Tuesday, April 18, 2017

ভ্যাট পরিশোধে ব্যবসায়ীদের যেতে হবে না রাজস্ব অফিসে



nbr-online
Latest Offer | WorldClass Hosting & IT Solution
ভ্যাট পরিশোধে আর কোনো ব্যবসায়ীকে যেতে হবে না রাজস্ব অফিসে। থাকবে না ফাইল নিয়ে দৌঁড়ঝাপ, হয়রানি কিংবা অন্য কোনো ঝামেলা। পহেলা জুলাই থেকে ঘরে বসেই ভ্যাট পরিশোধ করতে পারবেন তারা। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে ইলেক্ট্রনিক বিজনেস আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার বা ই-বিআইএন-এর নিবন্ধন কার্যক্রম। চলছে কর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ। কেমন হবে কাগজপত্র মুক্ত সেই অনলাইন ভ্যাট ব্যবস্থা?

মনিটরের সামনে নিবিষ্ট চোখ। চলছে প্রশিক্ষণ। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন একঝাঁক তরুণ ভ্যাট কর্মকর্তা। পরিচিত হচ্ছেন নতুন অনলাইন ভ্যাট ব্যবস্থার সঙ্গে।

আগামী পয়লা জুলাই থেকে কার্যকর হতে যাচ্ছে নতুন অনলাইনে ভ্যাট আদায়। তাই এই প্রশিক্ষণ। অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, নতুন ব্যবস্থাপনায় গতি পাবে ভ্যাট আদায়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম।

তারা জানান, এটি এই সময়ের জন্য উপযোগী প্রশিক্ষণ। এটিকে খুব ভালোভাবে প্রয়োগ করতে পারবেন এবং ব্যবসায়ীরাও ভালোভাবে ভ্যাট দিতে পারবেন। এছাড়া ব্যবসায়ীদের কি সেবা দিতে পারবেন এবং তারা কিভাবে উপকৃত হতে পারবেন সেটা জানা যাচ্ছে বলেও মত তাদের।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড -এনবিআর বলছে, গেল ১৫ মার্চ থেকেই শুরু হয়ে এখন প্রায় শেষের পথে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর ই-বিআইএন এর নিবন্ধন কার্যক্রম। প্রায় শেষের দিকে অনলাইন ব্যবস্থাপনার অন্যান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা কার্যক্রমও।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের যুগ্ম কমিশনার মো. জাকির হোসেন বলেন, 'আমরা প্রাযু্ক্তিকভাবে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমাদের বিভাগীয় সার্কেল অফিসে কম্পিউটার এবং নেটওয়ার্ক চলে গেছে। সকল অফিসারের আইনের ওপর ট্রেনিং হয়ে গেছে এখন সফটওয়ারের ওপর ট্রেনিং চলছে।'

ভ্যাট অনলাইন দপ্তর বলছে, অনলাইন ব্যবস্থায় কোন ব্যবসায়ীকে আসতে হবে না রাজস্ব অফিসে। ঘরে বসেই অনলাইনেই এসএমএস আকারে পাওয়া যাবে রশিদ।
সেই সঙ্গে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘ হিসাব সংরক্ষণের ঝামেলা ও অসাধু ভ্যাট কর্মকর্তাদের হয়রানিও বন্ধ হবে বলেও মনে করেন তিনি।Latest Offer | WorldClass Hosting & IT Solution

ডাউনলোড করুন মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ১০ এর সর্বশেষ ভার্সন Creators Update আর মজা নিন নতুন উইন্ডোসের

