Sunday, April 23, 2017

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা


Advertisement

Let the Highest Quality Domain Traffic Get Redirected to Your Offers
SELFADVERTISER.COM
বিডিমর্নিং ডেস্ক-
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় খুলনার দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। একই সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া অন্য নয় আসামিকে ট্রাইব্যুনালে হাজিরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 
রবিবার বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর সদস্য হলেন বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন—শেখ আবদুর রহিম (৬৮), শামসুর রহমান গাজী (৮২), জাহান আলী বিশ্বাস (৬৭), শাজাহান সরদার (৬৭), আবদুল করিম শেখ (৬৫), আবু বক্কর সরদার (৬৭) ও রওশন গাজী (৭২)। ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে মো. সোহরাব হোসেন (৬২) ও গাজীপুর থেকে নাজের আলী ফকির (৬৫) নামের আরো দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের বাড়িও ডুমুরিয়ায়।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সৈয়দ হায়দার আলী। সঙ্গে ছিলেন ঋষিকেষ সাহা, আবুল কালাম ও শেখ মোশফেক কবির।
পরে সৈয়দ হায়দার আলী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা আদালতকে জানিয়েছি, এ মামলার নয়জন আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি দুজন পলাতক রয়েছে। আদালত গ্রেপ্তার হওয়া নয়জনকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন। আর বাকি দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন। তবে আসামিদের হাজিরের নির্দিষ্ট কোনো তারিখ দেওয়া হয়নি।’
একই সঙ্গে আসামিদের বিরুদ্ধে অগ্রগতি তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ১১ জুলাই দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গত ২০ এপ্রিল রাত থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে খুলনা থেকে সাতজন এবং ঢাকা ও গাজীপুর থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে খুলনায় মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে একটি মামলায় জড়িত থাকার প্রাথমিক তথ্য পাওয়া গেছে বলে জানান তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন।
প্রাথমিকভাবে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলতলা থানায় করা বাস পোড়ানোর একটি মামলায় নয়জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন খুলনা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্কাস আলী।
- See more at:

খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও পরিবারকে আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করেছেন প্রধানমন্ত্রী


বিডিমর্নিং ডেস্ক-
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী, খেতাবপ্রাপ্ত বীর উত্তম, বীর প্রতীক মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকারীদের মধ্যে আর্থিক অনুদানের চেক হস্তান্তর করেছেন।
রবিবার সকালে নিজ কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ১২ মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁদের উত্তরাধিকার প্রত্যেককে তিন লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করেন।প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
চেক গ্রহণকারীদের মধ্যে রয়েছেন—বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তফা কামালের মা মোছাম্মৎ মালেকা বেগম, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের মা মোছা. ফজিলা খাতুন, বীর উত্তম শাহ আলমের স্ত্রী মোছা. ফাতেমা খাতুন, বীর উত্তম আবদুস সাত্তার।
বীর বিক্রম আবুল বাশারের ছেলে মহিন উদ্দিন, বীর বিক্রম জগৎ জ্যোতি দাসের বোন ফুলু রানী রায়, বীর প্রতীক খলিলুর রহমান, বীর প্রতীক আবদুল আলিমের স্ত্রী মোছা. জরিনা খাতুন, বীর প্রতীক নজরুল ইসলামের স্ত্রী রওনক জাহান, বীর প্রতীক সামছুল হকের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম ও বীর প্রতীক মোক্তার আলী।
- See more at:

Saturday, April 22, 2017

যে কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ‘সুরক্ষিত বাড়ি’ এটি!


