Sunday, December 3, 2017

প্রশ্নের আলোকে গুগল AdSense সংক্রান্ত সকল সমস্যার সংক্ষিপ্ত সমাধান!

 গুগল এ্যাডসেন্স হচ্ছে ইন্টারনেট ভিত্তিক একটি বিজ্ঞাপনী সংস্থা যেটি গুগল নিজে পরিচালনা করছে। ব্লগ এবং ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপ ব্যবহার করে অনলাইন থেকে টাকা উপার্জনের যত উপায় আছে তার মধ্যে AdSense হচ্ছে সবচেয়ে জনপ্রিয়। তারপরও সবার মনে কিছু প্রশ্ন জাগে যে, এটা কি আসলে সত্য বা সম্ভব? আমি কি সব সময় Google AdSense থেকে টাকা উপর্জন করতে পারবো? আমি কি ওখান থেকে ‍উপার্জিত টাকা দিয়ে সব কিছু চালিয়ে যেতে পারবো?
প্রশ্নের আলোকে গুগল AdSense সংক্রান্ত সকল সমস্যার সংক্ষিপ্ত সমাধান!
আমাদের ব্লগে ইতোপূর্বে গুগল এ্যাডসেন্স বিষয়ে অনেক পোষ্ট রয়েছে। তারপরও ফেইসবুক কমিউনিটি পেজে অনেকে বিভিন্ন সময়ে ছোট ছোট প্রশ্ন করে থাকেন। অনেক সময় কাজের ব্যস্ততায় ঐ সহজ প্রশ্নগুলির উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যেতে হয়। সে জন্য আজ আমি সকল ছোট প্রশ্নগুলির উত্তর প্রশ্নভিত্তিক আলোচনার মাধ্যমে সবার সমনে সহজ ও বোধগম্য ভাষায় উপস্থাপন করব।

-
পোষ্টটি শুরু করার পূর্বে আপনাদের একটি বিষয় জানিয়ে দিচ্ছি যে, গুগল এ্যাডসেন্স গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ তারিখ হতে বাংলা ভাষা সাপোর্ট করছে। বিষয়টি যারা এখনো জানেন না তারা অবগত হয়ে তাদের বাংলা ব্লগের মাধ্যমে গুগল এ্যাডসেন্সর জন্য আবেদন করতে পারেন। উল্লেখ্য যে, আমাদের প্রযুক্ত ডট কম ব্লগটিও বাংলা কনটেন্ট দিয়ে গুগল এ্যাডসেন্স অনুমোদন করে গুগল এর বিজ্ঞাপন ব্যবহার করছে।

 গুগল এ্যাডসেন্স সংক্রান্ত বেসিক প্রশ্নঃ

  • প্রশ্নঃ গুগল এ্যাডসেন্স কি?
  • উত্তরঃ গুগল এ্যাডসেন্স হচ্ছে অনলাইন ভিত্তিক বিজ্ঞাপন। যার মাধ্যমে যে কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তাদের প্রয়োজনীয় পন্যের বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারেন। অন্যদিকে এ্যাডসেন্স পাবলিশাররা তাদের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে ইনকাম করতে পারেন।
  • প্রশ্নঃ গুগল এ্যাডসেন্স থেকে কি আয় করা সম্ভব?
  • উত্তরঃ হ্যাঁ, অবশ্যই সম্ভব।
  • প্রশ্নঃ বাংলা ওয়েবসাইট থেকে কি এ্যাডসেন্স অনুমোদন পাওয়া যায়?
  • উত্তরঃ আগে পাওয়া না গেলেও সম্প্রতি গুগল বাংলা ওয়েবসাইটে অনুমোদন দিচ্ছে। উদাহরণ হিসেবে আমাদের ব্লগকে অনুসরণ করতে পারেন।
  • প্রশ্নঃ এ্যাডসেন্স অনুমোদনের জন্য বাংলা ওয়েবসাইট ভাল নাকি ইংরেজী ওয়েবসাইট ভাল?
  • উত্তরঃ অনুমোদনের ক্ষেত্রে দুটি ভাষা সমান। তবে বাংলা ওয়েবসাইটের চাইতে ইংরেজী ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বেশী আয় করা যায়।
  • প্রশ্নঃ শুনলাম এশিয়া মহাদেশ থেকে এ্যাডসেন্স পাওয়া খুব কঠিন বিষয়?
  • উত্তরঃ এই তথ্যটি সঠিক নয়। একটি পরিপূর্ণ যোগ্যতা সম্পন্ন ব্লগের মাধ্যমে যে কোন দেশ থেকে সহজে এ্যাডসেন্স অনুমোদন করা সম্ভব।
  • প্রশ্নঃ বাংলাদেশে নাকি ৬ মাসের পূর্বে এ্যাডসেন্স অনুমোদন করে না?
  • উত্তরঃ এটিও সঠিক নয়। তবে একটি ব্লগকে এ্যাডসেন্সের জন্য পরিপূর্ণ উপযোগী করে গড়ে তুলতে প্রায় ৬ মাসের অধিক সময় লেগে যায়। সে জন্য ব্লগের বয়স নূন্যতম ছয় মাস হওয়ার আগে এ্যাডসেন্সের আবেদন করতে অভিজ্ঞরা নিষেধ করেন। তবে এর আগে যোগ্যতা অর্জন করতে পারলে ছয় মাসের পূর্বেই এ্যাডসেন্স পাওয়া সম্ভব।
  • প্রশ্নঃ আবেদন করার পূর্বে কমপক্ষে কতগুলো পোষ্ট থাকতে হবে?
  • উত্তরঃ ভালমানের আর্টিকেলের সমন্বয়ে কমপক্ষে ২৫/৩০ টি পোষ্ট রাখা প্রয়োজন।
  • প্রশ্নঃ প্রত্যেকটি পোষ্টের জন্য কি পরিমান আর্টিকেল হলে এ্যাডসেন্স অনুমোদন হয়?
  • উত্তরঃ প্রত্যেকটি পোষ্টে ৪০০/৫০০ ওয়ার্ড রাখাটা ভাল।
  • প্রশ্নঃ কপি করা আর্টিকেল দিয়ে কি এ্যাডসেন্স অনুমোদন পাওয়া যায়?
  • উত্তরঃ আদৌ কেউ অনুমোদন পায়নি এবং ভবিষ্যতেও সম্ভব নয়!
  • প্রশ্নঃ কাষ্টম ডোমেন দিয়ে কি এ্যাডসেন্স অনুমোদন হয়?
  • উত্তরঃ আগে পাওয়া যেত কিন্তু সম্প্রতি পাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। একটি টপ লেভেলের ডোমেন নিয়ে তার পর এ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার স্বপক্ষে গুগল নিজেও পরামর্শ দিচ্ছে।

 আবেদন করার পূর্বে করণীয় কি?

