ইঞ্জিন ক্রলার বা রোবট পোষ্টের টাইটেল, Meta Descriptions, Keywords সহ আরো বিভিন্ন বিষয়ে ক্রল করে পোষ্ট সম্পর্কে মূল্যায়ন করে। এ ক্ষেত্রে ব্লগের কনটেন্ট এর মান ভাল হয়ে থাকলে সার্চ ইঞ্জিন বট আপনার পোষ্টটিকে গুরুত্ব দিয়ে সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শণ করবে। সে জন্য আপনার ব্লগের কনটেন্ট Crawler এর উপযোগী করার ব্লগের কনটেন্ট উপর গুরুত্ব দিতে হবে, অর্থাৎ ভালমানের আর্টিকেল শেয়ার করতে হবে।

 ব্লগের আর্টিকেল এর Competitor বেশীঃ

আপনি যে ধরনের বিষয় বা আর্টিকেল নিয়ে ব্লগিং করছেন সেই ধরনের কনটেন্ট ইতোপূর্বে খুব বেশী পরিমানে শেয়ার করা হয়ে থাকলে আপনার ব্লগের কনটেন্ট সার্চ রেজাল্টে আনার ক্ষেত্রে খুব কঠিন হয়ে যাবে। বর্তমানে ব্লগিং এর প্রসার এত বেশী পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে যে, সবাই এখন ব্যক্তিগত ব্লগ তৈরি করে অনলাইনে বিভিন্ন বিষয়ে ব্লগিং করছে। এই জন্য অনলাইনে যে ধরনের আর্টিকেল কম শেয়ার করা হচ্ছে সেই ধরনের আর্টিকেল নিয়ে ব্লগিং করতে পারলে Competitor কমিয়ে সার্চ ইঞ্জিন হতে সহজে ট্রাফিক বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে। তবে সেটা সম্ভব না হলে আপনি যে বিষয়ে ভাল জ্ঞান রাখেন সে বিষয়টি অন্যদের চাইতে ভালভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করবেন। এ কাজটি করতে পারলে অন্যদের সাথে কম্পিটিশনের পাল্লা দিয়ে ট্রাফিক বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবেন।

 ব্লগটি গুগল সার্চ ইঞ্জিন Removed করে দিয়েছেঃ

গুগল এর নিয়ম না মেনে কনটেন্ট পাবলিশ করা হলে গুগল স্থায়ীভাবে আর্টিকেল Index করা বন্ধ করে দেয়। এ ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে, আপনি যে বিষয় নিয়ে ব্লগিং করছেন সেটি গুগল Quality Guidelines অনুসারে হচ্ছে কি না। গুগল Quality Guidelines না মেনে ব্লগিং করলে Google আপনার সাইটটিকে Index হওয়া থেকে স্থায়ীভাবে বিরত থাকবে। নিম্নলিখত কারনে গুগল একটি ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিন হতে স্থায়ীভাবে Removed করে দিতে পারে।
  • Deindexed: তখন গুগল আপনার ব্লগটি সার্চ ইঞ্জিন হতে Complete ভাবে রিমুভ করার ফলে ধরে নেবে এই সাইটটি স্থায়ীভাবে ব্যান হয়েগেছে।
  • Penalized: যখন আপনার ব্লগ ও ব্লগ পোষ্ট বিদ্যমান থাকবে কিন্তু গুগল সার্চ ইঞ্জিনে খুজে পাওয়া যাবে না বা সার্চ ইঞ্জিন হতে কেউ ভিজিট করবে না, তখন Google অ্যালগরিদম থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ব্লগটি স্থায়ীভাবে Removed হয়ে যাবে।
  • Sandboxed: আপনার ব্লগে পর্যাপ্ত ট্রাফিক ছিল কিন্তু হঠাৎ করে কল্পাতিতভাবে ভিজিটর হ্রাস পাওয়ার কারনে গুগল ধরে নিবে আপনার সাইটটি বন্ধ হয়েগেছে। এ সংক্রান্ত কারনেও গুগল আপনার ব্লগটি Remove করে দিতে পারে।
উপরোক্ত বিষয় ছাড়াও আরো কিছু কারনে গুগল আপনার ব্লগটিকে স্থায়ীভাবে ব্যান করে দিতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনার ব্লগটি Google Webmaster Tools সাবটি করা থাকলে গুগল আপনার ব্লগটি ব্যান করার পূর্বে কিছু পরামর্শ দিতে পারে। আপনি যদি সেগুলি সংশোধন করতে পারেন, তবে তারা আপনার ব্লগটি ব্যান না করে পুনরায় সার্চ ইঞ্জিনে নিয়ে আসতে পারে। এ ক্ষেত্রে ব্লগ Webmaster Tools এ সাবমিট করা না থাকলে এ ধরনের কোন নোটিফিকেশন বা অবহিত হওয়ার সুযোগ থাকে না।

 কিভাবে Google Search Result এ ব্লগ Show করাবেন?