SSL Wireless
প্রযুক্তি প্রিয় টেকটিউন বাসী সবাই কেমন আছেন ?
আশা করি আপনারা সবাই ভালোই আছেন। টেকটিউনস পরিবারের সবাইকে আমার আন্তরিক সালাম এবং শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের টিউন। অনেকদিন পর টেকটিউনে ফিরলাম; এই টিউনটি করার আগে আমি ভেবেছিলাম যে এই বিষয়ে নিশ্চয়ই কোনো টিউন হয়ত হয়েছে; কিন্তু যখন দেখলাম যে এই  বিষয়ে টিউন আছে  তাই ভাবলাম না করলেও হবে। আবার মনে হল এই উইন্ডোজকে নিয়া একটা বিস্তারিত  টিউন কারা উচিৎ। তাই এই টিউনটি করলাম।
গত ৫ই এপ্রিল  ২০১৭ উইন্ডোস ১০ এর ফাইনাল এরর ফিক্সড ভার্সন, ক্রিইয়েটর আপডেট রিলিজ করেছে; উইন্ডোজ ১০ এর অটোমেটিক আপডেট এর মাধ্যমে সকল উইন্ডোজ ১০ ইউজার এর পিসিতে যা ইন্সটল হয়েছে, কিন্তু যাদের অটোমেটিক আপডেট বন্ধ তাদের তো ইন্সটল হবেনা, তাই তাদের জন্য আর যারা নতুন উইন্ডোস ১০ ইন্সটল করবেন তাদের কে বলে রাখি, উইন্ডোস এর সর্বশেষ ভার্সন ১৭০৩ (OS BUILD  ১০৫০৬৩.১১) কোড ১৭০৩ মানে হলো ২০১৭ এর  ৩য় মাস মার্চ, এবার থেকে সব এই ভাবেই হবে বিলড নাম্বার। যদিও এর অফিসিয়াল রিলিজ ডেট ১১.০৪.২০১৭

আপনার মনে হতেই পারে কেন করব আবার নতুন ভাবে উইন্ডোজ ১০ ইন্সটল ???

আর তার উত্তর একটাই আগের থেকে অনেক ফাস্ট ও স্মুথ, ইন্টারনেট ওয়াইফাই সেটিং আরও সহজ, করটানা আরো ভালো, আর প্রাইভেসি আগের চেয়ে অনেক উন্নত। সাথে আপডেট পজ করতে পারবেন, আর সাথে আরো নতুন নতুন অ্যাপ্লিকেশান। ড্রাইভার প্রব্লেম বা নট সাপোর্ট প্রব্লেম সল্ভ করা এখন আরো সহজ, চলুন তাহলে দেখি কি আছে নতুন উইন্ডোজে।

কি দেখলাম নতুন উইন্ডোজে

অনেকদিন ধরে ত্রিমাত্রিক পেইন্ট উইন্ডোজ ১০ আসবে ভেবেছিলাম কিন্তু আসেনি, এবার মুক্তি পেল অবশেষে।
উইন্ডোজ আপডেট এখন পজ কারা যাবে, দেখেই ভাল লাগছে।
উইন্ডোজ ডিফেনডার নতুন লুকে, সাথে আরো পাওয়ারফুল টুল ও ফানসান। বেশ ভাল।
" Troubleshoot "  অপশন এখন সেটিং এ, খুব ভাল আর দরকারই টুল অনেক আগেই দিলে ভাল হত, তবে এবার পেলাম এই ভাল।

ইন্টারনেট শেয়ার এখন আর সহজ। মোবাইল হটস্পট শুরু করতে পারি এক ক্লিকে।

পেন আর উইন্ডোজ ইঙ্ক সেটিং নতুন একটি অপশন তবে খুব কাজের।
নতুন এজ ব্রাউজার আগের থেকে অনেক ফাস্ট ও স্মুথ, সাথে আর অপশন
নতুন উইন্ডোজ ১০ গেমিং অপশন আরো ভাল, আর বাকি অপশন গুলি নিয়া আর কিছু বললাম না, নিজেই দেখেনিন ইন্সটল করে। আর মজা নিন নতুন উইন্ডোজের।

ডাউনলোড করবেন কিভাবে ???