  • প্রশ্নঃ ব্লগার দিয়ে ব্লগিং করলে ভাল নাকি ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে করলে ভাল হয়?
  • উত্তরঃ আপনি যেটি দিয়ে ব্লগিং করেন না কেন এ্যাসেন্স অনুমোদনের ক্ষেত্রে সমান গুরুত্ব পাবে।
  • প্রশ্নঃ কাষ্টম থিমস নিয়ে কাজ করব নাকি ডিফল্ট থিমস নিয়ে?
  • উত্তরঃ একটি ভালমানের কাষ্টম থিমস নিয়ে কাজ করাটাই উত্তম।
  • প্রশ্নঃ শুনেছি ব্লগস্পট দিয়ে ব্লগিং করলে নাকি ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না?
  • উত্তরঃ এটা ঠিক নয়। আপনার ওয়েব ডিজাইন সম্পর্কে ভাল জ্ঞান থাকলে ব্লগস্পট নিয়ে কাজ করে ভাল র‌্যাংক করা কোন ব্যাপারই না।
  • প্রশ্নঃ ডট কম ডোমেন ভাল নাকি ডট নেট হলে ভাল হয়?
  • উত্তরঃ আমি সবসময় ডট কম ডোমেন নেওয়ার পরামর্শ দেব।
  • প্রশ্নঃ কত অক্ষরের ডোমেন নেম হলে ভালো হয়?
  • উত্তরঃ পাঁচ অক্ষর থেকে শুরু করে পনের অক্ষরের মধ্যে রাখাটা ভাল।
  • প্রশ্নঃ কোন ধরনের টপিক নিয়ে কাজ করলে এ্যাডসেন্স দ্রুত অনুমোদন হবে?
  • উত্তরঃ গুগল সবসময় প্রযুক্তি বিষয় সংক্রান্ত ব্লগকে প্রধান্য দিয়ে থাকে?
  • প্রশ্নঃ নিস হিসেবে Blogspot টিউটোরিয়াল কেমন?
  • উত্তরঃ অবশ্যই ভাল। পাশাপাশি ওয়েব ডিজাইন এবং এসইও নিয়ে লিখতে পারলে দ্রুত এ্যাডসেন্স পাওয়ার আশা করতে পারেন।
  • প্রশ্নঃ এসইও করলে নাকি দ্রুত এ্যাডসেন্স অনুমোদন হয়?
  • উত্তরঃ সঠিকভাবে এসইও করা ব্লগকে এ্যাডসেন্স অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে মূল্যায়ন করে। কারণ প্রোপার এসইও করা ব্লগে সার্চ ইঞ্জিন হতে ট্রাফিক বৃদ্ধি পায়।
  • প্রশ্নঃ ব্লগে About Us, Contact, Privacy Policy রাখা কি বাধ্যতামূলক?
  • উত্তরঃ এগুলো আপনার ব্লগ সম্পর্কে পাঠকদের স্বচ্ছ ধারনা দেয়। কাজেই এই পেজগুলি রাখলে ভাল ফলাফল পাবেন। বিশেষ করে জনপ্রিয় ব্লগের এ পেজগুলি অনেক গুরুত্ব বহন করে।
  • প্রশ্নঃ নিউজ, ভিডিও এবং ফ্রি নেট বিষয়ে গুগল এ্যাডসেন্স  অনুমোদন হয় নাকি?
  • উত্তরঃ সার্চ ইঞ্জিনের কাছে এগুলোর গুরুত্ব খুবই কম। সে জন্য এই টপিক গুলিতে এ্যাডসেন্স অনুমোদন হয় না বল্লেই চলে। তবে জনপ্রিয় করতে পারলে পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • প্রশ্নঃ ইউনিক কনটেন্টের সাথে গুগল থেকে Image নিয়ে পাবলিশ করলে কোন সমস্যা হবে কি না?
  • উত্তরঃ অন্য ওয়েবসাইটের লগোযুক্ত ছবি ব্যবহার না করলে সমস্যা হবে না। তবে কেউ যদি তার ব্লগের ছবি সম্পর্কে রিপোর্ট করে, তাহলে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • প্রশ্নঃ সাইটে পর্যাপ্ত ইউনিক আর্টিকেল রয়েছে কিন্তু ভিজিটর কম, এ ক্ষেত্রে কি অ্যাডসেন্স পাওয়া যাবে?
  • উত্তরঃ পাওয়া যাবে, কারণ গুগল এ্যাডসেন্স সাইটের ট্রাফিককে খুব বেশী গুরুত্ব দেয় না। ভালমানের পর্যাপ্ত কনটেন্ট থাকলে এ্যাডসেন্স অনুমোদন হবে।
  • প্রশ্নঃ ডট TK ডোমেন দিয়ে কি এ্যাডসেন্স পাওয়া যাবে?
  • উত্তরঃ না।
  • প্রশ্নঃ এ্যাডসেন্সে আবেদন করার পূর্বে কি কি Check List তৈরি করা দরকার?
  • উত্তরঃ গুগল এ্যাডসেন্সের জন্য আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই কিছু Check List তৈরি করা ভাল। যেমন-ব্লগের সকল পোস্ট ৮০-৯০ ভাগ ইউনিক কিনা এবং গুগল পলিসির ভিতরে আছে কিনা। ব্লগের সকল গুরুত্বপূর্ণ পেজ ঠিক আছে কিনা। ওয়েবসাইটে ২৫-৩০ টি পাষ্ট ঠিকমতো ইনডেক্স হচ্ছে কিনা। ব্লগের ডিজাইন এবং এসইও ফ্রেন্ডলি কিনা সেটা চেক করতে হবে। সাদা সিদে ন্যাভিগেশন এবং লেয়াউট এ সব দরকারি জিনিস রাখতে হবে। সার্চ ইঞ্জিনে কিছু Organic Keywords এ ভাল Rank করালে এক্সট্রা পায়রিটি পাওয়া যাবে। সবকিছু ঠিকমতো থাকলে অল্প দিনে এ্যাডসেন্স অনুমোদন পাওয়া সম্ভব।

 হোস্টেড ও নন-হোস্টেড একাউন্ট কি?

  • প্রশ্নঃ Hosted AdSense বলতে কি বুঝানো হয়?
  • উত্তরঃ গুগল ব্লগার, YouTube এবং AdMob দ্বারা ব্যবহৃত এ্যাডসেন্স হচ্ছে Hosted AdSense.
  • প্রশ্নঃ Non Hosted AdSense বলতে কি বুঝায়?
  • উত্তরঃ নিজস্ব সাইট দিয়ে অনুমোদন পাওয়া গুগল অ্যাডসেন্স একাউন্ট হচ্ছে Non Hosted AdSense.
  • প্রশ্নঃ Non Hosted AdSense এর জন্য Alexa rank কোন প্রভাব বিস্তার করে?
  • উত্তরঃ না।
  • প্রশ্নঃ বাংলাদেশ থেকে Non Hosted AdSense এর জন্য কোন Niche বেশী অনুমোদন হয়?
  • উত্তরঃ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে Smartphone Review, Education Result এবং Technology সাইট দিয়ে অনুমোদন পাওয়া সম্ভব হয়।
  • প্রশ্নঃ Hosted ও Non Hosted AdSense এর মধ্যে পার্থক্য কি?
  • উত্তরঃ এই দুটির মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে Hosted শুধুমাত্র গুগলের ব্লগার, YouTube এবং AdMob এ ব্যবহার করা যায়। অন্যদিকে নিজস্ব সাইটে Non Hosted AdSense সর্বোচ্চ ৫০০ টি Website এ ব্যাবহার করা যায়।
  • প্রশ্নঃ Hosted Account কি Non Hosted Account এ Upgrade করা যায়?
  • উত্তরঃ হ্যাঁ করা যায়, গুগল পলিসি অনুসারে ব্লগ তৈরি করে আবেদন করে Hosted Account থেকে Non Hosted Account এ Upgrade করা যায়।