  • সঠিক SEO: সার্চ ইঞ্জিনের পাতায় ব্লগ শো করানো কিংবা সার্চ ইঞ্জিন হতে ব্লগে ট্রাফিক বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে এসইও এর বিকল্প কিছুই নেই। আপনার ব্লগে সকল বিষয়গুলি যত ভালভাবে এসইও করে শেয়ার করতে পারবেন সার্চ ইঞ্জিন আপনার ব্লগটি তত বেশী গুরুত্ব দেবে। এসইও এর ক্ষেত্রে ব্লগে Keywords বাছাই, অন-পেজ অপটিমাইজ ও অফ-পেইজ অপটিমাইজেশন এর বিষয়ে বেশী গুরুত্ব দিতে হবে।
  • যথাস্থানে Keywords ব্যবহারঃ সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে Keywords ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ ইন্টারনেটে যত কিছু খুজা হয়ে থাকে তার সবটাই Keywords ব্যবহার করে সার্চ করা হয়। পোষ্টের ভীতরে গুরুত্বপূর্ণ Keywords গুলি যথাস্থানে ব্যবহার করতে পারলে সার্চ ইঞ্জিনের পাতায় পোস্ট শো করার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
  • Meta Tags ব্যবহারঃ সাধারণত বাহ্যিক দৃষ্টিতে Meta Tag দেখা যায় না বিধায় অধিকাংশ ব্লগাররা বিষয়টা গুরুত্ব দেন না। অথচ সার্চ ইঞ্জিন ব্লগের টাইটেল এর পরেই Meta Tag গুলিকে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে আমাদের পূর্বের অনেক পোষ্ট রয়েছে। বিস্তারিত জানার জন্য পোষ্টগুলি দেখতে পারেন।
  • কম Competitions যুক্ত বিষয় বাছাইঃ বর্তমানে অনলাইন বিশাল বড় একটা মার্কেট ও জ্ঞানের ভান্ডার। এখানে যে বিষয়ে সার্চ দিবেন সে বিষয় হাতের নাগালে পেয়ে যাবেন। এ ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি নিয়ে ইতোপূর্বে কম লেখা হচ্ছে সে বিষয়ে ব্লগিং করতে পারলে আপনার Competitions কমে যাবে। ব্লগিং শুরুর পূর্বে এ কাজটি করতে পারলে আপনার জন্য সুবিধা হবে।
  • Backlinks বৃদ্ধিঃ সার্চ রেজাল্টে নিজের ভালো অবস্থান তৈরির ক্ষেত্রে Backlinks খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। আপনার ব্লগটিকে যদি Search Engine এর কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং গ্রহনযোগ্য করে তুলতে চান তাহলে অবশ্যই আপনার ব্লগের Backlinks তৈরী করতে হবে। যার ব্লগের Backlinks যত বেশী তার ব্লগটি সার্চ ইঞ্জিনের কাছে তত বেশী গ্রহনযোগ্যতা পাবে।
  • Google My Business ব্যবহারঃ আপনার ব্লগটি Google My Business এর মাধ্যমে গুগল ম্যাপ এ যুক্ত করে নিয়ে ভেরিফাই করতে পারলে সার্চ ইঞ্জিন সহজে আপনার ব্লগের বা ব্যবসায়িক ব্লগের অবস্থান নির্ণয় করে সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে সহজে ভোক্তাদের কাছে পৌছে দেবে। এই বিষয়টি আপনার ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে অধিক গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে। তাছাড়া Local ব্যবসা ও ব্লগিং এর ক্ষেত্রে এ বিষয়টি গুগল সার্চ এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।
  • বিবিধ বিষয়ঃ এ ছাড়াও একটি ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ করে তুলার জন্য অনেক ধরনের এসইও টেকনিক রয়েছে, যার অধিকাংশ বিষয় ইতোপূর্বে আমাদের ব্লগে শেয়ার করেছি। সে জন্য এ বিষয়গুলি পুনরায় লিখে পাঠকদের মনে বিরক্তির কারণ হতে চাইছি না। আপনি যদি এসইও সম্পর্কে দক্ষতা অর্জন করতে চান তাহলে আমাদের পোষ্টগুলি পড়তে পারেন।
সর্বশেষঃ আমার সবগুলি আর্টিকেল টাইপের পোষ্টের ভীতরে শেষ কথা, সর্বশেষ ও সাহায্য জিজ্ঞাসা এ ধরনের একটি পেজ রাখি, যাতেকরে আমাদের পাঠকদের মনে খটকা থাকলে সেটি কমেন্টের মাধ্যমে দূর করতে পারে। আসলে আমরা চাই ব্লগের পাঠক ও আমাদের ব্লগের লেখকদের মধ্যে দূরত্ব কমে উভয়ের মধ্যে কমিউনিকেশন তৈরি হউক। অবশেষে সব পোষ্টের ন্যায় আবারও বলব আপনাদের মনে কোন প্রশ্ন থাকলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আমরা আপনার প্রশ্নের যথাযথ সমাধান দেয়ার সর্বাত্মক চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ। তবে তার আগে আরেকটি কথা বলে নিচ্ছি যে, আপনি যে বিষয় নিয়ে ব্লগিং করেন না কেন সেটা যেন হয় ইউনিক, ভালমানের ও অন্যের ব্লগ থেকে কপি করা নয় এমন বিষয়।

কিভাবে Google এর প্রথম পাতায় পোষ্ট Show করাবেন?