বিডিমর্নিং ডেস্ক-
উপর থেকে দেখে কিছুই বোঝার উপায় নেই। এই বিপুল ‘কর্মযজ্ঞ’ দেখতে গেলে মাটির নীচে ৪৫ ফুট গভীরে যেতে হবে। এরপরেই চোখে পড়বে বিলাসবহুল ভূগর্ভস্থ বাড়িটি। নির্মতাদের দাবি, এটাই পৃথিবীর সুরক্ষিততম বাড়ি।
জর্জিয়ার সাভানার কাছে মাটির নীচে ৩২ একর এলাকা জুড়ে রয়েছে এই অভিনব বাড়ি। আসলে বাড়ি নয়, আস্ত একটা বাঙ্কার।
১৯৬৯-এর যুদ্ধের সময় জর্জিয়ার সেনা ইঞ্জিনিয়রা তৈরি করেছিল এই বাঙ্কার। ২০১২ সালে এটির নকশা পুরোপুরিই বদলানো হয়। এই মুহূর্তে ‘ব্যাসন হোল্ডিং’ নামের একটি বেসরকারি সংস্থার মালিকানায় রয়েছে বাঙ্কারটি।
‘ব্যাসন হোল্ডিং’-এর মালিক ক্রিস স্যালামন জানান, শীঘ্রই বিক্রি করা হবে বাড়িটি। এই মুহূর্তে ১ কোটি ৭৫ লাখ ডলার দাম নির্ধারিত হয়েছে এই বাড়িটির জন্য।
‘ব্যাসন হোল্ডিং’-এর দাবি, এই বাড়িটির প্রতিটি দেওয়াল ৩ ফুট চওড়া। এক লাখ ডলারের সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে এখানে। যে কোনও ধরনের প্রাকৃতিক বিপর্যয়, বড়সড় বিস্ফোরণ সহ্য করার ক্ষমতা রয়েছে এই বাড়ির। ২০ কিলোটন পর্যন্ত পরমাণু বিস্ফোরণের তীব্রতাও সহ্য করতে পারবে এই বাড়ি।
ক্রিস জানান, বিশ্ব জুড়ে ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকা যুদ্ধ এবং জঙ্গি আক্রমণ থেকে বাঁচতে এই বাড়ির গুরুত্ব অপরিসীম।
কী কী রয়েছে মাটির নীচের এই দোতলা বাড়িটিতে?
মোট এলাকা ১৪ হাজার বর্গ ফুট। রয়েছে অস্ত্র রাখার একটি বিশেষ ঘর। থিয়েটার রুম ও স্টাফ কোয়ার্টার। আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণে রাখার বিশেষ ব্যবস্থা। প্রতিটি তলায় ৬০০ বর্গ ফুট এলাকা জুড়ে রয়েছে দু’টি করে বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট। প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্টেই রয়েছে আলাদা আলাদা রান্নাঘর, ডাইনিং, দু’টো বেডরুম, লিভিং রুম ও বাথরুম।
‘ব্যাসন হোল্ডিং’ জানিয়েছে, যে কেউ ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য, ব্যবসায়িক কাজে বা সরকারি কাজে ব্যবহারের জন্য এই বাড়ি কিনতে পারেন। ক্রেতার পছন্দ মতো ইন্টিরিয়র পরিবর্তন করাও সম্ভব বলে জানিয়েছে এই সংস্থা।
‘ব্যাসন হোল্ডিং’-এর সিইও মার্টিন ম্যাকডারমট বলেন, এই বাড়ি আপনাকে যেমন সুরক্ষিত রাখবে, তেমনই আরামও দেবে। কারণ এতে পাঁচ তারা হোটেলের মতোই সমস্ত অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে।তবে সুরক্ষার জন্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি বাড়িটির সঠিক ঠিকানা জানায়নি। সূত্র: আনন্দবাজার
- See more at :

Friday, April 21, 2017

৬ ঘন্টার বৃষ্টিতে পানিবন্দি চট্টগ্রামের কয়েক লাখ মানুষ


Advertisement

Protect Free VPN+Data Manager
FREE · Over 1 million people use this
বিডিমর্নিং ডেস্ক-
চট্টগ্রামে ৬ ঘন্টার বৃষ্টিতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নগরীর কয়েক লাখ মানুষ। ডুবে গেছে কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি, দোকানপাট। নগরীর কোথাও কোথাও হাঁটুপানি থেকে কোমর সমান পানি দেখা গেছে। বৃষ্টির সঙ্গে যোগ হয়েছে কর্ণফুলী নদীর জোয়ারের পানি।
শুক্রবার ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৬৮ দশমিক ৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস। এভাবে আরও দুই থেকে তিনদিন ভাড়ি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সহকারি আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান। এদিকে জলাবদ্ধতায় নগরবাসীর অসুবিধা হওয়ায় আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করেছেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরীর মুরাদপুর, ষোলশহর, হালিশহর, আগ্রাবাদ, ছোটপুল, বড়পুল, বহদ্দারহাট, বাদুরতলা, চকবাজার, বাকলিয়া, এক কিলোমিটার, কাতালগঞ্জ, প্রবর্তক মোড়, চাকতাই-খাতুনগঞ্জসহ নগরীর বেশিরভাগ এলাকার মানুষ হাঁটু থেকে কোমর পানিতে বন্দি হয়ে পড়েছে। ভোর থেকে ভাড়ি বৃষ্টির কারণে নগরীর কয়েক হাজার বাসা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। এ কারণে দোকানের মালামাল নষ্ট হয়ে গেছে।
- See more

‘দেহ ব্যবসা’ বন্ধের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে মুসল্লিদের বিক্ষোভ