 এ্যাডসেন্স সংক্রান্ত বিবিধ প্রশ্নঃ

  • প্রশ্নঃ আমি কি গুগল AdSense এর জন্য Sub Domain ব্যবহার করতে পারি?
  • উত্তরঃ হ্যাঁ পারেন, তবে আগে টপ লেভেল ডোমেইন দিয়ে অনুমোদন করাতে হবে, তারপর সাব ডোমেইন এ অ্যাডসেন্স ব্যাবহার করতে পারবেন ।
  • প্রশ্নঃ Troll সাইটে কি এ্যাডসেন্স অনুমোদন হবে এবং এ ক্ষেত্রে কি ধরনের আর্টিকেল প্রয়োজন?
  • উত্তরঃ যদি গুগলের নীতিমালা ভঙ্গ না করে, তবে ভালো মানের ২৫/৩০ টি পোস্ট দিয়ে অনুমোদন করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে আপনি যে কোন প্রোডাক্ট বেইজ ও ইনফরমেটিভ ব্লগ তৈরি করতে পারেন।
  • প্রশ্নঃ ব্লগের বেশীরভাগ ভিজিটর Facebook থেকে আসলে কি AdSense অনুমোদন সম্ভব?
  • উত্তরঃ এ্যাডসেন্স অনুমোদন দেবে। তবে ফেসবুকের ভিজিটরের চাইতে গুগল সার্চ ইঞ্জিন থেকে আসা ভিজিটরের মূল্য বেশি। সে ক্ষেত্রে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের গুরুত্ব দিতে হবে।
  • প্রশ্নঃ কিভাবে এ্যাডসেন্স ব্লক হওয়া থেকে রক্ষা করব এবং আয় বৃদ্ধি করব?
  • উত্তরঃ অ্যাডসেন্স ব্লক হওয়া থেকে বাঁচার জন্য এ্যাডসেন্সের পলিসি অনুসরণ করে ব্লগিং করতে হবে। আয় বৃদ্ধি করার জন্য ব্লগে ভিজিটর বৃদ্ধি করার পাশাপাশি এ্যাডসেন্স CTR, CPC ও RPM রেট বৃদ্ধি করতে হবে।
  • প্রশ্নঃ ভালমানের আর্টিকেল মানে কি? ভালো কোয়ালিটি সম্পন্ন আর্টিকেলের কি কি গুন থাকা দরকার? আর্টিকেলের মান ভালো না খারাপ সেটা চেক করার কি কোন উপায় আছে?
  • উত্তরঃ আপাত দৃষ্টিতে ভালমানের আর্টিকেল বলতে ইউনিক ও গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেলকে ‍বুঝায়? যে আর্টিকেল গুলির ডিমান্ড সর্বস্তরে রয়েছে, সেগুলিই হচ্ছে ভালমানের আর্টিকেল। Google Keyword Planner দিয়ে খুব সহজে আর্টিকেলের মান যাচাই-বাছাই করতে পারেন।
  • প্রশ্নঃ আমার ব্লগে যদি ৫০ ভাগ ইউনিক পোষ্ট থাকে, তবে কি অ্যাডসেন্স পাওয়া যাবে? অ্যাডসেন্স অনুমোদন পাওয়ার ক্ষেত্রে কোনটা বেশি জরুরি, ইউনিক পোস্ট  নাকি ভিজিটর?
  • উত্তরঃ এ ক্ষেত্রে এ্যাডসেন্স অনুমোদন পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। অ্যাডসেন্স অনুমোদনের ক্ষেত্রে ভিজিটরের চাইতে ইউনিক পোষ্টকে বেশী গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে।
  • প্রশ্নঃ ব্লগের Privacy পেজ কিভাবে তৈরি করব? অনলাইনের বিভিন্ন টুল দিয়ে জেনারেট করে নিলে কোন সমস্যা হবে কি না?
  • উত্তরঃ অনলাইনের বিভিন্ন টুল দিয়ে জেনারেট করে Privacy পেজ তৈরি করতে পারেন। তবে আপনার ব্লগের বিষয়ে সাথে সামঞ্জস্য রেখে কিছুটা পরিবর্তন করবেন। এ পদ্ধতীতে কোন প্রকার সমস্যা হবে না।