 ব্লগার কিংবা ওয়েবমাষ্টার যতক্ষন পর্যন্ত তার ব্লগের পোষ্টগুলি গুগল সার্চ রেজাল্টের প্রথম পাতায় শো করাতে না পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত ব্লগে পর্যাপ্ত অর্গানিক ট্রাফিক পাবে না। অনলাইন মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে অর্গানিক ট্রাফিক ছাড়া কোন ভাবে সফলতার ধারপ্রান্তে পৌছা সম্ভব নয়। গুগল সার্চ ইঞ্জিনকে যথাযথভাবে অপটিমাইজ করতে পারলে কেবলমাত্র সার্চ রেজাল্টের প্রথম পাতায় অবস্থান নেওয়া সম্ভব হবে। যখন একটি ব্লগের বেশীরভাগ পোষ্ট সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় শো করবে তখন ভিজিটর দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকবে।
কিভাবে Google এর প্রথম পাতায় পোষ্ট Show করাবেন?
আজ আমি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটে ৯০% এর বেশী লোক গুগল সার্চ ইঞ্জিন ব্যবহার করে ইন্টারনেটে কোন কিছু খুজে থাকে। সে জন্য আপনি যথাযথভাবে এসইও করে গুগল সাার্চ রেজাল্টের প্রথম পাতায় আপনার ব্লগের পোষ্ট শো করাতে পারলে সার্চ ইঞ্জিন হতে পর্যাপ্ত ভিজিটর পেয়ে ব্লগের ভাল র‌্যাংকিং করতে পারবেন।
-

 স্থানীয় কীওয়ার্ড খুজাঃ

আপনার ব্লগটি যদি বাংলায় হয়ে থাকে কিংবা যে কোন নির্দিষ্ট দেশ বা স্থানীয় বিষয়ে আর্টিকেল শেয়ার করে থাকেন তাহলে আপনাকে ঐ দেশ ও এলাকার লোকজন কী ধরনের কীওয়ার্ড ব্যবহারে করে ইন্টারনেটে সার্চ করছে সে বিষয়টি খুজে বের করতে হবে। কারণ গুগল বর্তমানে Local বিষয় নিয়ে লিখা ওয়েবসাইটগুলিকে সহজে সনাক্ত করতে পারে। এ ক্ষেত্রে আপনি যদি স্থানীয় কীওয়ার্ড অপটিমাইজ না করে ব্লগি করেন তাহলে গুগল আপনার ব্লগের পোষ্ট কোন দেশে বেশী গুরুত্ব দেবে সেটা বুঝতে পারবে না। যার ফলে সারা বিশ্বব্যাপী প্রদর্শন করতে গিয়ে আপনার টার্গেটেড দেশ বা স্থানটি বাদ পড়ে যাবে। এ বিষয়টি করার জন্য গুগল ওয়েমাষ্টার টুলস এ আপনার ব্লগটির টার্গেটেড দেশ সিলেক্ট করে দেবেন। তাহলে সেই দেশের লোকজন যখন সার্চ করবে তখন গুগল আপনার ব্লগটি সেই দেশের সার্চের ক্ষেত্রে অধিক গুরুত্ব দেবে। 

এ কাজটি করার জন্য আপনি আরো কিছু বিষয় যুক্ত করতে পারলে গুগল আপনার ব্লগটির লোকেশন সহজে সনাক্ত করে নিতে পারবে। গুগল ম্যাপ এ আপনার ব্লগের Url, নাম, ঠিকানা ও ফোন নাম্বার যুক্ত করার মাধ্যমে আপনার ব্লগের অবস্থান সম্পর্কে গুগলকে জানিয়ে দিতে পারেন। গুগল ম্যাপে যুক্ত করা ঠিকানাটা Google My Business হতে ভেরিফাই করে নিতে পারলে লোকাল সার্চের ক্ষেত্রে আরো সুবিধা নিতে পারবেন।