বিডিমর্নিং ডেস্ক- 
গাজীপুরের শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তায় ‘দেহ ব্যবসা’ বন্ধের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয় মুসুল্লিরা বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় তারা ইট পাটকেল দিয়ে কয়েকটি আবাসিক হোটেল ভাঙচুর করেন। এ ঘটনায় মহাসড়কে কিছু সময়ের জন্য যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
২১ এপ্রিল শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এ বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ এসে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
মাওনা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল্লাহ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে ঢাকা- ময়মনসিংহ মহাসড়ক সংলগ্ন কয়েকটি বহুতল ভবন ভাড়া নিয়ে হোটেল নাম দিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় ‘দেহ ব্যবসা’ চালাচ্ছিল কিছু লোক। এতে এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেমেয়েরা বিপদের দিকে যাচ্ছিল। এ ঘটনার প্রতিবাদে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা বিক্ষোভ করেন।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান বলেন, ‘আবাসিক ভবন ভাড়া নিয়ে যদি কেউ অসামাজিক কার্যকলাপ চালায় তবে তাদের বিরুদ্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
অসামাজিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে পুলিশ অবগত ছিল না। পুলিশের পক্ষ থেকে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধের আশ্বাস দিলে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায় বলে জানান শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক আশরাফুল ইসলাম।
- See more at:

মেসি ,নেইমার নয় বিশ্বসেরা খেলোয়াড় হবেন বেকহ্যাম


বিডিমর্নিং স্পোর্টস ডেস্ক-
নেইমার বার্সেলোনার লিওনেল মেসি ও রিয়াল মাদ্রিদের ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডোকে টপকে বিশ্বসেরা খেলোয়াড় হবার পথে রয়েছেন বলে মনে করেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক রিয়াল মাদ্রিদের ডেভিড বেকহ্যাম। তিনি বলেন, ‘মেসি-রোনাল্ডো বিশ্বসেরা খেলোয়াড়। তাদের টপকে বিশ্বসেরা হবার পথেই রয়েছে নেইমার। এজন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হবে না তাকে।’
সান্তোস ছেড়ে ২০১৩ সালে বার্সেলোনায় যোগ দেন নেইমার। এরপর পারফরমেন্স দিয়ে ফুটবল বিশ্বের তারকা খেতাব পেয়ে গেছেন তিনি। তার পারফরমেন্স মুগ্ধ ইউরোপের অন্যান্য দলগুলো। তাকে দলে ভেড়াতে সর্বদাই ওঁৎ পেতে থাকে তারা। এবার নেইমারের প্রশংসা করলেন ইংল্যান্ডের বেকহ্যামও, ‘নেইমার একজন অসাধারন পারফর্মার। এই প্রজন্মের সেরাদের মধ্যে অন্যতম সে। বার্সেলোনায় যোগদানের পর তার পারফরমেন্সের আরও উন্নতি হয়েছে। কারণ ২০১৩ সালে বার্সাতে আসার পর ফুটবল বিশ্বের তারকাদের সাথে খেলছেন তিনি। তার ন¤্র আচরণে আমি সবসময়ই মুগ্ধ। সে সম্মানিত ও শিখতে চায় সর্বদা।’
ভবিষ্যতে পারফরমেন্স দিয়ে আরও বড় তারকা হবেন নেইমার বলে জানান বেকহ্যাম, ‘যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতে সবাইকে ছাড়িয়ে যাবে সে। মেসি-রোনাল্ডোকে ছড়িয়ে সেরা খেলোয়াড় হবার পথেই রয়েছে নেইমার। মেসি-রোনাল্ডো যা পারেননি, নেইমার জাতীয় দলকে অনেক বড় বড় সাফল্য এনে দিবে।’
- See more

ইয়াবা ‘হোম ডেলিভারি’র সুব্যবস্থা মাত্র ৫০ থেকে ১০০ টাকা !