 এ্যাডসেন্স সংক্রান্ত বিষদ প্রশ্নঃ

  • প্রশ্নঃ আমার একটা ব্লগ আছে ব্লগার এ Domain এখনো Set করা হয়নি, কিছুদিন এর মধ্যে Domain Set করব। এখন পর্যন্ত ৫০ টা পোস্ট করা হয়েছে। সব পোস্ট ৮০% Unique. ব্লগে প্রতিদিন ১০০+ ভিজিটর আসে। ডোমেন Set করার কতদিন পর AdSense Apply করলে Approve পেতে পারি। আমার Content এর যদি কোনো Problem থাকে এবং আমি যদি সেটা একবার Apply করার পর বুজতে পারি এবং সেই Content গুলো Delete করে দিয়ে আবার Fresh কনটেন্ট পোস্ট করে পুনরায় Apply করি তাহলে কি Problem হবে কিংবা Approve হবে?
  • উত্তরঃ কোথায় ডোমেইন সেট করবেন? ব্লগারে? আমি বলবো না। নিজস্ব সাইট বানান। ডোমেইন সেট করলে এক মাস পরে এপ্লাই করে দেখুন। কনটেন্ট ভালো মানের হলে এপ্রুভ পেয়ে যাবেন। কপি পেস্ট মুক্ত ফ্রেশ কনটেন্ট। অবশ্যই গ্রামার, সেন্টেন্স এবং কতো % ইউনিক সেটা মাথায় রাখতে হবে, আশাকরি বুঝতে পেরেছেন। ডিলেট করলে বিপদে পড়বেন। 404 not Found আসবে আর সাইটের Rank হারাবেন। কনটেন্ট আপডেট কিংবা রি – রাইট করলে ভালো হবে।
  • প্রশ্নঃ ভাই Adsense পেতে সাইটের বয়স কত লাগবে? কতগুলো পোষ্ট আর কি রকম এসইও করা লাগবে?
  • উত্তরঃ গুগল এর মেইন শর্ত হচ্ছে হাই কুয়ালিটি ভালো মানের কনটেন্ট এবং ১ টা টপ লেভেল ডোমেইন দিয়ে সাইট বানাতে হবে। তারপর সাইটে ৪০-৫০ দিন সময় নিয়ে ৪০-৫০ টা ইউনিক আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে। সাইটে About, Privacy, Contact us & DMCA পেজ গুলো ঠিক মতো পাবলিশ করতে হবে। সাইটের সকল পোস্ট Google Webmaster এ সাবমিট করতে হবে। তারপর হালকা পাতলা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করুন। তারপর সাইটের বসয় ৫০-৬০ দিন হলে গুগল অ্যাডসেন্স এপ্লাই করুন। অ্যাডসেন্স এপ্রুভ হতে সময় লাগবে না।
  • প্রশ্নঃ Google Adsense এর টাকা কিভাবে উঠানো যায়?
  • উত্তরঃ ২০১৩ সালের ডিসেম্বরের আগে পর্যন্ত আমরা বাংলাদেশের সবাই চেক দিয়ে টাকা ক্যাশ করাতাম। মাস খানিক সময় লাগতো টাকা ক্যাশ করতে। এখন EFT আছে, সরাসরি ৪-৫ দিনেই টাকা ব্যাংক এ চলে আসে। ডাচ বাংলা ব্যাংক, ব্র্যাক দিয়ে টাকা উত্তোলন করা যায়।
  • প্রশ্নঃ হোস্টেড অ্যাডসেন্সে অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট মেথড হিসেবে DBBL Mobile Banking কিভাবে অ্যাড করা যায়? সাধারণত ব্যাংক অ্যাকাউন্ট অ্যাড করার জন্য ধারাবাহিকভাবে কি করতে হয়?
  • উত্তরঃ হোস্টেড অ্যাডসেন্সে অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট মেথড হিসেবে DBBL Mobile Banking হিসাবে অ্যাড করা যায়। Adsense & Domain Parking গ্রুপের কয়েক জন DBBL Mobile Banking দিয়ে টাকা তুলে। আমি কখনো ইউজ করি নাই। সম্ভবত Account No. এর জায়গায় Mobile Banking নাম্বার দিতে হয়। যারা ইউজ করে, তারা আরও বিস্তারিত বলতে পারবে।
  • প্রশ্নঃ অ্যাডসেন্স Approve পাওয়ার পর যদি আমি আমার সাইট এর Banner বা অন্য কোথাও সাইট এর Related Niche এর cpa বা অন্য কোন Product এর Promotion করি, তাহলে কি AdSense এর কোন Problem হবে?
  • উত্তরঃ Promotion/cpa তে যদি গুগল পলিসি ভঙ্গ করে এমন কিছু থাকে, তাহলে ব্যাবহার না করাই ভালো। তবে Amazon & Adsense একই সাইটে ব্যাবহার করা যায়। কোন সমস্যা হয় না।
  • প্রশ্নঃ আমার YouTube AdSense Account আছে। Non Hosted Ste এর জন্য কি আমি AdSense apply করতে পারব? এক্ষেত্রে কি কোন Problem এ পরতে হবে? YouTube and Website এর জন্য ২ টার Earning কি একসাথে দেখাবে, নাকি আলাদা আলাদা দেখাবে?
  • উত্তরঃ হ্যাঁ পারবেন। ঝামেলাযুক্ত কাজ। তবে এর চেয়ে নতুন নেওয়া অনেক সহজ । সব রিপোর্ট আলাদা দেখতে পারবেন।
  • প্রশ্নঃ বর্তমান ইউটিউব অ্যাডসেন্স কি ব্লগার এ ব্যবহার করা সম্ভব? যদি যায় তাহলে বর্তমানে কিভাবে করব?
  • উত্তরঃ সম্ভব না। ভালোমানের ব্লগ তৈরি করে Upgrade করে নিতে পারেন।
  • প্রশ্নঃ আমার যদি ইতোমধ্যেই একটি AdSense একাউন্ট থেকে থাকে, সেক্ষেত্রে আমার ছোট ভাই আরেকটি একাউন্ট এপ্লাই করতে পারবে যদি বাড়ির এড্রেস একি হয়?
  • উত্তরঃ আলাদা সাইট, আলাদা কম্পিউটার আইপি, আলাদা ঠিকানা এবং আলাদা Payee Name দিয়ে সহজেই এপ্রুভ পাবেন। আশা করি কোন ঝামেলা হবে না।
নোটঃ এই পোষ্টের সকল আর্টিকেল আমার নিজের লেখা নয়। পোষ্টের ৪০% আর্টিকেল জনাব রুবেল এর বাংলা ব্লগ “রুবেল এসবিএস” থেকে নেওয়া। তবে আমার পোষ্টটি শুরুর দিকে উনার ব্লগ থেকে কনটেন্ট নেওয়ার টার্গেট ছিল না। পোষ্টের কিছু আর্টিকেল লিখার পর অনলাইনে সার্চ করতে গিয়ে উনার পোষ্টটি পেয়ে যাই। যদিও আর্টিকেল আমি নিজেই লিখতে পারতাম কিন্তু পোষ্টের বেশীরভাগ লেখা উনার লেখার সহিত মিলে যেত। সে জন্য পোষ্টের শেষের আর্টিকেল নিজে না লিখে উনার ব্লগ থেকে নিয়েছি। মিঃ রুবেল এর ব্লগ পোষ্টের আর্টিকেল কপি করার তিন দিন আগে উনার অনুমতি চেয়ে একটি মেইল পাঠিয়েছিলাম কিন্তু উনি আমাকে হ্যাঁ কিংবা না কোন উত্তর দেননি। আমার মনেহয় উনি দীর্ঘদিন যাবৎ ব্লগ থেকে দূরে আছেন বিধায় আমার মেইল পড়তে পারেননি। ভবিষ্যতে উনি আমার পোষ্টটির আর্টিকেলের Fair Usage Policy মানতে না চাইলে আমরা তার কনটেন্ট যে কোন সময় মুছে দেব।

সুপার ক্যাপাসিটার দিয়ে আপনার স্মার্টফোন ফুল চার্জ করুন মাত্র ৫ সেকেন্ডে | ভবিষ্যৎ এখন বর্তমান! – বিস্তারিত টিউন

 আপনি হয়তো আপনার ফোন ফাস্ট চার্জ করেছেন, টার্বো চার্জ করেছেন কিংবা কুইক চার্জ করেছেন। কিন্তু কেমন হতো যদি আপনার ফোনের ব্যাটারি ৫ সেকেন্ডে ফুল চার্জ করা যেতো? বন্ধু আমি আপনার সাথে একদমই মজা করছি না। আর আজ আমি আলোচনা করতে বসেছি সুপার ক্যাপাসিটার নিয়ে, যার মাধ্যমে আপনি আপনার ফোনের ব্যাটারি চার্জ করতে পারবেন মাত্র পাঁচ সেকেন্ডে। তো চলুন আলোচনায় প্রবেশ করা যাক 🙂

সুপার ক্যাপাসিটার (Super Capacitor)