ডাউনলোড করতে পারেন মাইক্রোসফটের অফিসিয়াল সাইট থেকে বা টরেন্ট সাইট থেকেও ডাউনলোড করতে পারেন।মাইক্রোসফটের অফিসিয়াল সাইট ডাউনলোড করবেন যে ভাবে তা আমার এই টিউনে দেখিয়েছি, (তাই আর নতুন করে দেখালাম না) টিউন লিঙ্ক।  এখানে প্রথমে সিলেক্ট এডিশন থেকে এডিশন সিলেক্ট করুন, এবং তারপর সিলেক্ট প্রোডাক্ট ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে ল্যাঙ্গুয়েজ সিলেক্ট করুন। আমি উইন্ডোজ ১০ প্রো এবং ইন্টারন্যাশনাল ইংলিশ সিলেক্ট করেছি উদাহরন হিসাবে প্রয়োজনে আপনি অন্য কিছুও সিলেক্ট করতে পারেন। ও বলে রাখা ভালো যে এই অফিসিয়াল লিঙ্ক মাত্র ২৪ ঘণ্টা ভ্যালিড থাকবে, তাই ডাউনলোড কারার সময় খেয়াল রাখবেন যেন ইন্টারনেট স্পীড যেন ভালো থাকে। সাইজ ৪.৭ জিবি সর্বাধিক।
"MediaCreationTool " দিয়া ডাউনলোড করতে পারেন। MediaCreationTool দিয়া কি করে ডাউনলোড করবেন জানতে এখানে ক্লিক করুন
আরো একটি মাইক্রোসফটের অফিসিয়াল ISO ডাউনলোড কারার নিয়মের জন্য টিউনার সঞ্জয় সাহার এই টিউনটি দেখতে পারেন।
আর টরেন্ট ডাউনলোড লিঙ্ক, এখান থেকে যে ISO ফাইলটিকে পাবেন তাকে USB boot-able করে ইন্সটল করতে পারেন আর এতে কেবল মাত্র ৬৪ বিট উইন্ডোজ আছে, আর প্রি- এক্তিভেট, আর নন অ্যাক্তিভেট দুটি অপশন। যদি আপনি আগে উইন্ডোজ ১০ ইন্সটল এবং এক্তিভেট যদি করে থাকেন তাহলে খালি নেট অন করে অনলাইন এক্তিভেট করুন অ্যাক্তিভেট হয়ে যাবে।
আর লেখা আসবে এইরকম, প্রোডাক্ট কি লেখাটা তে দেখতে পাবেন " windows 10 on this device is activated with a digital license linked to your Microsoft Account . "

শেষ করার আগে

অনুসরন করুন কিন্তু অনুকরণ করবেন না। যারা টিউমেন্টে তাদের অসুবিধার কথা বলেন তারা যেন পরে আর একবার টিউমেন্ট করেন, সাহায্য পেলে বা উপকৃত হলে। কারণ তাহলে জানা সম্ভব হয় যে সাহায্য করতে পারলাম কিনা। আমার এই টিউন যদি কারোর খারাপ লেগে থাকে তবে আমি একান্তই দুঃখিত। আমার কাউকে দুঃখিত করার কোনো প্রকার উদ্দেশ্য নেই। যদি মনে করেন ডাউনলোড করা দরকার, তবেই ডাউনলোড করুন। নির্বাচিত টিউন হওয়ার উপযুক্ত মনে হলে নির্বাচিত টিউন মনোনয়ন করতে পারেন। আর দয়া করে টেকটিউনকে সাপোর্ট, প্রমোট করুন, আর অবশ্যই নির্ভেজাল টিউন করে টেকটিউন পরিবারকে সমৃদ্ধ করুন।
খুব তাড়াতাড়ি ফিরছি আবার পরের টিউন নিয়ে। ভালো থাকবেন, ভালো রাখবেন, আর প্রবেলম হলে আমিতো টেকটিউনে আছি।

Sunday, April 16, 2017

বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আগ্রহী হচ্ছে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিংয়ে

bpo-biz-jpg-ed
শুধু টেলিকম নয় বর্তমানে ব্যাংক, বীমা, বহুজাতিক কোম্পানিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খরচ কমাতে ,পণ্যের প্রচার ও সেবা প্রদানে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিংয়ে আগ্রহী হচ্ছে। সারা দেশে ক্রমশ এ সেবার পরিসর বাড়ায় এ খাতে বাড়ছে কর্মসংস্থান। বিশেষজ্ঞদের মতে , ভাষাগত দক্ষতা ও প্রচারণার অভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে আউটসোর্সিংয়ে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে আছে। তাদের মতে দক্ষ জনবল তৈরি ও বাংলাদেশের আইসিটি খাতকে ব্র্যান্ডিং করা গেলে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় হতো।

