বিডিমর্নিং ডেস্ক-
সাধারণ এপ্রিল-মে মাস জুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে তীব্র বায়ুপ্রবাহ, বজ্রঝড় বা ঘূর্ণিঝড় উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এ সময়টাতে কালবৈশাখী বজ্রপাত, ঝড়ো-হাওয়া, বন্যা এমনকি টর্নেডো পরিস্থিতি তৈরি করে বলে উল্লেখ করেছে আল জাজিরা।
কালবৈশাখী বাংলাদেশ কিছু অঞ্চলের জন্য হুমকি হয়ে উঠছে। রোববারের এক প্রতিবেদনে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরায় যুক্তরাষ্ট্রের টর্নেডোর সঙ্গে সাদৃশ্যের নানা প্রসঙ্গ টেনে এ হুমকির কথা বলেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন কালবৈশাখীতে টর্নেডোর আশঙ্কা বাড়ছে রাজধানী ঢাকা থেকে যশোর, ফরিদপুর, মাদারীপুর ও চাঁদপুরে অঞ্চলে। বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম ঘনবহুল জনসংখ্যার দেশ। এখানে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও পরিবহন সুবিধা অপ্রতুল। ফলে বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানুষের ভোগান্তি বাড়ে।
গ্রীষ্মকালে আবহাওয়ার ধরন টর্নেডো তৈরি করতে পারে। মার্চের শেষ ও এপ্রিলের শুরুর দিকে ইরান ও তুর্কেমেনিস্তানের ওপর দিয়ে আসা ঠাণ্ডা, শুষ্ক ও অধিক উচ্চতার বাতাস প্রবাহিত হয় দক্ষিণ হিমালয়ের চারপাশে। এটা ভূমিতে গভীর প্রভাব তৈরি করে। আবহাওয়ার এই ঠাণ্ডা ও শুষ্ক ভাব এবং উষ্ণ ও বৃষ্টিময় তাপমাত্রা ঝড়ের পরিস্থিতি তৈরি করে।
এ অঞ্চলে ১৯৮৯ সালে প্রাণঘাতী আকারের টর্নেডো আঘাত হানে। এটি মানিকগঞ্জে প্রায় দেড় কিলোমিটার প্রস্ত ও ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এলাকায় তাণ্ডবলীলা চালায়। ওই টর্নেডোতে দেশে অন্তত ১৩০০ মানুষের মৃত্যু হয়। আহত হয় ১২ হাজার মানুষ। এছাড়া ঘরবাড়ি হারায় আরও ৮০ হাজার মানুষ।
তবে আগামী মে ও জুন মাসে মৌসুমী বৃষ্টিপাত বাড়লে এই টর্নেডোর প্রকোপের মাত্রা কমে আসবে বলেও বলা হয় ওই প্রতিবেদনে।
No comments:
Post a Comment