বন্ধুরা আজকের দিনে আমরা ফোনে ব্যবহার করি লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি বা লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি। এবং এই ব্যাটারি গুলো চার্জ করতে ব্যবহার করি স্ট্যান্ডার্ড চার্জার যা ১৮ বা ২০ ওয়াটের হয়ে থাকে। এরপর আমরা কুইক চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১ ঘণ্টা বা ২ ঘণ্টা ধরে ফোনের ব্যাটারি চার্জ করে ফুল করি। এবং আমরা অনেক খুশি হয়ে বলি যে ৩-৪ ঘণ্টার চার্জিং ঝামেলা কম করে আমরা ১ ঘণ্টা করে ফেলেছি, আর এটি সত্যিই অনেক ভালো কথা।
কিন্তু আমি যদি বলি যে ভবিষ্যতে ইলেকট্রিক কার, যেকোনো ব্যাটারি, বা আপনার ফোনের ব্যাটারি যদি তৈরি করা হয়ে থাকে সুপার ক্যাপাসিটারের মাধ্যমে তবে এইসব ব্যাটারি ৫ সেকেন্ডে জিরো থেকে ১০০% চার্জ করা যাবে তো? জি হাঁ বন্ধু এটি বাস্তবায়িত হতে পারে গ্রাফিন নামক একটি পদার্থ ব্যবহার করে।গ্রাফিন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করে আমি একটি টিউন করেছি আপনি চাইলে সেটি চেক করে নিতে পারেন।
একটি সাধারন ক্যাপাসিটার কি করে? একটি সাধারন ক্যাপাসিটার খুব দ্রুত চার্জ হতে পারে এবং অনেক দ্রুত ডিসচার্জ ও হয়ে যায়। এবং ব্যাটারি কি কাজ করে? ব্যাটারি চার্জ করতে অনেক সময় লাগে এবং অনেক সময় ধরে এটি ডিসচার্জ হয়। এই অবস্থায় যদি আমরা এদের দুজনেরই সর্বউত্তম গুনকে একত্র করে দেয়, মানে ক্যাপাসিটারের ফাস্ট চার্জিং এবং ব্যাটারির স্লো ডিসচার্জিং তো এভাবে পাওয়া যেতে পারে সুপার ক্যাপাসিটার। যদিও আজকের দিনে গ্রাফিনের আকার এতো বড় করা সম্ভব নয়। কিন্তু ভবিষ্যতে যদি সুপার ক্যাপাসিটার ব্যবহার করে ব্যাটারি তৈরি করা যায় তবে এক প্রকারের চমৎকার হয়ে যাবে বলতে পারেন।
সুপার ক্যাপাসিটার
আপনার ফোনে মনে করুন ৩,০০০ বা ৪,০০০ এমএএইচ ব্যাটারি রয়েছে এবং আপনি তা ৫ সেকেন্ডে চার্জ করে নিলেন এবং সাধারনভাবে ১-২ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করছেন। ইলেকট্রিক কার দিনদিন জনপ্রিয়তা লাভ করছে। কিন্তু যেহেতু ইলেকট্রিক কার চার্জ করতে সময় লাগে তাই আমরা এখনো এটি ঠিকভাবে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে পারছি না। কিন্তু কারের ব্যাটারিও যদি এমন হয় যে ৫ মিনিটের মধ্যে ফুল চার্জ হয়ে যাবে কিংবা ২ মিনিটের মধ্যে ফুল চার্জ হয়ে যাবে। তো আপনি যদি রাস্তায় কোথাও যান তবে আপনাকে চার্জ ষ্টেশনে দাঁড়াতে হবে এবং ৫ মিনিট ধরে গাড়ি চার্জ করে আবার বেরিয়ে পড়তে পারবেন।
আমরা যদি কথা বলি কোন পাওয়ার হাউজের বা যদি কথা বলি যে কোন পোর্টেবল ডিভাইজের যেখানে ব্যাটারি লাগানো থাকে, তো সেখানে ভবিষ্যতে সুপার ক্যাপাসিটার ব্যবহার করে সবকিছু পরিবর্তন করা সম্ভব হতে পারে। আর এই সবকিছুই হবে গ্রাফিনের সাহায্যে। আমি পুরো আশা করছি যে সামনের ৫-৬ বছরের মধ্যে আপনি এবং আমি আমাদের মোবাইল ফোন বা ট্যাবলেটকে মাত্র ৫ সেকেন্ডে ফুল চার্জ করতে পারবো এবং পরে অনেক লম্বা সময় ধরে তা ব্যবহারও করতে পারবো। এখানে এমন হতে পারে যে মোবাইলের ব্যাটারি যদি ১০ হাজার বা ১৫ হাজার এমএএইচ বাড়ানো হয় তবে হয়তো ফুল চার্জ করতে ২ মিনিট অথবা ৫ মিনিট লাগতে পারে। কিন্তু সেটিও অনেক কম সময় হবে আজকের তুলনায়।

শেষ কথা

বন্ধুরা আশা করছি এই টিউনটি আপনাদের অনেক চমৎকার তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে। এবং আজকের আলোচনায় আমরা ভবিষ্যৎ প্রযুক্তি সম্পর্কে জানলাম। আপনার যদি এ ব্যাপারে কোন প্রশ্ন থাকে তবে অবশ্যই আমাকে নিচে টিউমেন্ট করুন। আর টিউনটি ফেসবুক, টুইটার, গুগল প্লাসে শেয়ার করতে ভুলবেন না একদমই 

Youtube এর নতুন আপডেট ২০১৭ (YouTube New Creator Studio Beta)

 সবার জন্য একটা সুখবর আছে,আর সেটা হলো ইউটিউব তাদের নতুন একটি আপডেট লঞ্চ করছে। এই আপডেট এ সব থেকে মজার...

এই উপকারি এক্সেল ট্রিক গুলো দেখিয়ে আপনার অফিসের বসকে ইমপ্রেস করুণ!


আপনি যেকোনো সাধারণ ইউজার হোন আর প্রফেশনাল, আমি জানি, মাইক্রোসফট এক্সেল আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সফটওয়্যার। একজন এক্সেল ইউজার হিসেবে আপনি নিশ্চয় জানেন, এক্সেলে কোন সামান্য ভুল বিজনেসে অনেক বড় লস করিয়ে দিতে পারে, আর সেটা আপনার অফিসের বস কখনোই মেনে নিবেন না। কিন্তু আপনি যতোটুকু জানেন, এক্সেল আপনার জন্য এর চেয়েও বেশি কিছু করতে সক্ষম। হয়তো বা আপনি কিছু গ্রেট ট্রিক আজ পর্যন্ত মিস করে এসেছেন, আর আজকের টিউনে আমি সেগুলোই দেখানোর চেষ্টা করবো, যেগুলো ব্যবহার করে যাতে আপনার অফিসের বসকে ইমপ্রেস করতে পারেন। এই ট্রিক্স গুলোর সাথে আপনি আরো দ্রুত কাজ শেষ করতে সক্ষম হবেন এবং কিছু জিনিষ এখানে আর নয় বাকী টিউনেই দেখে নিন!

ব্ল্যাংক সেল দূর করুণ!

স্প্রেডশিট দেখতে সহজেই নোংরা হয়ে যেতে পারে, শিটের ব্ল্যাংক র‍্যো এবং কলাম ক্লিন করার মাধ্যমে শিটকে গুড লুকিং বানানো সম্ভব। কিন্তু এটি অনেকটা সময় কিল করতে পারে, বিশেষ করে ম্যানুয়াল প্রসেসে কাজ করলে বা বড় স্প্রেডশিটে কাজ করলে। যদি আপনি এক্সেল ডকুমেন্টে বিশাল পরিমানে এক্সেল ডাটা নিয়ে কাজ করেন, অবশ্যই এই ট্রিক আপনার সময় বাঁচিয়ে দেবে।
প্রথমে স্প্রেডশিটের ফাঁকা র‍্যো বা কলাম হাইলাইট করে নিন। এবার কিবোর্ড থেকে প্রেস করুণ Ctrl + G। এবার নতুন একটি উইন্ডো পপ করে আপনার সামনে চলে আসবে, সেখানে  “Special” বাটনে ক্লিক করুণ এবং ব্ল্যাংক পছন্দ করুণ। এবার যে সেল গুলো ব্যাংক নয় সেগুলো ডিসিলেক্ট হয়ে যাবে, সেগুলোকে ডিসিলেক্টই রেখে দিন। এবার “Home” ট্যাবের  “Cells” সিলেকশন থেকে  “Delete” এ ক্লিক করুণ, তারপরে ড্রপডাউন মেন্যু থেকে “Delete Sheet Rows” নির্বাচন করুণ!

র‍্যো এবং কলামের সাইজ ঠিক করুণ!

এক্সলের ডিফল্ট সেল সাইজ একেবারেই সেরকম নাও হতে পারে, ঠিক আপনার যেমনটা প্রয়োজনীয়! যদি আপনার সাইজ সাজিয়ে নেওয়ার প্রয়োজন পরে, আপনি সহজেই করতে পারবেন। প্রথমে আপনার পছন্দের র‍্যো এবং কলাম হাইলাইট করে নিন, এবার হোম ট্যাব থেকে “Format” অপশনে ক্লিক করুণ। এবার “Row Height” এ ক্লিক করে সেলকে লম্বা বানাতে পারবেন, সেলকে প্রশস্ত বানাতে “Column Width” ক্লিক করতে পারেন তারপরে আপনার প্রয়োজনীয় পরিমাপ জাস্ট প্রবেশ করান।

আপনার ফর্মুলাকে লুকিয়ে ফেলুন!