কর্মব্যস্ত এ সময়ে ঘরে বসেই সব সেবা চায় মানুষ। চৌকস অসংখ্য তরুণ- তরুণী গ্রাহকের সমস্যা শুনে সমাধান দিচ্ছে নানা বিষয়ে। মোবাইল কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান , হাসপাতালসহ দেশী-বিদেশী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হয়ে বাংলাদেশী কল সেন্টারগুলো এখন গ্রাহকদের নানা ধরনের সেবা দিচ্ছে। তবে দেশে ক্রমশ কল সেন্টার ব্যবসার প্রসার হলেও দক্ষ কর্মী এবং প্রচারণার অভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে আউটসোর্সিংয়ে ব্যবসা পাচ্ছেনা বাংলাদেশ।

ডিজিকনের পরিচালক এইচ এম আজমল বলেন, 'কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা করে যে সকল গ্রাজুয়েট বের হচ্ছে তাদের মধ্যে অনেক ক্ষেত্রে যেটা দেখা যাচ্ছে যে, আমাদের চাহিদা এবং তাদের একাডেমিক ব্যাকগ্রাউন্ডের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারছি না।'

বাক্য'র সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন বলেন, 'যেকোনো কাজের জন্য ব্যবসায়িক উন্নয়নটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ থেকে কাজ করলে বাংলাদেশ থেকে বসেই তো কোন ক্লায়েন্ট আমরা পাবো না। বাংলাদেশকে ব্রান্ড করতে পারলেই কাজগুলো আসবে।'

২০০৯ সালে মাত্র তিনশ জনবল দিয়ে কল সেন্টার ব্যবসার যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে এ খাতে কাজ করছে ৩০ হাজার লোক। বাড়তি আয় ও উজ্জ্বল ক্যারিয়ারের প্রত্যাশায় কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কাজ করলেও কর্মীদের অভিযোগ, কম বেতনের কারণে মেধাবীরা আসছে না।

আউটসোর্সিংয়ের অপর খাত , ডাটা ম্যানেজমেন্ট, হিসাব সংরক্ষণ, জরিপ এ ধরনের ব্যাক অফিস সেবায় বাংলাদেশ ধীরে ধীরে এগুলেও ৭৮ শতাংশ এখনো কল সেন্টার সেবা নির্ভর। তবে বাজার সম্প্রসারণে বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানান বাংলাদেশ কল সেন্টার ও আউট সোর্সিং অ্যাসোসিয়েশন, বাক্য'র সভাপতি আহমেদুল হক।

তিনি বলেন, 'আমরা সরকারের সাথে একটা চুক্তিতে যাচ্ছি। সরকার আমাদের আউট সোর্স করবে কাজ। আমরা দশটা মন্ত্রণালয় চিহ্নিত করেছি তাদের কি কি সার্ভিস আউট সোর্স করা যেতে পারে।

বৈশ্বিক বিপিও ব্যবসার বাজার ৫০ হাজার কোটি ডলার। বর্তমানে সব মিলিয়ে আইসিটি খাত থেকে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় মাত্র ৪৫ কোটি ডলার। সরকারের লক্ষ্য ২০২১ সালে শুধু বিপিও খাত থেকে ১শ কোটি ডলার আয় ও এক লাখ লোকের কর্মসংস্থান তৈরি।

যশোরের ৫০টি স্কুলকে অনলাইন ব্যবস্থাপনায় আনার উদ্যোগ

jess-online-jpg-ed
যশোরের স্কুলগুলোকে অনলাইন পর্যবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় আনতে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিস। প্রথম পর্যায়ে ৫০টি স্কুলকে টার্গেট করে চলছে কার্যক্রম। ইতোমধ্যে ৫টি স্কুলে সম্পূর্ণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে। এতে করে প্রতিষ্ঠানগুলোর পাঠদান ও ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কার্যক্রম জেলার সব স্কুলে চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