 আন্তর্জাতিক ব্লগের গঠনঃ

আপনি যদি সমগ্র বিশ্বকে টার্গেট করে ব্লগিং করেন তাহলে ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভিজিটর ও সার্চ ইঞ্জিনকে পরিষ্কার ধারনা দেওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ পেজ রাখতে হবে। এই পেজগুলি না থাকলে আপনার ব্লগের গুরুত্ব সার্চ ইঞ্জিনের কাছে কমে যাবে। তবে যারা লোকাল বা বাংলা ভাষায় ব্লগিং করেন তাদের ক্ষেত্রে এই পেজগুলি না থাকলেও কোন সমস্যা হবে না। তবে পেজগুলি রাখলে বেশ ভালো হয়।
  • About Us: এটি অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি পেজ। এখানে আপনার ব্লগ এবং আপনাদের সম্পর্কে বিস্তারিত পরিষ্কারভাবে তুলে ধরবেন।
  • Contact Us: ভিজিটর যাথে আপনাদের সাথে যে কোন প্রয়োজনে যোগাযোগ রাখতে পারে সে জন্য একটি যোগাযোগ ফরম রাখবেন। এটি আপনার ব্লগের পাঠকদের সাথে কমিউনিকেশন তৈরি করবে।
  • Privacy Policy: আপনাদের ব্লগের গোপনীয় নীতি মেনে কিভাবে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতঃ সেটা কাজে লাগান বা ব্যবহার করেন সে বিষয়ে তুলে ধরবেন।
  • Term and Conditions: অনেক ব্লগ ব্যবহারের ক্ষেত্রে শর্ত আরূপ করা হয়ে থাকে। আপনার ব্লগের এ রকম কিছু থাকলে সেটিও ব্লগে উল্লেখ করে রাখবেন।
  • Sitemap: একটি ব্লগের পূর্ণাঙ্গ ধারনা সংক্ষেপে তুলে ধরার জন্য সাইটম্যাপ তৈরি করা হয়। এটি আপনার ব্লগকে সার্চ ইঞ্জিন এর কাছে সংক্ষেপে উপস্থাপন করে ব্লগ সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারনা দেবে।
উপরের পেজগুলি নুতনদের জন্য সম্পূর্ণ অপ্রয়োজনীয় মনে হতে পারে। তবে যখন আপনার ব্লগটির পরিচিতি বাড়তে থাকবে তখন নিজে এই পেজগুলির অভাব অনুধাবন করতে পারবেন। কাজেই যে কোন ধরনের ব্লগিং এর ক্ষেত্রে ব্লগ তৈরির প্রথম পর্যায়ে পেজগুলি রেখে দেওয়াটাই উত্তম হবে।

 মান সম্পন্ন ব্লগ তৈরিঃ

মান সম্মত বলতে ব্লগের সার্বিক অনেক বিষয়কে নির্দেশ করে। একটি ব্লগ শুরু করার পর ব্লগের গঠন আকর্ষণীয় রাখার পাশাপাশি আরো অনেক বিষয়ে খেয়াল রাখতে হয়। নিচে মানসম্মত ব্লগের প্রথমিক কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।
  • Original Content: ব্লগে ট্রাফিক পাওয়ার ক্ষেত্রে ভালমানের Original Content এর বিকল্প কিছুই নেই। আপনার ব্লগে যত ভালমানের ইউনিক কনটেন্ট শেয়ার করতে পারবেন সার্চ ইঞ্জিন তত বেশী আপনার ব্লগের অনুকুলে থাকবে। বিশেষ করে গুগল সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ইউনিক কনটেন্ট এর মূল্য এতটাই বেশী যে, বর্ণনা করে কোনভাবে শেষ করা যাবে না। তাছাড়া ভালমানের কনটেন্ট ছাড়া এসইও করে কোন ফলাফল পাওয়া যাবে না। আমি প্রায় সময় আমার ক্লায়েন্টদের এসইও বিষয়ে কাজ করে দেই। কাজ নেওয়ার পূর্বে আমার ক্লায়েন্ট এর কাছ থেকে জেনে নেই তার ব্লগে ভালমানের কনটেন্ট আছে কি না। ভালমানের কনটেন্ট ছাড়া আমি কখন এসইও করার কাজ হাতে নেই না। কারণ অরিজিনাল কনটেন্ট ছাড়া আমি কোনভাবেই সার্চ ইঞ্জিন হতে ট্রাফিক এনে দিতে পারব না।
  • Navigation: ওয়েবসাইটের ডিজাইন সুন্দর রাখার পাশাপাশি ব্লগের নেভিগেশন সুন্দর জায়গায় রাখার চেষ্টা করবেন। ভিজিটরের দৃষ্টি সহজে আকর্ষণ করবে না এমন জায়গায় নেভিগেশন রাখলে পাঠক আপনার ব্লগে ভিজিট করে বেশীক্ষণ না থেকে ব্লগ ত্যাগ করে চলে যাবে।
  • Breadcrumbs: এটির মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন ও ভিজিটর উভয়ে আপনার ব্লগ পোষ্টের ক্যাটাগরি এবং লোকেশন সহ আরো অনেক বিষয়ে স্বচ্ছ ধারনা নিতে পারবে। বিশেষ করে এই Breadcrumbs লিংকগুলির মাধ্যমে এক ধরনের Internal Backlinks তৈরির সুবিধা নেওয়া যায়।
  • Search Box: যে ব্লগে সার্চ বক্স নেই সেই ব্লগ গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ সার্চ বক্স এমন জায়গাতে রাখবেন যাতে খুব সহজে ভিজিটরদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে।

 Responsive Design:

Responsive Web Designs বর্তমান সময়ে একটি প্রফেশনাল ওয়েব ডিজাইনে পরিনত হয়েছে। এক সময় ছিল যখন কোন ব্লগ/ওয়েবসাইট Responsive ছিল না, কিন্তু সমপ্রতি সকলেই তাদের ব্লগকে Responsive Designs আকারে গঠন করে নিচ্ছেন। টপ লেভেলের ব্লগ ডিজাইনাররা বিভিন্ন ছোট বড় ডিভাইসের উপযোগী করার জন্য তাদের ব্লগগুলি Responsive করে নিয়েছেন। তাছাড়া যে কোন Responsive ব্লগের স্পীড অন্যান্য নরমাল ব্লগের চাইতে অনেকগুন বেশী হয়ে থাকে। এর সব চাইতে বড় সুবিধা হচ্ছে যে, এ ধরনের ব্লগের কনটেন্ট জুম না করে পরিষ্কারভাবে পড়া যায়। আপনি যদি ব্লগকে এখনো Responsive না করে থাকেন তাহলে ধরে নেন আপনার এজান্তে ছোট ডিভাইসের ভিজিটরদের হারাচ্ছেন। তাছাড়া গুগল অনেক আগেই সবার ব্লগ Responsive করে নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে।

 Optimize for Mobile:

Responsive Web Designs এর পরে আসবে মোবাইল অপটিমাইজ করার বিষয়টি। Responsive Designs শুধুমাত্র সকল ধরনের ডিভাইসের সাথে সমাঞ্জস্য রেখে পরিষ্কারভাবে দেখার উপযোগী করে থাকে। আর মোবাইল অপটিমাইজ করার পর ছোট ছোট মোবাইলগুলি ওয়েবসাইটকে দ্রুত লোড নিতে সক্ষম হয়। যারা গুগল ব্লগার দিয়ে ব্লগিং করছেন তারা ব্লগের বিভিন্ন Conditional Tags ব্যবহার করে ব্লগকে পরিপূর্ণ মোবাইল অপটিমাইজ করতে পারেন। বর্তমানে গুগল সার্চ ইঞ্জিন মোবাইল সার্চ এর জন্য আলাদা গুগল মোবাইল বট তৈরি করেছে। গুগল মোবাইল বট ওয়েবসাইট মোবাইল উপযোগী কি না তা যাচাই বাছাই করার পর গুগল মোবাইল সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেয়।

 AMP অপটিমাইজেশনঃ

AMP HTML হচ্ছে গুগল কোম্পানি সমর্থিত একটি Open Source Project, যা একটি ওয়েবসাইটের Content-কে যে কোন ধরনের মোবাইল ডিভাইসে দ্রুত লোড নিতে সাহায্য করে। আরো ভালভাবে বলা যায়, একটি মোবাইল ডিভাইসের মধ্যে AMP যে কোন ওয়েবসাইটকে একটি দ্রুতগামী বুলেটের মত লোড নিতে সক্ষম। বর্তমানে গুগল সার্চ ইঞ্জিন মোবাইল র‌্যাংকিং এর ক্ষেত্রে AMP কে খুব গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছে। তবে এই সুবিধা নেওয়ার জন্য আপনার ব্লগে শুধুমাত্র Google AdSense ব্যতীত প্রায় সকল ধরনের বিজ্ঞাপন’সহ Third Party Scripts ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

 Schema Markup ব্যবহারঃ

এটি হচ্ছে এক ধরনের (Semantic Vocabulary) কোড, যা সার্চ ইঞ্জিনের আকর্ষন বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে ব্লগ ও ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ গুলি সাধারণত HTML ও Scripts আকারে হয়ে থাকে। এই Schema Markup ট্যাগগুলি ব্যবহার করে আপনার ব্লগের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে সার্চ ইঞ্জিনদের সহজভাবে পরিষ্কার ধারনা দিতে পারবেন। যার ফলে আপনার ব্লগটি সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম পাতায় আসার সম্ভাবনা আরও অনেকগুন বেড়ে যাবে। আমরা ইতোপূর্বে আমাদের ব্লগে এ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনটি পোষ্ট শেয়ার করেছি। আপনি ইচ্ছে করলে আমাদের ব্লগের পোষ্টগুলি দেখে নিতে পারেন।

 ভালমানের Image ব্যবহারঃ

গুগল সার্চ ইঞ্জিনে Image Search নামে একটি অপশন রয়েছে। সেখানে সার্চ করলে যে কোন ধরনের ছবি মুহুর্তে চোখের সামনে হাজির হয়। আপনি যদি আপনার ব্লগে ভালমানের সুন্দর ছবি আপলোড করে ছবিতে Alta Tag ব্যবহার করে Image সার্চে আনতে পারেন, তাহলে সেখান থেকে অনেক ট্রাফিক পাওয়ার সম্ভবনা তৈরি হয়। এ ক্ষেত্রে কম সাইজের ভালমানের নিজস্ব ছবি আপলোড করার চেষ্টা করবেন। অন্যের ব্লগে ছবি ব্যবহার করলেও নরমালি কোন সমস্যা হবে না। তবে কেউ যদি অভিযোগ আনে তাহলে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ইন্টারনেট থেকে ছবি নিয়ে ব্যবহার করতে চাইলে অন্তত কিছুটা পরিবর্তন করে ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। তাহলে পাইরেসির অভিযোগে পড়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

উপসংহারঃ আমি আবারও বলব Proper সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন ছাড়া কেউ সার্চ ইঞ্জিন হতে ট্রাফিক পেতে সক্ষম হয়নি এবং ভবিষ্যতেও সম্ভব হবে না। আপনি যদি ব্লগে পর্যাপ্ত অর্গানিক ট্রাফিক এর আশা করেন তাহলে অবশ্যই সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের সকল নিয়ম অনুসরণ করে ব্লগিং করতে হবে। তবে আপনার ব্লগের সফলতা খুব দ্রুত আপনার হাতে ধরা দেবে।

কিভাবে ব্লগের কনটেন্ট Copy Past করার অপশন বন্ধ করবেন?