আপনি যদি প্রিভিউ এরিয়ার উপরে  Function button এর পাশে ক্লিক করেন, আপনি সহজেই ফর্মুলা দেখে নিতে পারবেন। যদিও এটি সময় বাঁচানো ফিচার কিন্তু এতে গোলমাল পাকিয়ে যেতে পারে, যদি আপনি কমপ্লেক্স ফর্মুলা নিয়ে কাজ করেন। যদি এখানে সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে চান, অবশ্যই আপনাকে ফর্মুলা লুকিয়ে ফেলতে হবে।
রাইট ক্লিক করুণ এবং “Format.” চয়েজ করুণ এবার “Protection” ট্যাবে যান এবং “Hidden box” অপশন মার্ক করে দিন। এবার ওকে প্লেস করুণ এবং আপনার চয়েজ সেভ করে নিন। তবে এই প্রসেস সম্পূর্ণ রুপে আপনার এক্সেলকে প্রটেক্ট করবে না, অবশ্যই আপনাকে পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। আপনাকে রিভিউ ট্যাব থেকে “Protect Sheet.” অপশনে যেতে হবে এবং পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে।

কিছু এক্সেল সর্টকাট

  1. Ctrl + –; ডিলিট অপশন প্রদর্শিত করার জন্য
  2. Ctrl + A; সকল ডাটা গুলোকে সিলেক্ট করার জন্য
  3. Shift + Space Bar; সেই সেলকে সিলেক্ট করার জন্য, যেটি বর্তমানে ব্যবহার করছেন
  4. Ctrl + V; আপনি যা কিছু কপি করেছেন, সেগুলো পেস্ট করার জন্য
  5. Ctrl + Space Bar; সেলে যে কলাম গুলো আপনি ব্যবহার করেছেন, সেগুলো সিলেক্ট করার জন্য
  6. Ctrl + End; লাস্ট সেল ডাটাতে যাওয়ার জন্য
  7. Ctrl + Down Arrow; আপনার ব্যবহার করা লাস্ট সেলের লাস্ট কলামে যাওয়ার জন্য
  8. Ctrl + Home; আপনার প্রথম সেল সিলেক্ট করার জন্য
  9. Ctrl + Up Arrow; কলামের প্রথম সেলে যাওয়ার জন্য যেটা বর্তমানে আপনি ব্যবহার করছেন

চার্ট কে টেম্পলেট হিসেবে সেভ করা

আপনি হয়তো বা নিজের তৈরি চার্টের উপর গর্ব বোধ করেন, তাই অবশ্যই সেটিকে সেভ করে নিন। জাস্ট চার্টের উপর রাইট ক্লিক করুণ এবার “Save as Template” অপশনটি দেখতে পাবেন, জাস্ট ক্লিক করুণ। এই অপশনটি আপনার মূল্যবান চার্টকে সামনের কোন অসাধারণ ডকুমেন্টে ব্যবহার করার জন্য সেভ করে রাখবে।

ড্রপডাউন লিস্ট যুক্ত করুণ!

ড্রপডাউন লিস্ট যুক্ত করার মাধ্যমে কেবল মাত্র র‍্যো বাঁচাতে সাহায্য করবে না, সাথে ইউজারকে ভুল ভাল্যু প্রবেশ করানো থেকে বাঁধা প্রদান করবে। এই ট্রিক অনুসরণ করে সহজেই আপনার এক্সেল শিটে ড্রপ ডাউন লিস্ট যুক্ত করতে পারবেন। প্রথমে সেই সেল সিলেক্ট করুণ যেখানে ড্রপ ডাউন আর‍্যো যুক্ত করতে চান। এবার ডাটা ট্যাব থেকে ভ্যালিডেসন এ ক্লিক করুণ। এবার  “Allow” থেকে “List” সিলেক্ট করুণ এবং সেল সোর্স টাইপ করে দিন। এবার চেক করে দেখুন, আপনার আউটপুট দেখতে পেয়ে যাবেন!

নিজের শর্টকাট তৈরি করুণ

সাধারণত, টুলবারে কেবল তিনটি অপশন থাকে; সেভ, আনডু, এবং রিডু। সেখানে চাইলে আপনি নিজস্ব শর্টকাট তৈরি করে নিতে পারেন যেমন- প্রিন্ট, কপি, পেস্ট, এবং আরো অনেক কিছু! নিজের শর্টকাট গুলোকে অ্যাড করার জন্য টুলবারের ড্রপ ডাউন আর‍্যোতে ক্লিক করুণ এবং যে অপশন গুলো অ্যাড করতে চান ব্যাস সেগুলোকে পছন্দ করে নিন। ভালো করে বুঝবার জন্য নিচের এনিমেশনটি দেখুন!

তো এই ছিল কিছু অসাধারণ এক্সেল ট্রিক এবং আশা করছি আপনার অনেক ভালো লেগেছে! অবশ্যই এই ট্রিক গুলোকে আপনি প্রতিনিয়ত ডাটা রেকর্ড তৈরি করার সময় ব্যবহার করতে পারবেন। আশা করছি এই টিউনটি আপনার জন্য অনেক উপকারি ছিল, আর আপনার সময় টেকটিউনসের প্রতি কিছু ভালোবাসা দেখানোর। তাই অবশ্যই টিউনটিকে শেয়ার করুণ। আর আপনার যেকোনো প্রশ্নে আমাকে নিচে টিউমেন্ট করে জানান।

দেখে নিন কিভাবে ফেইসবুক add friend এবং message button লুকিয়ে রাখতে হয়।

আমরা অনেকেই ফেইসবুক ব্যবহার করি,কিন্তু জানি না যে কিভাবে add friend এবং message button লুকিয়ে রাখতে হয়। কিন্তু কেন আমরা add friend এবং message button লুকিয়ে রাখবো। কারণ আমরা অনেকেই চাই না যে অপরিচিত কোনো মানুষ আমাদের কে friend request অথবা message পাঠাক। তো বন্ধুরা আপনারা আমার পুরো ভিডিও টি দেখবেন। যারা আমার চ্যানেল টি সাবস্ক্রাইব করেন নাই,এখনই সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।
ভিডিও টি দেখতে চাইলে নিচের লিংক এ ক্লিক করুন:
আমার চ্যানেলটি অবশ্যয় Subscribe করতে ভুলবেন না, নতুন নতুন সব টিউন পেতে।
Please subscribe channel: http://bit.ly/2hUz0Br
আর কোন প্রশ্ন থাকলে টিউমেন্ট করবেন।আর শেয়ারে মাধ্যমে আপনার বন্ধুকেও জানিয়ে দেন।সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

শুধুমাত্র একটি এপ্স দিয়েই আপনার ছবিকে সাজিয়ে নিন প্রেফেশনালদের মত করে।

কেমন আছেন বন্ধুরা। আশা করছি সবাই ভালোই আছেন। আজ অনেক দিন পর আজ আবারও আপনাদের সামনে ফিরে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সামনে আবার ফিরে এসেছি নতুন একটি Picsart টিউটোরিয়াল নিয়ে।
আজকে আমি আপনাদের দেখাব যে কীভাবে Picsart দিয়ে CB এডিট করা যায়। বর্তমানে CB এডিট একটি প্রেফেশনাল মানের এডিটিং। সাধারণত ফটোশপ ছাড়া CB এডিট করা যায় না তবে বর্তমানে Picsart দিয়ে ও আপনারা খুব সুন্দর করে প্রেফেশনাল মানের CB এডিটিং করা যায় যেমনটা আমি আমার টিউটোরিয়াল এ করেছি।
আপনারা ও যদি এই রকম এডিটিং করতে চান তাহলে আমার এই টিউটোরিয়াল টি আপনারা শেষ অবধি দেখুন। আর টিউটোরিয়াল এ যদি আপনাদের কোন ছবির প্রয়োজন হয় তাহলে আমি আমার ভিডিও এর ডেসক্রিপশনে দিয়ে দিব। আমার টিউটোরিয়াল এর কোথাও যদি আপনাদের কোন কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় তাহলে আমাকে টিউমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।
Video Link In Comment Box
আমি আপনাদের যথাসাধ্য সাহায্য করার চেষ্টা করব। আজকের টিউটোরিয়াল টি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই টিউমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। সবাই ভাল থাকবেন।