দেশের প্রথম ডিজিটাল জেলা যশোরের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজড করতে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিস। এর অংশ হিসেবে জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজস্ব অর্থায়নে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স মেশিন স্থাপনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেক স্কুল সাড়া দিয়ে ক্যামেরা ও অ্যাটেনডেন্স মেশিন স্থাপন করেছে।

এছাড়া জেলা শিক্ষা অফিস ই-ফাইলিং ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলেছে। এতে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তার অফিসে বসেই ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কম্পিউটার বা মোবাইলেই পর্যবেক্ষণ করতে পারছেন স্কুলের কার্যক্রম।

এ কার্যক্রমের কারণে নানাবিধ সুবিধা পেতে শুরু করেছে বলে জানালো শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষকরা জানালেন, তাদের এমন কার্যক্রমে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে।

শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এ কার্যক্রম জেলার সকল স্কুলে চালু করা হবে বলে জানালেন যশোর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম টুকু।

তিনি আরও বলেন, ‘জেলার প্রায় ৫০ টি স্কুলকে এই কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা হবে। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা ইতোমধ্যে ৫টি স্কুলে কার্যক্রম চালিয়েছি।’

শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, জেলায় ৫২১টি মাধ্যমিক স্কুল, ১৫টি স্কুল এন্ড কলেজ, ৩১০টি মাদ্রাসা ও ৮৯টি কলেজসহ মোট ৯৩৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

মিলান ডার্বি ড্র, টটেনহ্যামের টানা সপ্তম জয়

ac-millan
২১৮তম মিলান ডার্বিতে জয় পায়নি কোনো দল। দুই গোলে পিছিয়ে পড়েও, শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় ইন্টার মিলানের বিপক্ষে ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে এসি মিলান। এদিকে, সব ধরনের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা ৭ম জয় পেয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পার। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বোর্নমাউথকে ৪-০ গোলে হারিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থান আরো মজবুত করেছে স্পাররা।

ইতালিয়ান ফুটবলের একটা আলাদা ধরন আছে। যুগ থেকে যুগে যে বৈশিষ্ট্যের বড় ধারক মিলানের দুই ক্লাব- এসি মিলান ও ইন্টার মিলান। পারফরম্যান্সের বিচারে দুই ক্লাবের মহারণে আগের সেই ঝাঁঝ না থাকলেও, ইতালিয়ান ফুটবলের পাড় ভক্তরা এখনো অগোচরে খুঁজে বেড়ান পুরনো সেই মিলান ডার্বিকে।

এ মৌসুমে সিরি 'এ'র দুই লেগেই যে দ্বৈরথে শেষ পর্যন্ত আধিপত্য নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি কোনো দল। দু'টি ম্যাচই হয়েছে ড্র। তবে, সাম্প্রতিকতম ম্যাচটিতে ড্র'য়ের ফলাফল স্বাগতিক এসি মিলানের জন্য জয়ের মতোই। দৃষ্টির সীমানা জুড়ে ইন্টার মিলান যখন সহজ একটি জয় দেখছিলো, তখনই সব সমীকরণ পাল্টে যায়। ৮৩ মিনিটে অ্যালেসিও রোমাগনোলি আর যোগ করা সময়ে জাপাতা ভ্যালেন্সিয়ার গোলে প্রাণ জুড়ানো উল্লাস ওঠে সান সিরোর লাল-কালো অংশের গ্যালারীতে।

এদিন যেন মিলানের জায়ান্টরা সংকল্প করে রেখেছিলো ম্যাচের দু'টি অর্ধ ভাগাভাগি করে নেবে তারা। প্রথমার্ধে আগুন ঝরিয়েছে ইন্টার মিলান। ৩৬ মিনিটে অ্যান্তনিও ক্যানদ্রেভা আর ৪৪ মিনিটে মাউরো ইকার্দির গোলে ২-০'তে এগিয়ে গেলেও, শেষ হাসি হাসতে পারেনি তারা। ৩২ ম্যাচে ৫৮ পয়েন্ট নিয়ে এসি মিলান ৬ ও সমান সংখ্যক ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৭'এ ইন্টার মিলান।