Advertisement

Protect Free VPN+Data Manager
FREE · Over 1 million people use this
ইসতিয়াক ইসতি।।
মাত্র ৫০ থেকে ১০০ টাকা দিলে পাওয়া যাচ্ছে ইয়াবা সেবন করার নিরাপদ স্থান। আরও আছে ‘হোম ডেলিভারি’র সুব্যবস্থা! এমন বিজ্ঞাপন দিয়েই সাভারে রেডিও কলোনী, পাকিজার পিছনে, শিমুলতলা, পশ্চিম ব্যাংক টাউন, হেমায়েতপুরের ফুলবাড়িয়া ও ইমানদিপুরসহ আশেপাশের এলাকায় প্রকাশ্যেই চলছে ভয়াবহ মাদক ব্যবসা। একদল দরিদ্র মানুষকে ব্যবহার করে একটি প্রভাশালী চক্র এ সকল এলাকায় গড়ে তুলেছে শক্তিশালী মাদক সিন্ডিকেট। তারা বিভিন্ন কৌশলে দিনে-রাতে বিক্রি করছে  ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক। যার ফলে মরণনেশা মাদকের সর্বনাশা থাবায় হাজার হাজার পরিবারের সন্তানের জীবন আজ বিপন্নের পথে। এমন সন্তানদের মায়ের কান্না সাভারের ঘরে ঘরে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এক ভয়াবহ চিত্র। রেডিও কলোনীর থেকে একটু ভিতরে যেতেই একজন যুবকের সাথে কথা হয়। সে জানতে চায় ভাই লাগবে? ছোট–বড় সব আছে (ইয়াবা)। কালকে নতুন চালান আসছে। দাম কত জানতে চাইলে বলে, বড়টা ২৮০ এবং ছোট ২২০। কথার ফাঁকে জানা যায় এই ছেলে নাম সাদ্দাম। পেশায় ভ্যানচালক। নিজের খাওয়ার (নেশার টাকা)টাকা জোগাড় জন্য বড় ডিলারের থেকে নিয়ে হেঁটে বিক্রি করে।
অন্যদিকে পাকিজার পিছনে মালেকের বস্তিতে গেলে কথা হয় মাদক ব্যবসায়ী সেলিমের সাথে। তার কাছে সব ধরণের মাদকদ্রব্য পাওয়া যায় এবং ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেশি দিলে ঘরে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয় সে।
গ্যারেজ ব্যবসায়ী মোশারফের মূলত রিক্সার গ্যারেজ থেকে মাদক ব্যবসা করে থেকে। হেমায়েতপুরের ফুলবাড়িয়ায় ও ইমানদিপুর তার মাদক বিক্রির এলাকা। তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যকে ম্যানেজ করেই এখান থেকে তিনি মাদক ব্যবসা পরিচালিত করছেন। পরিচিত ক্রেতাদের হোম ডেলিভারি দেয়া হয়। অভিযানের আগে তাঁরা খবর পান, তখন পাল্টে যায় পরিবেশ। দুই তিন ঘণ্টা কেনা বেচা বন্ধ রাখেন।
মাদকের এই রমরমা ব্যবসা নিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশে শর্ত দিয়ে জানান, কয়েকজন প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় এইসব এলাকায় মাদক ব্যবসা পরিচালিত হচ্ছে। যাদের অনেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত। বিভিন্ন সময়ে চক্রের খুচরা বিক্রেতা ও কয়েক পাইকারি বিক্রেতা গ্রেফতার হলেও মূল হোতারা রয়েছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।
এবিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খন্দকার রাকিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঢাকায় প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা মূল্যের মাদক বিক্রি হচ্ছে। ঢাকার আশেপাশের এলাকাতে এর পরিমাণ কিছুটা বেশি। নিয়মিত অভিযান পরিচালন করা হচ্ছে এইসব স্থানগুলোতে। তবে  প্রতিনিয়ত মাদক ব্যবসায়ীরা নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করাতে কিছুটা বেগ তে হচ্ছে আমাদের।
অপর দিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিচালক (গোয়েন্দা ও অপারেশন) সৈয়দ তৌফিক উদ্দিন আহমেদ বলেন, সাভারের বিভিন্নস্থানে অবাধে মাদক বিক্রি হচ্ছে। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি নিয়ন্ত্রণ করতে। স্থানীয় প্রভাবশালীরা নিয়ন্ত্রণ করছে এই মাদক চক্রগুলো। যাদের অনেকেই সরকারি দলের পদ-পদবিধারী। যে কারণে এসব মাদকের প্রকাশ কেনা বেচা বন্ধ হচ্ছে না কিছুতেই।
এ বিষয়ে সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস.এম কামরুজ্জামান বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও পুলিশ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করলেও থেমে নেই মাদকের ব্যবসা।
তিনি আরও বলেন, সমাজের প্রভাবশালী ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু অসৎ সদস্যের সমন্বয়ে গঠিত শক্তিশালী সিন্ডিকেট ইয়াবা ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করছে। যে কারণে কোনভাবেই ইয়াবার আগ্রাসন রোধ করা যাচ্ছে না। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম ধ্বংস করে মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা।
- See more at: http://www.Snews9.ml

Tuesday, April 18, 2017

ভারতের সাথে থাকলেও রাজস্ব বন্টনে ছাড় দেবোনা: পাপন

নাজমুল হাসান পাপন

আইসিসির প্রস্তাবিত প্রশাসনিক কাঠামোয় বিসিসিআইয়ের জুটি বেধেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। কিন্তু রাজস্ব বন্টন মডেলে কোন ছাড় দেবেনা বিসিবি জানিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। প্রস্তাবিত রাজস্ব বন্টন মডেলে বিসিবির কোষাগারে আসবে প্রায় চারশ কোটি টাকা। 

ভারত-বাংলাদেশ ক্রিকেটীয় সম্পর্ক-সখ্যতা দীর্ঘ সময়ের। সময়-অসময়ে বিসিসিআইকে পাশে পেয়েছে বিসিবি। 