গুগল সম্পর্কে সব Awesome তথ্য – যা এর আগে কোথাও প্রকাশিত হয়নি

বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির যুগে গুগলের নাম শোনেননি এমন কোনো ব্যক্তি পাওয়া যাবে না মনে হয়। তবে আমাজনের জঙ্গলে আদিবাসিদের মধ্যে হয়তো পাওয়া যেতে পারে হয়তো বা! আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি গুগলের কিছু অন্যরকম তথ্য যেগুলো হয়তো আমি জানেন না!  ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন ১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর গুগল প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে কয়েক বছর ধরে গুগলের জনপ্রিয়তা বাড়াতে ব্যার্থ হওয়া তারা এক পর্যায়ে গুগল বেঁচে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে তার আগে শেষ প্রচেষ্ঠা হিসেবে ২০০৪ সালে গুগল সার্চ ইঞ্জিণকে পাবলিক হিসেবে উন্মুক্ত করে দেয়। পরে সাফল্যে ধারা অব্যাহত থাকে গুগলের। বর্তমানে গুগলের আমেরিকায় একটি নিজস্ব হেডকোয়াটার রয়েছে। প্রথমে গুগল শুধু মাত্র সার্চ ইঞ্জিণ হিসেবে ব্যবহৃত হলেও বর্তমানে আমরা গুগল ম্যাপস, জিমেইল বা গুগল ইমেইল, গুগল টান্সলেইট, গুগল ড্রাইভ, গুগল ক্রোম, গুগল ক্যালেন্ডার, গুগল প্লাস এবং ভিডিও শেয়ারিং ওয়েব সাইট ইউটিউব সহ এ জাতীয় অনেক কিছুর সুবিধা উপভোগ করতে পারছি।
এবার তাহলে চলুন আমরা গুগল সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে যা হয়তো আপনাদের অজানা রয়েছে। গুগল সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নেই আসুন:

১. ব্যাকরাব!

আপনি জানেন কি? গুগল নির্মাণের সময় এর নাম Backrub রাখা হয়েছিল! কারণ প্রতিষ্ঠাতারা কোনো ওয়েবসাইটের ব্যাক সাইটকে বিশ্লেষণ করে গুগলে সেটার গুরুর্ত্বতা যাচাই করার জন্য প্রথমে মুলত এই গুগল সুবিধাটি নির্মাণ করেন। এই ব্যাকরাপ নামে প্রায় ১ বছর চলার পর তারা গুগল কে নতুন নাম হিসেবে নির্বাচন করেন।

২. GOOGOL!

গুগল বা google নামটি ম্যাথমেটিক্যাল টার্ম googol থেকে নেওয়া হয়েছে। ল্যারি পেইজ এবং সের্গেই ব্রিন গুগলে জন্য নতুন নাম খোঁজার জন্য বিভিন্ন আইডিয়া ঘাঁটতে ঘাঁটতে তারা ম্যাথমেটিক্যাল টার্ম googol থেকে অনুপ্রেরণা পেয়ে যান। googol হচ্ছে ১ এবং এর পরে ১০০ টি ০ দিয়ে তৈরি একটি টার্ম। googol থেকে তারা সরাসরি google য়ে পৌছাতে পারেন নি। তারা প্রথমে googol থেকে googol-plex শব্দটি বেছে নেন কিন্তু পরে gogol নাম হবে বলে সিদ্ধান্ত নেন। তবে gogol নামের ডোমেইনটি তখন অলরেডি বিক্রি হয়ে গেছে বিধায় তারা উচ্চরণে একই শব্দ google কে বেছে নেন সাইটের নাম হিসেবে।

৩. Im Feeling Lucky!

গুগলের সাইটে যাবার পর আপনি খেয়াল করলে দেখতে পাবেন যে তাদের সাইটে সব সময়ই একটি Im feeling lucky! নামের একটি বাটন থেকে থাকে। আর এর ফিচারের জন্য গুগলকে প্রতি বছর ১১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করতে হত। কিন্তু বর্তমানে এই ফিচারকে সার্চ বক্সেই নিয়ে এসেছে গুগল। এবার আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন যে গুগল সার্চ বক্সে কোনো কিছু টাইপ করলেই এর পরের সম্ভাব্য শব্দ গুগল আপনার জন্য সাজেস্ট করবে! এটাই im feeling lucky ফিচারের নতুন সংষ্করণ!

৪. ডিক্টশনারিতে গুগল যোগ হওয়াতে গুগলের ফাউন্ডাররা খুশি ছিলেন না!

২০০৬ সালে অক্সফোর্ড ইংরেজি ডিক্টশনারিতে গুগল (google) শব্দটি যুক্ত করে দেয় কিন্তু এই বিষয়ে গুগলের ফাউন্ডাররা খুশি ছিলেন না। কারণ গুগল নামের মধ্যেই ইংরেজি মিসস্পেলিং রয়েছে। এছাড়াও গুগল শব্দটি ডিক্টশনারিতে এসে গেলে সবাই এই শব্দটি ব্যবহার করা শুরু করবে এবং তাদের কোম্পানির ভ্যালু কমে যাবে। যেটা পরবর্তীতে ভূল বলে প্রমাণিত হয়েছিল।

৫. মোস্ট ভ্যালুয়েবল ব্রান্ড!

২০১৭ সালে গুগল জনপ্রিয় টেক জায়ান্ট অ্যাপেলকে ছাড়িয়ে গিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে ভ্যালুযুক্ত ব্রান্ড হিসেবে নিজেকে স্থান করে নিয়েছে! ২০১১ সাল থেকে অ্যাপল বিশ্বের সবচেয়ে ভ্যালুযুক্ত ব্রান্ড হিসেবে নিজের স্থানকে ধরে রেখেছিল কিন্তু গুগল সেটাকে নিজের করে নিয়ে নেয় চলতি বছরে।

৬. প্রথম ডুডল!

আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবো যে কোনো বিশেষ দিবসে গুগলের সার্চ পেজে গুগলে লোগোকে উক্ত দিবসের অনুযায়ী আলাদাভাবে বিশেষ করে সাজানো হয়ে থাকে। এগুলোকে ডুডল বলা হয়। বর্তমানে গুগলের প্রায় দুই হাজারের বেশি ডুডলস রয়েছে। আপনি জানেন কি গুগলের প্রথম ডুডল ছিলো বার্নি ম্যান! ১৯৯৮ সালের বার্নি ম্যান ফেস্টিভাল থেকে ল্যারি পেইজ এবং সের্গেই ব্রিন তাদের প্রথম গুগল ডুডলের ইন্সপারেশন পেয়ে থাকেন।

৭. নাসার সাথে চুক্তি!