এদিকে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে টটেনহ্যাম-বোর্নমাউথ ম্যাচ হয়েছে একেবারেই একপেশে। হোয়াইট হার্ট লেনে পাত্তাই পায়নি বোর্নমাউথ। ইপিএলের টেবিলে স্পারদের চেহারা এখন আরো সমৃদ্ধ। এখনো ১ ম্যাচ বেশি খেলে ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলেও, শীর্ষ দল চেলসিকে যা একটু আধটু চাপে রাখতে পারছে, তা ঐ মরিসিও পচেত্তিনোর টটেনহ্যামই।

আর এর পেছনে নায়কের ভূমিকায় আবারো ইংলিশ স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন। ২০ গোল নিয়ে মৌসুমে লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকাতে অবস্থানটা বেশ শক্ত তার। যার মধ্যে বোর্নমাউথের বিপক্ষে ৪৮ মিনিটে করা গোলটিও অন্যতম।

১৪ মাস পর গোলের মুখ দেখা ডেম্বেলের পর প্রথমার্ধে হুং মিনের আরেকটি গোলে ৩-০'তে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। আর ম্যাচের শেষ মুহূর্তে জ্যানসেনের গোলে বড় জয় নিশ্চিত হয় টটেনহ্যামের।

মেসি জাদুতে জয়ে ফিরলো বার্সা

barca-win
লিওনেল মেসির নৈপুণ্যে আবারো জয়ের ধারায় ফিরলো স্প্যানিশ জায়ান্ট বার্সেলোনা। মেসির জোড়া গোলে রিয়াল সোসিয়েদাদকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে কাতালানরা। ফলে, শীর্ষে ওঠার লড়াইয়ে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ব্যবধান কমালো লুই এনরিকের শিষ্যরা। এদিকে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে সাউদাম্পটনের বিপক্ষে ৩-০ গোলের জয় তুলে নিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।

চিরচেনা মাঠ ন্যু ক্যাম্পে প্রায় ৮১ হাজার সমর্থকের সামনে জয়ের ধারায় ফেরার প্রতিশ্রুতি স্বাগতিক বার্সেলোনার সামনে। কারণ শিরোপার লড়াইয়ে টিকতে হলে যে, টেবিল টপার রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধানটা কমাতেই হবে মেসিদের। তাইতো নিষেধাজ্ঞার কারণে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমারকে না পেলেও, মেসি, সুয়ারেজ, পিকে, র‌্যাকিটিচদের সমন্বয়ে শক্তিশালী দল নিয়ে এদিন বার্সা মুখোমুখি হয় রিয়াল সোসিয়েদাদের।

ন্যু ক্যাম্পে শুরু থেকেই এদিন চড়াও স্বাগতিকরা। ম্যাচের বয়স তখন ১৭ মিনিট। উরুগুইয়ান তারকা সুয়ারেজ বল পাঠিয়ে দেন মেসির কাছে। আর সেটিকে পুরোপুরি কাজে লাগিয়ে অসাধারণ গোলে রূপ দেন মেসি।

এরপর ৩৭ মিনিটে নিজের জোড়া গোল পূরণের পাশাপাশি ক্লাবের হয়ে চলতি মৌসুমে ৪৫তম গোল করেন মেসি। আর দুটি গোল হলেই বার্সেলোনার জার্সিতে ৫০০তম গোলের মাইলফলক স্পর্শ করবেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।

ম্যাচে ফিরতে এরপর খুব বেশি সময় নেয়নি রিয়াল সোসিয়েদাদ। ৪২ মিনিটে ডিফেন্ডার স্যামুয়েলের আত্মঘাতী গোলে ব্যবধান কমায় তারা। এর ২ মিনিট পরেই অবশ্য মেসির বাড়ানো বল প্রতিপক্ষের জালে জড়িয়ে কাতালানদের হয়ে ব্যবধান ৩-১ করেন আলকাসের।
প্রথমার্ধ্বের যোগ করা সময়ে প্রিয়েতোর করা গোলে ব্যবধান আবারো কমায় সোসিয়েদাদ। দ্বিতীয়ার্ধ্বে ফিরে দু'দলই বেশ কয়েকবার আক্রমণে গিয়েও গোলের দেখা পায়নি। ফলে, পুরো তিন পয়েন্ট নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে লুই এনরিকের দল।