 যারা ব্লগে ইউনিক আর্টিকেল শেয়ার করে থাকেন তারা প্রতিনিয়ত কিছু সংখ্যক ব্যক্তি কর্তৃক কনটেন্ট কপি পেষ্ট এর সমস্যায় ভূগে থাকেন। অনেক নতুন ব্লগার রয়েছেন যারা মনেকরেন যে, অন্যের ব্লগের কনটেন্ট কপি করে নিজে ব্লগে চালিয়ে দিলে ব্লগ থেকে পর্যাপ্ত ট্রাফিক পেয়ে অনলাইন হতে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। পরবর্তীতে তারা কপি করা কনটেন্ট দিয়ে কোন লাভবান হতে না পেরে নিজেদের ভূল অনুধাবন করতঃ কেউ অরিজিনাল কনটেন্ট শেয়ার করার চেষ্টা করেন। আবার কেউ ইউনিক কনটেন্ট শেয়ার করতে না পেরে ব্লগিং হতে ছিটকে পড়েন। আমরা আজ ছিটকে পড়াদের নিয়ে কোন কিছু বলব না। শুধুমাত্র যারা ইউনিক কনটেন্ট শেয়ার করছেন তারা কিভাবে তাদের ব্লগের কনটেন্ট কিছুটা হলেও নিরাপদ রাখবেন সে বিষয়ে আলোচনা করব।
কিভাবে ব্লগের কনটেন্ট Copy Past করার অপশন বন্ধ করবেন?
যারা ব্লগের কনটেন্ট কপি পেষ্ট করার সম্পূর্ণ অপশন বন্ধ করতে চাইছেন তাদের জন্য আমরা আজ মোটামোটি পূর্ণাঙ্গ সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করব। আপনি হয়ত বলতে পারেন আমি মোটামোটি কথাটি বলছি কেন? মোটামোটি বলার কারণ হচ্ছে যে, ওয়েবসাইট কিংবা ব্লগের কনটেন্ট কপি পেষ্ট করার শতভাগ উপায় বন্ধ করতে পারবে না। কারণ ব্লগের কনটেন্ট কপি করার সকল উপায় বন্ধ করার পরও বর্তমান সময়ের আধুনিক ব্রাউজারগুলিতে কিছুট অপশন ও প্লাগইন থেকে যায় যেগুলির সাহায্যে কনটেন্ট কপি করা সম্ভব হয়।

-
আজ আমি ব্লগের কনটেন্ট কপি করার অপশন Disable করার পাশাপাশি মাউস এর রাইট বাটনে ক্লিক ও কীবোর্ডের CTRL+U অপশনগুলি বন্ধ করার পূর্ণাঙ্গ উপায় শেয়ার করব। এই পদ্ধতীতে ব্লগের কনটেন্ট কপি করার অপশন বন্ধ করলে কম অভীজ্ঞতা সম্পন্ন লোক আপনার ব্লগের আর্টিকেল কপি করতে পারবে না। তবে যারা অভীজ্ঞ বা আমার মত মাথা মোটা রয়েছে তারা বিভিন্ন প্লাগইন ব্যবহার করে কপি করতে পারবে। আমার ব্লগিং অভীজ্ঞতা থেকে যতটুকু বুঝতে পেরেছি তাতে আমার মনেহয়েছে যারা অভীজ্ঞ লোক তারা কখনো অন্যের ব্লগের কনটেন্ট কপি করেন না। যারা ব্লগিং একদম নতুন অধিকাংশ ক্ষেত্রে তারাই কপি পেষ্ট নিয়ে যত ঝামেলা পাকান।

 কিভাবে Cut, Copy, Paste, Right Click ও CTRL+U অপশন বন্ধ করবেন?

উপরের সবগুলি অপশন পরিপূর্ণভাবে বন্ধ করার জন্য আমি দুটি পদ্ধতি শেয়ার করব। প্রথমটির মাধ্যমে আপনার ব্লগের উপরোল্লখিত সকল অংশ বন্ধ করতে পারবেন। দ্বিতীয় পদ্ধতি ব্যবহার করে পোষ্টের ভীতরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ খোলা রেখে বাকী অংশ বন্ধ করে নিতে পারবেন। 
  • প্রথমে ব্লগে লগইন করুন।
  • তারপর ব্লগার ড্যাশবোর্ড হতে Theme > Edit HTML এ ক্লিক করুন।
blogger-template-edit
  • এরপর কিবোর্ড হতে Ctrl+F চেপে </head> অংশটি সার্চ করুন।
  • এখন নিচের Jquary কোডটি </head> ট্যাগের ঠিক উপরে পেষ্ট করুন।
<script type="text/javascript">
$(document).ready(function () {
   //Disable cut copy paste
   $('body').bind('cut copy paste', function (e) {
       e.preventDefault();
   });
  