সবশেষ আইসিসি সভায় প্রস্তাবিত নতুন কাঠামোতে পূর্ণ সদস্যদেশের রেলিগেশন নিয়ে আলোচনায় হয়। এছাড়া প্রস্তাবিত দ্বি-স্তর কাঠামো নিয়েও কথা হয়েছে। দুই ক্ষেত্রেই বিপক্ষে বিসিবি। বিসিসিআইয়ের সমর্থন মিলেছে।

গত সপ্তাহে নাগপুরে আইসিসি চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের সঙ্গে দেখা করেছেন বিসিবি প্রধান। তার আগে বিসিসিআই সিওএ প্রধান ভিনোদ রাইয়ের সঙ্গে হয়েছে বৈঠক। সেখানে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, বিসিসিআইয়ের শক্তি খর্ব হলে দূর্বল হয়ে পড়বে বাংলাদেশ।

প্রস্তাবিত রাজস্ব বন্টন মডেল নিয়ে আইসিসিতে পক্ষ-বিপক্ষ দাঁড়িয়ে গেছে। আগের রাজস্ব কাঠামোয় লাভের সিংহভাগ যেতো বিসিসিআইয়ের পকেটে। নতুন কাঠামোয় বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মতো দেশগুলোর লাভের অংক বাড়বে। এ জায়গায় বিসিসিআইয়ের পক্ষে নেই বিসিবি। নিচ্ছে শক্ত অবস্থান।

২৬ এপ্রিল দুবাইয়ে আইসিসি সভা। প্রস্তাবিত কাঠামো ও রাজস্ব মডেল নিয়ে আসবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
- See more at: 

নতুনরূপে ঐশ্বরিয়া

মায়াবী, মার্জিত, ঐন্দ্রজালিক—তিনটি শব্দ তাঁর বেলা বেশ প্রযোজ্য। কিন্তু এই শব্দ ত্রয়ী দিয়ে ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনকে পুরোপুরি ব্যাখ্যা করা যায় না। বি-টাউনে যাঁরা ধারণা করেছিলেন, বিয়ের পর অন্যান্য নায়িকার মতো হারিয়ে যাবেন তিনি, তাঁরা ভুল প্রমাণিত হয়েছিলেন। কিন্তু নিন্দুকরা কি এত সহজে হাল ছাড়ার পাত্র? মা হওয়ার পর মুটিয়ে যাওয়া ঐশ্বরিয়ার ক্যারিয়ারের ইতি টেনে ফেলেছিলেন অনেকেই। কিন্তু নিন্দুকের মুখে ছাই দিয়ে ধারালোভাবে ফিরেছেন ঐশ্বরিয়া। অন্তত ফিল্মফেয়ার সাময়িকীর কভার পেজ তো তাই বলছে। 
21st February is international mother language day!
টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি খবরে জানা যায়, সাবেক এই বিশ্বসুন্দরী তাঁর মনোরম সৌন্দর্যে ফিল্মফেয়ার সাময়িকীর সর্বশেষ সংস্করণের শোভা বৃদ্ধি করে আবারও অবাক করেছেন ভক্তদের। নতুনরূপে স্বপ্নের মতো এই তারকার দিক থেকে চোখ ফেরাতে পারছেন না অ্যাশের অনেক ভক্তই। 
ফিল্মফেয়ারের এবারের সংস্করণের বিষয়বস্তু ছিল বলিউডে নারীর ক্ষমতায়ন। ঐশ্বরিয়া, যিনি সব সময় এসব ক্ষেত্রে আগে থেকেছেন, তিনি এবারও তাঁদের নিরাশ করেননি। আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে নিজেকে আলোকচিত্রীর সামনে তুলে ধরেছেন এই তারকা। 
প্রচ্ছদে নেভি ব্লু জ্যাকেট পরিহিত অভিনেত্রীকে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আকর্ষণীয় মনে হয়েছে। নরম ক্যাসক্যাডিং কোঁকড়ানো চুলের সঙ্গে ধূমায়িত চোখ যেন তাৎপর্যপূর্ণ কোনো বার্তা দিতে চাইছে। তাঁর এই মারকুটে রূপ এবং দীপ্তিময় আত্মবিশ্বাস দ্বারা ঐশ্বরিয়া বি-টাউনে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছেন সম্ভবত। 
ঐশ্বরিয়ার হাতে বর্তমানে রয়েছে তিনটি চলচ্চিত্র। অজয় দেবগন, ইমরান হাসমি, ইলিয়ানা ডি ক্রুজ ও এশা গুপ্তার সঙ্গে ঐশ্বরিয়া অভিনয় করবেন ‘বাদশাও’ চলচ্চিত্রে। এ বছরের সেপ্টেম্বরে ছবিটির মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। সাইফ আলি খানের সঙ্গে সুজয় ঘোষের পরবর্তী ছবিতেও অভিনয় করবেন তিনি। ছবিটির নাম এখনো ঠিক হয়নি।

এর পাশাপাশি জয়ললিতার বায়োপিকে খোদ জয়ললিতার চরিত্রে অভিনয় করার কথা রয়েছে ঐশ্বরিয়ার। আর জয়ললিতার চরিত্রে ঐশ্বরিয়াকে দেখার জন্য ভক্তদের অপেক্ষা করতে হবে ২০১৮ সাল পর্যন্ত।

তামিমের শটে ভেঙেছে গাড়ির কাঁচ!