এদিকে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে যাওয়ার মিশনে সাউদাম্পটনের মাঠে আতিথ্য নেয় ম্যানচেস্টার সিটি। কিন্তু গোলের দেখা পেতে সেইন্ট ম্যারিস স্টেডিয়ামের দর্শকদের এদিন অপেক্ষা করতে হয় দ্বিতীয়ার্ধ্ব পর্যন্ত।

ম্যাচের ৫৫ মিনিটে অবশেষে কোম্পানির গোলে লিড নেয় ম্যান সিটি। এরপর ৭৭ মিনিটে সানের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে সিটিজেনরা। তিন মিনিট পরেই যা বাড়িয়ে ৩-০ করেন অ্যাগুয়েরো।

ম্যাচে এরপর আর কোন গোল না হওয়ায় জয় নিশ্চিত হয় পেপ গার্দিওলার শীষ্যদের। এ জয়ের ফলে, লিভারপুলকে পেছনে ফেলে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের ৩ নম্বরে উঠে এসেছে ম্যান সিটি।

ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ

dse-week
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে কয়েক সপ্তাহ ধারাবাহিকভাবে লেনদেন বাড়ার পর গত সপ্তাহে মোট লেনদেন কমেছে ৩শ ২১ কোটি টাকা। তবে ডিএসই এর প্রধান সূচক সপ্তাহ ব্যবধানে বেড়েছে ৮৪ পয়েন্ট। অন্যান্য সূচকেও গত সপ্তাহে যোগ হয়েছে বেশ কিছু পয়েন্ট।

দেশের সবচে বড় শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে গত সপ্তাহের লেনদেনে মিশ্র প্রবণতা লক্ষ্য করা যায় । সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস রোববার ডিএসই তে লেনদেন হয় ১২ শ ৬৯ কোটি টাকার শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড। লেনদেনের পরিমাণ কম হলেও এদিন ডিএসইএক্স এ যোগ হয় ৬৮ পয়েন্ট।

এর ধারাবাহিকতায় সোমবারও ডিএস্ই'র প্রধান সূচক ৬৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়ায় ৫ হাজার ৬শ ৬৯ পয়েন্টে । এদিন সপ্তাহের সর্বোচ্চ লেনদেন হয় যা টাকার অংকে ছিল ২'হাজার ১শ ৮০ কোটি টাকা। সূচকের ঊর্ধ্বগতি ছিল ৩য় কার্যদিবস মঙ্গলবারও।

কিন্তু বুধবার একধাপে ৮৭ পয়েন্ট হারায় ডিএসইএক্স, শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবারও ডিএসই'র প্রধান সূচক ৩ পয়েন্ট হারিয়ে নেমে আসে ৫ হাজার ৬শ ১৮ পয়েন্টে। সপ্তাহ শেষে ডিএসই'র বাছাই সূচক ৩০ ইনডেক্স এ ৫৪ পয়েন্ট আর শরিয়া সূচক ডিএসইএস এ ১৭ পয়েন্ট যোগ হয়েছে ।

গতসপ্তাহে দাম বাড়ার শীর্ষ থাকা ৫ প্রতিষ্ঠান হলো-

ইসলামী ব্যাংক, ফোনিক্স ফাইন্যান্স, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, সাইফ পাওয়ার ও জাহিন টেক্সটাইল ।

দরহারানো শীর্ষ প্রতিষ্ঠানগুলো ছিলো-

বিডি অটোকারস, কেডিএস, ন্যাশনাল টিউবস, সোনারগাঁ টেক্সটাইল এবং জিল বাংলা।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সপ্তাহ শেষে দাম বেড়েছে ১৫০ টি প্রতিষ্ঠানের, কমেছে ১৬৮ টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১২ টি শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ডের।