   //Disable mouse right click
   $("body").on("contextmenu",function(e){
       return false;
   });

   //Disable CTRL+U
   $(document).keypress("u",function(e) {
       if(e.ctrlKey)
   {
       return false;
   }
       else
   {
       return true;
   }
   });
});
</script>
  • এখন Theme Save করলেই ব্লগের কনটেন্ট কপি করার সকল অপশন বন্ধ হয়ে যাবে।

 পরিবর্তণ (Customization):

  • উপরে কোডের লাল কালারে অংশটি আপনার ব্লগের সকল কনটেন্ট কপি করার অপশন বন্ধ করে দেবে।
  • নীল কালারে অংশটি মাউসের রাইট বাটনে ক্লিক করার অপশন বন্ধ করে দেবে। ফলে কেউ আপনার কনটেন্ট এর সোর্স ফাইল হতে কপি করতে পারবে না। এ অংশটি ব্লগে অবশ্যই ব্যবহার করবেন।
  • পিংক কালারে অংশটি সোর্স ফাইল চেক করার অপশন পরিপূর্ণভাবে বন্ধ করে দেবে। এ অংশটিও ব্লগে অবশ্যই ব্যবহার করবেন।

 CSS ব্যবহার করে Copy Past বন্ধ করাঃ

উপরের Jquary কোডটির লাল কালারের প্রথম অংশটি ব্যবহার না করার জন্য পরামর্শ দেব। কারণ এটি আপনার ব্লগের সকল অংশের আর্টিকেল Disable করে দেবে। আপনি যদি চান ব্লগের কিছু অংশ কপি করার অপশন দিয়ে বাকীগুলি বন্ধ করে দেবেন সেক্ষেত্রে ঐ অংশটি ব্যবহার না করে নিচের CSS কোডটি ব্যবহার করার জন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে আপনাকে বলব। তবে আপনি যদি সকল অপশন বন্ধ করে দিতে চান তাহলে CSS কোড ব্যবহার করার কোন প্রয়োজন নেই।
  • পুনরায় ব্লগার ড্যাশবোর্ড হতে Theme > Edit HTML এ ক্লিক করুন।
  • তারপর কিবোর্ড হতে Ctrl+F চেপে ]]></b:skin> অংশটি সার্চ করুন।
  • এখন নিচের Css কোডটি ]]></b:skin> ট্যাগের উপরে পেষ্ট করুন।
body {
-webkit-user-select:none!important;
-moz-user-select:-moz-none!important;
-ms-user-select:none!important;
user-select:none!important;
}

.post blockquote {
-webkit-user-select:text!important;
-moz-user-select:text!important;
-ms-user-select:text!important;
user-select:text!important;
}
  • সবশেষে Theme Save করুন।
  • নোটঃ এখানে পিংক কালারের অংশটি আপনার ব্লগের সকল অংশের কনটেন্ট কপি করার অপশন বন্ধ করে দেবে। নীল কালারের অংশটি পোষ্টের ভীতরে থাকা Blockquote অংশের কনটেন্ট কপি করার অপশন একটিভ রাখবে। এতেকরে পোষ্টের সকল কনটেন্ট বন্ধ করে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় অংশগুলি কপি করার অপশন খোলা থকবে।
পরামর্শ ও সাহায্যঃ সঠিক পদ্ধতিতে পরিপূর্ণভাবে ব্লগের কনটেন্ট কপি পেষ্ট ও সকল অপশন বন্ধ করার জন্য উপরের Jquary এর লাল কালারের প্রথম অংশটি বাদ দিয়ে বাকীগুলি সহ CSS কোড ব্যবহার করার পরামর্শ দেব। তাছাড়া এখানে না বুঝার কোন অপশন নেই। তারপরও কোন অংশ বুঝতে সমস্যা হলে আমাদেরকে কমেন্ট করে জানাতে পারেন।

ব্লগার Themes এ AdSense Error Parsing XML সমস্যার সমাধান

 বাংলা ভাষায় ব্লগিং করছেন এমন অনেকেই ইতোপূর্বে গুগল এ্যাডসেন্স অনুমোদন করতে সক্ষম হয়েছেন। যারা আগে কখনো এ্যাডসেন্স ব্যবহার করেননি তারা এ্যাডসেন্স অনুমোদন পাওয়ার পর যে সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে সেটি হচ্ছে এ্যাডসেন্স কোড ব্লগার থিমস এর ভীতরে বসানোর পর থীমস Save না হওয়া। এই ছোট সমস্যাটি অনেকে বুঝতে না পারায় তারা মনেকরেন তাদের এ্যাডসেন্স এ কোন সমস্যা আছে। আসলে এটা এ্যাডসেন্স এর কোন সমস্যা নয়। ব্লগার থীমস XML ফরমেটে হওয়ায় এ্যাডসেন্স কোডের Attribution বন্ধ না করায় এই সমস্যাটি হয়।
ব্লগার Themes এ AdSense Error Parsing XML সমস্যার সমাধান
সাধারণত প্রথম ধাপে এ্যাডসেন্স একাউন্ট করার সময় এবং অনুমোদন হওয়ার পর বিভিন্ন জায়গাতে বিজ্ঞাপন শো করানোর জন্য এ্যাডসেন্স কোড ব্যবহার করতে হয়। তখন ব্লগার থীমস এর ভীতরে এ্যাডসেন্স কোড বসাতে গিয়ে অনেকে এই সমস্যায় পড়েন। আপনার XML সম্পর্কে ধারনা থাকলে এই সমস্যাটি খুব সহজে নিজে নিজে সমাধান করতে পারবেন। XML বিষয়ে ধারনা না থাকলে আমাদের পোষ্টটি অনুসরণ করে এই ছোট্ট সমস্যাটি সমাধান করে নিতে পারবেন।