নিষেধাজ্ঞার কারণে আগের ম্যাচে খেলতে পারেননি তামিম ইকবাল। ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেডের হয়ে আসরে নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে বেশ উজ্জীবিত ছিলেন এই বাঁহাতি ওপেনার।করে ফেললেন অসাধারণ একটি সেঞ্চুরি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এটি তাঁর ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।   
তামিমের এই অসাধারণ সেঞ্চুরিতে যেমন ক্রিকেটপ্রেমীরা খুশি হয়েছেন, তেমনি এদিন ক্ষতিও হয়েছে কারো। বিকেএসপিতে মোহামেডান-কলাবাগানের এই ম্যাচে তাঁর শটে একবার গাড়ির কাঁচ ভেঙেছে, আরেকবার বল হারিয়েই গেছে। 
তবে কার গাড়ির কাঁচ ভেঙেছে তা নিশ্চিত করে জানা যায়নি। বিকেএসপি সূত্রে জানা যায় গাড়িটি মাঠের পাশেই ছিল।  
১৫৭ রানের ইনিংসটি খেলতে গিয়ে বল খরচ করেছেন ১২৫টি। ১৮টি চার ও সাতটি ছক্কায় ইনিংসটি সাজান তিনি।  
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ এটি। তামিম ছাড়িয়ে গেছেন নিজেকেও। ২০০৯ সালে বুলাওয়ায়োতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ওয়ানডেতে করেছিলেন ১৫৪ রান।
তামিমের এই্ সেঞ্চুরির দিনে মোহামেডান ৩০৮ রানের বিশাল লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ কলাবাগানের সামনে।  এই নিউজ লেখা পর্যন্ত ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়নি। 

সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাজ করতে চান মাশরাফি


তিনি খেলার মাঠের একজন লড়াকু সৈনিক। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে বদলে দেওয়ার নায়কও বলা হয়ে থাকে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে। শুধু মাঠেই নয়, এর বাইরে অনেক জনগুরুত্বপূর্ণ কাজে অংশ নিয়ে বেশ প্রশংসা কুঁড়িয়েছেন তিনি। কয়েকদিন আগে বৈশাখের ছুটিতে রাঙামাটিতে ঘুরতে গিয়েছিলেন, সেই সুযোগে ঘুরে এলেন সেখানকার আর্মি ক্যাম্পও। 

তাই মাশরাফির উপলব্ধি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সঙ্গে যদি কাজ করার সুযোগ পান, তাহলে নিজেকে গর্বিত মনে করবেন তিনি। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের সে অভিজ্ঞতাগুলো তুলে ধরেছেন তিনি : 
‘প্রথমে আমার অন্তরের অন্তঃস্তল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই আপনাদের সবাইকে যারা দেশ ও দেশের মানুষের জন্য সেবা করে যাচ্ছেন। আমার এবারের খাগড়াছড়ি সেনানিবাস ভ্রমণ থেকে আমি বুঝতে পেরেছি একজন সৈনিক তাঁর মাতৃভূমির জন্য কী পরিমাণ আত্মত্যাগ করেন। আপনারা হলেন সেই সব মানুষ যাঁরা দেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন সব প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে, কিন্তু আপনাদের বীরত্ব গাঁথা হয়তো কখনো কোনো জাতীয় দৈনিক বা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়নি। আমার সঙ্গে এমন একজন সৈনিকের দেখা হয়েছে, যিনি খুব শিগগিরই বাবা হবেন। অথচ দেশের জন্য দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি আজ তাঁর পরিবার থেকে বহুদূরের এই সেনা ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। নিজের কাজ দিয়ে জাতীয় সঙ্গীতকে সমুন্নত রাখার প্রচেষ্টা কিংবা গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ দলকে সমর্থন দেওয়াকেই আমরা হয়তো দেশাত্মবোধের পরিচায়ক হিসেবে মনে করি। কিন্তু মনে রাখবেন, এর কোনোকিছুই আপনাদের আত্মত্যাগের সমতুল্য নয়। আজ বাংলাদেশ আর্মি এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রত্যেক সদস্য দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করতে প্রস্তুত আছেন। আমার এই ভেবে খুব কষ্ট হয় যে, আপনারা এবং আপনাদের আপনজনরা অত্যন্ত কষ্ট সহ্য করেন যেন আমরা নিরাপদে ঘুম থেকে উঠতে পারি। যেদিন আমাদের দেশের সব নাগরিক একই ভাবে দেশের জন্য আত্মনিয়োগ করতে প্রস্তুত হবে সেদিন আমরা পাব সমৃদ্ধির বাংলাদেশ। মনে রাখবেন, সমরে আমরা শান্তিতে আমরা সর্বত্র আমরা দেশের তরে। 
সর্বশেষ এই বলতে চাই, যদি কখনো বাংলাদেশ আর্মির সঙ্গে একদিনও কাজ করার সুযোগ পাই, আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকব। এত সময় ধরে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাদের অশেষ ধন্যবাদ।’ 
মাশরাফি তাঁর লেখাটি শেষ করেন এই লিখে- ‘আপনাদের মাশরাফি (একজন ব্যক্তি যে শুধু ক্রিকেট খেলে)’।