গুগল নাসার সাথে একটি টেকনোলজির চুক্তি করে। গুগলের অনেকগুলো প্রাইভেট জেট প্লেন ছিলো যেগুলোকে ল্যান্ড করার জন্য নিজস্ব রানওয়ের দরকার হতো। তাই গুগল নাসাতে বাৎসরিক ১.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং গুগলের ড্রোন ব্যবহার করে নাসার তথ্য সংগ্রহের বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে আমেরিকার সিলিকন ভ্যালিতে নিজস্ব একটি প্লেন রানওয়ে কিনে নেয়। এছাড়াও ২০০৮ সালে গুগল নাসার সাথে আরেকটি চুক্তি করে যেখানে ৪০ বছরের জন্য গুগলের নতুন গুগলপ্লেক্স তৈরি করার জন্য ৪২ একর জমি কিনে নেয়।

৮. ভূলের গুণ!

গুগল ডোমেইনের শব্দটি নিজেই GOOGOL শব্দের একটি ভূল বানানের রূপ! তাই গুগল তার নামের আশেপাশে মিল খায় এমন প্রায় ১৪০০টি ডোমেইন কিনে রেখেছে যাতে ভুল এড্রেস লিখলেও ব্যবহারকারী গুগলের পেজে চলে আসে। যেমন gogle.com gooogle.com  ইত্যাদি।

৯. ছাগল ভাড়া!

গুগলের হেডকোয়াটারের জমিকে পরিস্কার পরিছন্ন রাখতে গুগল প্রতি সপ্তাহে প্রায় ২০০টি ছাগল ভাড়া করে থাকে। গুগল একটি পরিবেশ বান্ধব কোম্পানি। তাই তাদের হেডকোয়াটারের আশেপাশের জায়গাগুলোকে ন্যাচারাল ভাবে পরিস্কার ও পরিছন্ন রাখতে গুগল এই সকল ছাগলের সাহায্য নিয়ে থাকে। ছাগল জমি থেকে ঘাঁসের সাথে সাথে যাবতীয় আগাছা এবং অনান্য গাছ জাতীয় জিনিস খেয়ে জমিগুলোকে উর্বর এবং পরিস্কার করে রাখে।

১০. ২.৩ মিলিয়ন প্রতি সেকেন্ড!

পুরো বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন গুগল সার্চ করা হয়ে থাকে। তাহলে বুঝুন গুগলের কি পরিমানের ব্রান্ডউইথ এবং হোস্টিং পাওয়ারের দরকার হয়! ২০১৬ সালের শেষের দিকে একটি রির্পোট অনুযায়ী জানা যায় যে প্রতি মাসে প্রায় ১০০ বিলিয়নের বেশি গুগল সার্চ করা হয়ে থাকে। আর ২ ট্রিলিয়নের বেশি সার্চ করা হয় প্রতি বছরে।

১১. স্ট্যান্ডফোর্ড রুলস!

স্টান্ডফোর্ড ইউনিভার্সিটি গুগলের পেইজ র‌্যাঙ্ক এলগোরিদমের প্যাটেন্ট রাইটসের মালিকানা সংরক্ষণ করে থাকে। স্ট্যান্ডফোর্ডের আদি নিয়ম অনুযায়ী বলা রয়েছে যে, স্ট্যান্ডফোর্ডে অধ্যাণরত অবস্থায় এর কোনো স্টুডেন্ট যদি ব্যবসায়জনক কোনো কিছু শুরু করে বা আবিস্কার করে তাহলে সেটার প্যাটেন্ট রাইটসের মালিক স্টুডেন্ট না হয়ে বরং স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের হবে। গুগলের মূল চালিকাশক্তি এই পেইজ র‌্যাস্ক এলগোরিদম। তবে গুগল স্ট্যান্ডফোর্ডের সাথে ১.৮ মিলিয়ন শেয়ারের একটি চুক্তির মাধ্যমে ওই পেইজ র‌্যাস্ক এলগোরিদমের এক্সুসিভ একসেস নিয়ে নিয়েছে।

১২. ২.৭ বিলিয়ন ডলারের ফাইন!

২০১৭ সালের জানয়ারীতে গুগলের বিরুদ্ধে এন্টিট্রাস্ট ল’য়ের ভায়োলেশনের জন্য প্রায় ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের জরিমানা করা হয়। ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের রেগুলেটরা এই জরিমানাটি ফাইল করেন। তাদের তথ্য মতে ইউরোপের বেশ কটি শপিং মলের জন্য গুগল তার সার্চ পেজে আলাদা ভাবে ফিচার রেজাল্ট স্থাপন করে এন্টিট্রাস্ট ল টি ভেঙ্গে ফেলেছিলো।
তথ্য প্রযুক্তি এই যুগে এটাই হলো সবথেকে বেশি জরিমানার পরিমান। তবে এই ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার গুগলের ২০১৬ সালের আয়ের মাত্র ২.৫ % বহন করে! তবে গুগল আদালতে এই ব্যাপারে আপিল করেছে এবং বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধিন অবস্থায় রয়েছে। এর আগে সবোর্চ্চ জরিমানা হিসেবে ইন্টেলের রেকর্ড ছিল। ২০০৯ সালে ইন্টেলের বিরুদ্ধে এন্টিট্রাস্ট লয়ের প্রায় ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জরিমানা করা হয়েছিল।

১৩. অদ্ভূত এবং ইউনিক!

আপনি লক্ষ্য করে দেখবেন যে গুগলের সাইটে আপনি অনেকগুলো ভাষার চয়েজ করে নিতে পারবেন। সেখানে গিয়ে আপনি বাংলা, ইংরেজি, হিন্দি, তামিল সহ পৃথিবীর ইউনিক এবং অদ্ভুত ভাষাগুলোও গুগলে ভাষা হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।

১৪. এক মিলিয়ন ডলারের বাজিমাত!

১৯৯৯ সালে গুগলের ফাউন্ডাররা গুগলকে বেঁচে দেবার জন্য Yahoo, ALtavista, Exicite এর মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু মাত্র ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিময়েও তারা তখন গুগলকে এদের কাছে বিক্রি করতে সক্ষম হয় নি।
পরবর্তীতে ২০০৪ সালে আবারো এরা ইয়াহুকে গুগল কিনে নেবার জন্য ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অফার দেন কিন্তু ইয়াহু কোম্পানি এই অফারটি গ্রহণ করেনি। বর্তমানে ২০১৭ সালে এসে গুগলের নেট ভ্যালু প্রায় ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে গেছে!

১৫. প্রথম দিকের এঞ্জেল ইনভেস্টর!

পৃথিবী সবচেয়ে বৃহৎ অনলাইন শপিং রিটেইলার আমাজন ডট কমের ফাউন্ডার, চেয়ারম্যান এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার জেফ বেজস ছিলেন গুগলের প্রথম দিকের ইনভেস্টরদের মধ্যে একজন! গুগলের প্রথম এঞ্জেল ইনভেস্টর হলেন Sun Microsystems এর co-founder Andy Bechtolsheim. তিনি ১৯৯৮ সালে গুগলে ১০০০০০ ডলার ইনভেস্টমেন্ট করেন যখন গুগল ইনকরপরেশন হিসেবে ফরমও করে নি। সেই বছরই বেজফ গুগলে একটি লাভজনক প্রজেক্ট ভেবে নিয়ে এতে ১৯৯৮ সালে 250000 ডলার বিনিয়োগ করেন। তার দেখাদেখি গুগল প্রজেক্টে আরো বেশ কয়েকজন ইনভেস্ট করে তখনকার সময়ে গুগলের কার্যক্রমকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন।
তো গুগল সম্পর্কে এ সকল তথ্য কি আগে থেকে আপনার জানা ছিল কি? টিউমেন্টে আমাকে জানাতে ভুলবেন না যেন!