-
প্রসঙ্গত যারা বাংলা ব্লগে গুগল এ্যাডসেন্স ব্যবহার করছেন তারা একটি বিষয় অনুধাবন করতে পেরেছেন যে, বাংলা কনটেন্টে গুগল এ্যাডসেন্স CPC ও RPM রেট খুবই কম। বিশেষ করে যাদের ব্লগে ভিজিটর কম তারা কোনভাবে বাংলা ব্লগ থেকে পর্যাপ্ত টাকা ইনকাম করতে পারবে না। বাংলা কনটেন্ট ব্যবহারকারীদের যৌথভাবে ব্লগিং করার জন্য আমি সবসময় পরামর্শ দেই। শুধু শুধু প্রত্যেকের নামে একটি করে ব্লগ না রেখে ৫/৭ জন মিলে সম্মেলিত প্রচেষ্টায় ব্লগিং করলে পর্যাপ্ত ট্রাফিক পেয়ে ব্লগ থেকে গুগল এ্যাডসেন্সের মাধ্যমে মোটামোটি ভালো পরিমানের টাকা উপার্জন করতে পারবেন। সে জন্য আমি আবারও সবাই যৌথভাবে ব্লগিং করার আহ্বান জানাব।

 কিভাবে Error Parsing XML সমস্যার সমাধান করবেন?

এ্যাডসেন্স একান্ট করার সময় ব্লগ ভেরিফাই করে নেওয়ার জন্য ব্লগে এ্যাডসেন্স কোড যুক্ত করে নেওয়ার জন্য বলে। সাধারণত এ্যাডসেন্স কোডগুলি নিচের কোডের ন্যায় হয়ে থাকে।
<script async src='//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js'></script>
<script>
  (adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({
    google_ad_client: "ca-pub-xxxxxxxxxxxxxxxx",
    enable_page_level_ads: true
  });
</script>
অন্যদিকে বিজ্ঞাপন শো করানোর কোডগুলো নিচের কোডের মত হয়।
 <script async src="//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js"></script>
<!-- Post Before -->
<ins class="adsbygoogle"
     style="display:inline-block;width:728px;height:90px"
     data-ad-client="ca-pub-xxxxxxxxxxxxxxxx"
     data-ad-slot="xxxxxxxxxx"></ins>
<script>
(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});
</script>
সাধারণত গুগল এ্যাডসেন্স কোড ব্লগার থীমস এর ভীতরে সেভ করার সময় নিচের চিত্রের ন্যায় একটি Error ম্যাসেজ দেখায়।
ব্লগার Themes এ AdSense Error Parsing XML সমস্যার সমাধান
ব্লগে এ্যাডসেন্স ব্যবহার করার জন্য গুগল যে কোডগুলি আমাদের দিচ্ছে সেগুলি পরিপূর্ণভাবে HTML5 ফরমেটে তৈরি করা, কিন্তু ব্লগার থীমস XML ফরমেটে হওয়ার কারনে কোডগুলি সেভ নিতে সমস্যা হয়। এ ক্ষেত্রে ব্লগার থীমস ও গুগল এ্যাডসেন্স কোড দুটির কোনটিতে ভূল নেই। ব্লগার থীমে জন্য শুধুমাত্র async Attribution যুক্ত করে নিলেই হয়ে যাবে। নিচের কোডটি পরিবর্তন করে সহজে সমস্যাটি সমাধারন করতে পারেন।
<script async='async'src='//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js'></script>
অথবা async Attribution টি কোডেশন দ্বারা খালি রেখেও কাজটি করতে পারেন।
<script async=''src='//pagead2.googlesyndication.com/pagead/js/adsbygoogle.js'></script>
এখন ব্লগার থীমস অনায়াসে সেভ হবে। That's all

সর্বশেষেঃ আপনি যখন ব্লগার থীমস এর ভীতরে এ্যাডসেন্স কোড ব্যবহার করবেন তখন উপরের দুটি ফরমেটের যে কোন একটি ব্যবহার করবেন। তাহলে থীমস সেভ হতে সমস্যা হবে না। তবে ব্লগার থীমস এর Layout হতে Widgets হিসেবে ব্যবহার করার ক্ষেত্রে কোড এর কোন পরিবর্তন করতে হবে না