রাওধার মরদেহ পুনরায় ময়নাতদন্তের অনুমতি

রাজশাহীতে মেডিকেল কলেজ ছাত্রী মালদ্বীপের মডেল রাওধা আথিফের মরদেহ পুনঃময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে উঠানোর অনুমতি দিয়েছে আদালত। সিআইডির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ বিকেলে রাজশাহী মহানগর হাকিম আদালত-১ এর বিচারক মাহবুবুর রহমান এ আদেশ দেন। 

২৯ মার্চ রাজশাহীর ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ছাত্রী হোস্টেল থেকে রাওধার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসক জানান রাওধা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। ৩১ মার্চ পরিবারের সম্মতিতে নগরীর হেতেখাঁ কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এরপর ১০ এপ্রিল রাওধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আথিফ রাজশাহীর আদালতে হত্যা মামলা করেন। এতে রাওধার এক বান্ধবীকে অভিযুক্ত করা হয়।

সাক্কুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

কুমিল্লা সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং তাঁর স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোকের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা এ আদেশ দেন।


এক কোটি ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকার তথ্য গোপন এবং চার কোটি ৫৮ লাখ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা করে দুদক। গত নভেম্বরে সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। আজ সেই অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারক এ আদেশ দেন। ৯ মে সাক্কুকে গ্রেফতার করা হলো কি না, তার প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। মামলা থেকে সাক্কুর স্ত্রীকে অব্যাহতি দেয়া হয়। সম্প্রতি মনিরুল হক সাক্কু টানা দ্বিতীয়বারের মতো কুমিল্লার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।


যমুনা অনলাইন: টিএফ

তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভুটানে প্রধানমন্ত্রী

ভুটানে আন্তর্জাতিক অটিজম সম্মেলনে যোগ দিতে ভুটানে পৌছেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পৌণে ১১টার দিকে তাঁকে বহনকারী ফ্লাইটটি ভুটানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়ে যায়। পৌনে ১২টার দিকে তিনি ভুটানের পারো বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাঁকে বহনকারী ফ্লাইটটি। পারো বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই রাষ্ট্রীয় সফরে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে ছয়টি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর হবে। এগুলো হচ্ছে- দ্বৈত কর পরিহার, অভ্যন্তরীণ নৌ-রুট ব্যবহার, যোগাযোগ ও বাণিজ্য, পণ্য ও কৃষিজাত পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণ ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং থিম্পুতে বাংলাদেশ দূতাবাস ভবন নির্মাণের জন্য জমি বরাদ্দ। এছাড়া ভূটান থেকে বিদ্যুৎ আমদানি নিয়ে আলোচনা হবে। 


বিকেলে প্রধানমন্ত্রীকে রাজকীয় প্রাসাদে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হবে। প্রাসাদের মূল ফটকে একজন ক্যাবিনেট মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবেন। পরে তাঁকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। প্রাসাদে ভুটানের রাজা ওয়াংচুক ও রানি জেটসান পেমার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ হবে।


এরপর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও ভুটানের বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সই হবে।


ভুটানে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার অংশ হিসেবে অটিজম ও অন্যান্য নিউরোডেভেলপমেন্ট সমস্যার যথাযথ সমাধানে সক্ষমতা অর্জন শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের এক আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ।


আগামীকাল থিম্পুর রাজকীয় অতিথিশালায় শুরু হতে যাওয়া আন্তর্জাতিক অটিজম সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ-ভুটান এর যৌথ আয়োজক।


প্রধানমন্ত্রী তাঁর তিন দিনের সফর শেষে বৃহস্পতিবার সকালে দেশে ফিরবেন।

ইজারা বাড়লেও বাড়েনি রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের সুযোগ সুবিধা

bus-terminal1
প্রতি বছর ইজারা বাড়লেও বাড়েনি রংপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ভবনটির সুযোগ সুবিধা। ধসে পড়েছে পলেস্তরা, বাথরুম নেই, নেই বসার স্থানও। জরাজীর্ণ এই টার্মিনালে আসা যাত্রীরা প্রতিনিয়তই শিকার হচ্ছেন চরম ভোগান্তির। যাত্রী, শ্রমিক এবং বাস মালিকরা বলছেন, যেকোনো সময় ভবনটি ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। সিটি করপোরেশন সমস্যার কথা স্বীকার করে বলছে, শিগগিরই নতুন করে কাজ শুরু করা হবে।

চরম ঝুঁকর মুখে রংপুরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের বিশ্রামাগারটি। ৩৭ বছর আগে নির্মিত টার্মিনালের এই বিশ্রামাগারের ছাদের অংশ বিশেষ প্রায়ই ধসে পড়ছে যাত্রীদের মাথায়। বসার প্রয়োজনীয় স্থান নেই, নেই বাথরুম এবং পানির ব্যবস্থাও। যাত্রীরা বলছেন, এই টার্মিনালটি ভেঙ্গে সংস্কার করা না হলে ঘটে যেতে পারে বড় কোন দুর্ঘটনা।  অন্যদিকে শ্রমিকরা বলছেন, প্রতিনিয়ত তাদের নানা সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে।

বাস মালিক কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছর ইজারা বাড়লেও বাড়েনি ন্যূনতম সুযোগ সুবিধা।

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির বিভাগীয় সাধারণ সম্পাদক এ, কে, এম আজিজুল ইসলাম রাজু বলেন, 'টার্মিনালটি তৈরি হবার পর থেকে এর কোন সংস্কার হয়নি। বিভাগ হওয়ার পরেও আজ পর্যন্ত আমরা এর কোন সুফল পাইনি।'

সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু শোনালেন আশার বাণী।

তিনি বলেন, 'এইখানে বাস্তবে প্রশাসন বলতে যে জিনিসটা তার কিছুই সেখানে নাই। ওখানে মাত্র কয়েকটা বাস চলে। তবে ওইখানের ডিজাইন করা হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের পরেই হয়তো কাজ শুরু হবে।'
 
প্রায় তিন একর জমির ওপর ১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত এই টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন রুটে এক হাজারের বেশি গাড়ি যাতায়াত করে থাকে।

বরগুনার খেয়াঘাট থেকে জেলা পরিষদের কোটি কোটি টাকা আদায়

river-ferry
কোন প্রকার ঘাট নির্মাণ না করেই প্রতি বছর বরগুনার খেয়াঘাটগুলো ইজারা দিয়ে কোটি কোটি টাকা আদায় করছে জেলা পরিষদ। শুধু ঘাট নয়, দীর্ঘদিন ধরে কোন সুযোগ সুবিধার ব্যাপারেই পদক্ষেপ নেয়নি তারা। বরগুনার বড় নদীগুলো, অধিকাংশ উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে জেলাকে। আর বিচ্ছিন্ন উপজেলাবাসীকে খেয়া পারাপারে জীবন ঝুঁকির পাশাপাশি চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। জেলা পরিষদ জানায়, যাত্রীদের ভোগান্তি কমানোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।

বরগুনার পায়রা ও বিষখালী নদী, জেলা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে ৪টি উপজেলাকে। বিচ্ছিন্ন উপজেলাবাসীর জেলায় যোগাযোগের মাধ্যম ইঞ্জিন চালিত ছোট নৌকা বা ট্রলার। প্রতিদিন শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সী হাজার হাজার মানুষকে ঝুঁকি নিয়েই খেয়া পার হতে হয়।

বামনা উপজেলার রামনা খেয়াঘাট থেকে বছরে প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা ইজারা নিচ্ছে জেলা পরিষদ। কিন্তু আজও যাত্রীদের খেয়ায় ওঠা বা নামার জন্য কোন জেটি নির্মাণ করেনি কর্তৃপক্ষ। ফলে অধিকাংশ সময় অনেক নদীপাড়ের কাদামাটি পেরিয়ে ওঠানামা করতে হয় সবার। তবে বেশ কিছু খেয়াঘাটে ইজারাদার নিজ খরচে জেটি নির্মাণ করলেও তা এখনও ঝুঁকিপূর্ণ। ঘাটগুলোতে নেই যাত্রী ছাউনি ও স্যানিটেশনের ব্যবস্থা।

জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মোঃ দেলোয়ার হোসেন দায়সারাভাবে জানালেন, যাত্রী সুবিধা বাড়াতে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

তিনি বলেন, 'সবেমাত্র বসলাম। এখন পর্যন্ত সবগুলো খেয়াঘাট দেখার সুযোগ আমার হয়নি। আমি দেখে, কি কি সমস্যা আছে সবগুলোই আমি সমাধান করবো।

বরগুনা জেলার ১৬টি খেয়াঘাট থেকে বছরে প্রায় আরাই কোটি টাকারও বেশি ইজারা আদায় করে জেলা পরিষদ।